৪৬তম বিসিএস মূল পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সমাধান
পরীক্ষার তারিখ – ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
১) পাহাড়পুরের 'সোমপুর মহাবিহার' বাংলার কোন শাসন আমলের স্থাপত্য কীর্তির নিদর্শন?
ক) মৌর্য খ) পাল ঘ) চন্দ্ৰ গ) গুপ্ত
সঠিক উত্তরঃ খ) পাল
• নওগা জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত সোমপুর মহাবিহার প্রাচীন বাংলার “পাল রাজবংশের” শাসনামলে অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকের শুরুর দিকে স্থাপিত হয়।
২) মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার নেতৃত্ব দেন কে?
ক) মোহাম্মদ সোলায়মান
খ) আব্দুল খালেক
গ) মাহবুব উদ্দিন আহমেদ
ঘ) শৈলেন্দ্র কিশোর চৌধুরী
সঠিক উত্তরঃ গ) মাহবুব উদ্দিন আহমেদ
- মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার প্রদানকারী দলের নেতৃত্বে ছিলেন – মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম।
উৎস:বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি, DMP ও তথ্য অধিদফতর ওয়েবসাইট।
৩) ঐতিহাসিক ৬-দফা দাবিতে কোন দু'টি বিষয় কেন্দ্রিয় সরকারের হাতে রাখার প্রস্তাব ছিল?
ক) বৈদেশিক বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা
খ) অর্থ ও পররাষ্ট্র
গ) স্বরাষ্ট্র ও পরিকল্পনা সঠিক
ঘ) প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র
উত্তরঃ ঘ) প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র
• ছয় দফা কর্মসূচির ২য় দফায় – প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় দুটি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
উৎস: i) বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ওয়বেসাইট
ii) ইতিহাস প্রথম পত্র, HSC Programme, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ।
iii) মাধ্যমিক বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বোর্ড বই।
৪) বাংলার প্রাচীন জনপথ হরিকেল-এর বর্তমান নাম কী?
ক) সিলেট ও চট্টগ্রাম
খ) ঢাকা ও ময়মনসিংহ
গ) কুমিল্লা ও নোয়াখালী
ঘ) রাজশাহী ও রংপুর
সঠিক উত্তরঃ ক) সিলেট ও চট্টগ্রাম
• প্রাচীন বাংলার অন্যতম জনপদ হরিকেল - এর অন্তর্ভূক্ত অঞ্চল বর্তমানে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে অবস্থিত।
উৎস: i) বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, SSC Programe, উন্মুক্ত উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
ii) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ওয়েবসাইট
iii) বাংলাপিডিয়া
৫) বাংলাদেশের কোন বিভাগে জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে কম?
ক) সিলেট
খ) খুলনা
গ) বরিশাল
ঘ) চট্টগ্রাম
সঠিক উত্তরঃ গ) বরিশাল
• জনশুমারি ও গৃহগণনা – ২০২২ এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুসারে, বরিশাল বিভাগে জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে কম।
- বরিশাল বিভাগে প্রতি কিলোমিটারে গড়ে ৬৮৮ জন মানুষ বসবাস করে। জনশুমারি ও গৃহগণনা – ২০২২ :
- বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) জনশুমারি পরিচালনা করে। ২০২২ সালের ষষ্ঠ জন শুমারি দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি।
- ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা - ২০২২ অনুষ্ঠিত হয় ১৫ - ২১ জুন।
- ২০২২ সালের শুমারিতে Computer Assisted Personal Interviewing (CAPI) পদ্ধতি অনুসরণ করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
গণনায় মোডিফাইড ডি-ফ্যাক্টো (Modified De-facto) পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে ।
জনশুমারি ও গৃহগণনা – ২০২২ -এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুসারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
→ মোট জনসংখ্যা - ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.১২% ও প্রতি কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১,১১৯ জন।
জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি
বিভাগ জেলা - ঢাকা বিভাগ; প্রতি কিলোমিটারে বসবাস ঢাকা জেলা; প্রতি কিলোমিটারে বসবাস - - ২১৫৬ জন। ১০,০৬৭ জন।
জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে কম
বিভাগ – বরিশাল বিভাগ; প্রতি কিলোমিটারে বসবাস – ৬৮৮ জন।
জেলা – রাঙ্গামাটি জেলা; প্রতি কিলোমিটারে বসবাস ১০৬ জন।
সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস করে ঢাকা বিভাগে; মোট জনসংখ্যা – ৪৫,৬৪৪,৫৮৬ জন।
সবচেয়ে কম মানুষ বাস করে ৯,৩২৫,৮২০ জন। - বরিশাল বিভাগে; মোট জনসংখ্যা
উৎস: পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইট ও জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর চূড়ান্ত রিপোর্ট।
৬) ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ কোন মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত?
ক) পরিকল্পনা
খ) শিল্প
গ) বাণিজ্য
ঘ) অর্থ
সঠিক উত্তরঃ বাণিজ্য
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (TCB) – বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত একটি সংস্থা।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (TCB):
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতির আদেশ নং-৬৮/১৯৭২ এর মাধ্যমে ১৯৭২ সালের ০১ জানুয়ারি ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) প্রতিষ্ঠা করেন।
- প্রতিষ্ঠার পর এদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পথিকৃৎ হিসেবে কাজ করছে টিসিবি। টিসিবি'র মাধ্যমেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যাদি থেকে শিল্পের কাঁচামাল পর্যন্ত আমদানি এবং পাট, তৈরী পোশাক প্রভৃতি রপ্তানির মাধ্যমে দেশে বৈদেশিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু করা হয়।
- বর্তমানে তৈরী পোশাক রপ্তানি অর্থনীতিতে যে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে তারও পথিকৃৎ টিসিবি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ও দপ্তরসমূহ:
বর্তমানে (এপ্রিল, ২০২৪) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে মোট ১৩টি সংস্থা বা দপ্তর রয়েছে। যথা –
১. বাংলাদেশ ট্রেড এবং ট্যারিফ কমিশন,
২. রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো,
৩. ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ,
৪. জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর
৫. যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর,
৬. আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের অফিস,
৭. বাংলাদেশ চা বোর্ড,
৮. বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন,
৯. বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট,
১০. বিজনেজ প্রমোশন কাউন্সিল,
১১. দি ইন্সটিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টস অব বাংলাদেশ,
১২. দি ইন্সটিটিউট অব চার্টাড একাউন্টস অব বাংলাদেশ,
১৩. ইন্সটিটিউট অব চার্টাড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ ।
উৎস: বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ওয়েবসাইট।
৭) বাংলাদেশ সরকার কোন উৎস থেকে সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় করে?
ক) ভূমি রাজস্ব
খ) মূল্য সংযোজন কর
গ) আয়কর
ঘ) আমদানি শুল্ক
সঠিক উত্তরঃ খ) মূল্য সংযোজন কর
বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় করে – মূল্য সংযোজন কর বা মূসক থেকে।
বর্তমান ২০২৩ - ২৪ অর্থবছরে রাজস্ব বোর্ডের আয়ের মোট ৩৮.১% ভ্যাট থেকে আহরণ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
অন্যান্য যেকোনো উৎসের তুলনায় সকল অর্থবছরেই মূল্য সংযোজন কর (মুসক) থেকেই সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আহরিত হয়।
দ্বিতীয় প্রধান উৎস – আয়কর (আয়, মুনাফা, ও মূলধনের উপর কর)। সরকারের রাজস্ব প্রাপ্তির চিত্র :
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট অনুযায়ী —
বৈদেশিক অনুদানসহ মোট রাজস্ব প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ৫০৩,৯০০ কোটি টাকা।
NBR নিয়ন্ত্রিত কর - NBR নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কর ৪৩০,০০০ কোটি টাকা, ২০,০০০ কোটি টাকা, কর ব্যতীত অন্যান্য প্রাপ্তি – ৫০,০০০ কোটি টাকা
বৈদেশিক অনুদান – ৩,৯০০ কোটি টাকা।
রাজস্ব বোর্ড (NBR) কর্তৃক আহরিত কর:
NBR যেসকল খাত থেকে কর উত্তোলন করে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: মূল্য সংযোজন কর ১৬৩,৮৩৭ কোটি টাকা (৩৮.১%), আয়, মুনাফা, ও মূলধনের উপর কর (৩৫.৬%), ১৫৩,২৬০ কোটি টাকা
সম্পূরক কর - ৬০,৭০৩ কোটি টাকা (১৪.১%), আমদানি শুল্ক – ৪৬,০১৫ কোটি টাকা,
আবগারি শুল্ক – ৪,৫৭৯ কোটি টাকা।
মূল্য সংযোজন কর/Value Added Tax (মূসক/VAT): মূল্য সংযোজন কর (মূসক) হচ্ছে কোন পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে তার উৎপাদন ও বণ্টনের প্রতিটি পর্যায় শেষে সংযোজিত মূল্যের ওপর শতকরা হারের কর।
বাংলাদেশে মূল্য সংযোজন কর একটি পরোক্ষ কর। - ১৯৯০ সনের মধ্য জুনের কিছু আগে মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯০ (খসড়া) তৈরি করা হয়।
মূল্য সংযোজন কর চালু হয় – ১ জুলাই ১৯৯১ সালে।
সকল পন্য ও সেবার উপর ১৫% মূল্য সংযোজন কর আরোপ হয়।
কিছু বিশেষ সেবার ক্ষেত্রে এই হার কম/বেশি হতে পারে।
উৎস: জাতীয় বাজেট – ২০২৩-২৪, NBR ওয়েবসাইট ও বাংলাপিডিয়া।
৮) মারমাদের সবচেয়ে বড় উৎসবের নাম কী?
ক) বিজু
খ) রাশ
গ) সাংগ্রাই
ঘ) বাইশু
সঠিক উত্তরঃ গ) সাংগ্রাই
মারমা জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় উৎসবের নাম সাংগ্রাই। এটি মূলত মারমা জনগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব।
বৈসাবি: পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কাছে বর্ষবরণ উৎসবই সবচেয়ে বড় এবং ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত। বাংলাদেশের ৩ বড় নৃগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসবকে একত্রে বৈসাবি বলা হয়।
ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসবের নাম – বৈসুখ/বৈসু/বাইশু,
মারমাদের বর্ষবরণ উৎসবের নাম – সাংগ্রাই,
চাকমাদের বর্ষবরণ উৎসবের নাম —বিজু।
এই ৩ বড় উৎসবকে একত্রে বৈসাবি বলা হয়। সাধারণত বছরের শেষ দুইদিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবি পালিত হয় বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায়।
মারমা ও সাংগ্রাই উৎসব: মারমা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠীর জনগণের অধিকাংশই বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়িতে বসবাস করে।
তারা মঙ্গোলয়েড বর্ণগোষ্ঠীর অন্তর্গত। তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। এই ভাষা ‘ভোট বর্মী’' শাখার বর্মী দলভুক্ত একটি ভাষা।
মারমা সম্প্রদায়ের মধ্যে তিন স্তরবিশিষ্ট প্রথাগত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিদ্যমান।
গ্রাম পর্যায়ের প্রশাসনিক প্রধানের পদবী কারবারি; মৌজা পর্যায়ের প্রধান হেডম্যান; সার্কেল প্রধান হলেন রাজা।
মারমা জনগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসবের নাম ‘সাংগ্রাই’।
সাংগ্রাই শব্দটি এসেছে ‘সাক্রাই’ থেকে; এর মানে ‘সংক্রান্তি’। সাধারণত বছরের শেষ দুইদিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন এই উৎসব পালিত হয়।
এ উৎসবের মূল আয়োজন ‘পানিখেলা' বা 'জলোৎসব'। নৌকা বা বড় পাত্রে পানি রেখে একপক্ষ আরেক পক্ষকে পানি ছিটিয়ে দেয়।
অন্যদিকে,
রাস হলো মণিপুরিদের প্রধান উৎসব। শরতের পূর্ণিমায় এই রাস হয়।
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বোর্ড বই ৷
৯) বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩-এ বাংলাদেশের কোন খেলোয়াড় সর্বোচ্চ রান করেন?
ক) লিটন দাস
খ) মুশফিকুর রহিম
গ) সাকিব আল হাসান
ঘ) মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ
সঠিক উত্তরঃ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ
২০২৩ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি মোট ৩২৮ রান করেন।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ
২০২৩ বিশ্বকাপ ক্রিকেট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
স্বাগতিক দেশ: ভারত।
মোট অংশগ্রহণকারী দেশ: ১০টি।
যথা- অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা,
বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ড এবং আফগানিস্তান।
মোট ম্যাচ: ৪৮টি এবং মোট ভেন্যু: ১০টি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান: ৫ অক্টোবর, ২০২৩ এবং ফাইনাল ম্যাচ: ১৯ নভেম্বর, ২০২৩।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩ এর মাস্কট এর নাম ব্লেজ ও টঙ্ক।
চ্যাম্পিয়ন দল – অস্ট্রেলিয়া (৬ষ্ঠ বার) এবং রানার্সআপ দল – ভারত।
সর্বাধিক রান করা ব্যাটসম্যান – বিরাট কোহলি (ভারত), ১০ ম্যাচে তার মোট রান ৭৬৫ রান।
সর্বাধিক উইকেট নেওয়া বোলার মো. সামি (ভারত), ৭ ম্যাচে ২৪টি উইকেট।
ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট – বিরাট কোহলি (ভারত)।
ম্যান অব দ্য ফাইনাল – ট্রাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া)।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ এ বাংলাদেশ :
২০২৩ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ ৯টি ম্যাচ খেলে ২টি ম্যাচে জয় লাভ করে।
২০২৩ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। (৩২৮ রান)
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহ করেন শরিফুল ইসলাম। (১০ উইকেট)
উৎস: আইসিসি ও ক্রিক-ইনফো ওয়েবসাইট।
১০) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি সংক্রান্ত নির্দেশনা সংবিধানের কত অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে?
ক) ২৫
খ) ২৬
গ) ২৭
ঘ) ২৮
সঠিক উত্তরঃ ক) ২৫
• বাংলাদেশের সংবিধানের ২৫নং অনুচ্ছেদে পররাষ্ট্র নীতি সংক্রান্ত নির্দেশনা উল্লেখ করা হয়েছে।
- অনুচ্ছেদ ২২ - নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ২৩নং অনুচ্ছেদে জাতীয় সংস্কৃতির কথা বলা হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও সমতার প্রতি শ্রদ্ধা, অন্যান্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং আন্তর্জাতিক আইনের ও জাতিসংঘের সনদে বর্ণিত নীতিসমূহের প্রতি শ্রদ্ধা-এই সকল নীতি হইবে রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভিত্তি এবং এই সকল নীতির ভিত্তি।
সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ:
• অনুচ্ছেদ ২০ - অধিকার ও কর্তব্যরূপে কর্ম ।
অনুচ্ছেদ ২১ - নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য। ।
- ২৩(ক) অনুচ্ছেদে উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির উল্লেখ রয়েছে।
- অনুচ্ছেদ ২৪ – জাতীয় স্মৃতিনিদর্শন, প্রভৃতি।
অনুচ্ছেদ ২৫ - আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন।
অনুচ্ছেদ ২৬ মৌলিক অধিকারের সহিত অসমঞ্জস আইন বাতিল। অনুচ্ছেদ ২৭ আইনের দৃষ্টিতে সমতা।।
অনুচ্ছেদ ২৮ ধর্ম, প্রভৃতি কারণে বৈষম্য।
অনুচ্ছেদ ২৯- সরকারী নিয়োগ-লাভে সুযোগের সমতা।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান।
১১) মাতৃপ্রধান পরিবার ব্যবস্থার প্রচলন কোন জাতীসত্ত্বায় রয়েছে?
ক) গারো
খ) সাওতাল
গ) মনিপুরি
ঘ) চাকমা
সঠিক উত্তরঃ ক) গারো
গারো সমাজে মাতৃপ্রধান পরিবার ব্যবস্থার প্রচলন রয়েছে।
→ গারো বাংলাদেশে বসবাসকারী একটি নৃগোষ্ঠী।
→ টাংগাইল, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, গাজীপুর জেলায় গারোদের বাস।
→ বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের মেঘালয় রাজ্যে এদের বসবাস রয়েছে। ->
→ নৃবিজ্ঞানীদের মতে গারোরা মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর তিববতী বর্মণ শাখার বোড়ো উপশাখার অন্তর্ভুক্ত।
→ গারোদের আদি বাসভূমি বর্তমান চীনের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের সিনকিয়াং প্রদেশ, যেখান থেকে তারা দেশত্যাগ করে পরবর্তীকালে তিব্বতে দীর্ঘদিন বসবাস করে।
→ এরপর ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় এবং বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের কিছু এলাকায় এরা বসবাস শুরু করে।
গারোদের সমাজ ব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক। মা-ই পরিবারের কর্তা ও সম্পত্তির অধিকারী।
- পরিবারের সন্তানসন্ততিরা মায়ের পদবি ধারণ করে।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া।
১২) অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের কোন অংশের কর্মকর্তা?
ক) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
খ) বিচার বিভাগ
গ) নির্বাহী বিভাগ
ঘ) মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ
সঠিক উত্তরঃ গ) নির্বাহী বিভাগ
• অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা।
অ্যাটর্নি জেনারেল:
বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইন পরামর্শক হলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
→ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে সরকারের প্রধান আইনজীবী হলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। অ্যাটর্নি জেনারেল হল বাংলাদেশ সরকারের প্রধান ও মুখ্য আইন পরামর্শক।
-> অ্যাটর্নি জেনারেল সাধারণত সম্মানিত জেষ্ঠ আইনানুজ্ঞদের মধ্য থেকে শাসিত সরকার কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত হন।
- এছাড়াও, অ্যাটর্নি জেনারেল তার পদাধিকার বলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হন।
→> অ্যাটর্নি জেনারেলকে কিছু সংখ্যক যুগ্ম অ্যাটর্নি জেনারেল, উপঅ্যাটর্নি জেনারেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সহায়তা করেন।
উল্লেখ্য, অ্যাটর্নি জেনারেল সাধারণত সম্মানিত জেষ্ঠ আইনানুজ্ঞদের মধ্য থেকে শাসিত সরকার কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত হন।
→ ২০২৫ সালে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন মো. আসাদুজ্জামান। তিনি ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট বাংলাদেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
১৩) বাংলাদেশে কোন নদী কার্পজাতীয় মাছের রেণুর প্রধান উৎস?
ক) সালদা
খ) হালদা
গ) পদ্মা
ঘ) কুমার
সঠিক উত্তরঃ খ) হালদা
• হালদা নদী বাংলাদেশে কার্পজাতীয় মাছের রেণুর প্রধান উৎস। হালদা নদী:
হালদী নদী সরকার ঘোষিত একটি মৎস্য অভয়াশ্রম।
→ বাংলাদেশের সীমানায় উৎপত্তি ও সমাপ্তি হয়েছে হালদা নদী।
চট্টগ্রামে অবস্থিত হালদা নদী বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র।
• এটি খাগড়াছড়ি (বাদনাতলী) থেকে উৎপন্ন হয়ে কর্ণফুলী নদীতে পতিত হয়েছে।
→ সরকার এই নদীকে 'বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ' ঘোষণা করেছে। উৎস: মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ওয়েবসাইট।
১৪) ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০-এ কয়টি ভৌগোলিক হটস্পট নির্ধারণ করা হয়েছে?
ক) ৬
খ) ৭
গ) ৮
ঘ) ৯
সঠিক উত্তরঃ ক) ৬
• ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০-এ ৬টি ভৌগোলিক হটস্পট নির্ধারণ করা হয়েছে। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০:
→ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ হলো ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণীত একটি ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং বর্ধিত জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
→ ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরা প্রবণ অঞ্চল, হাওর ও আকষ্মিক বন্যা প্রবণ অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল, নদী ও মোহনা অঞ্চল এবং নগরাঞ্চল- এ রকম মোট ৬টি হটস্পট নির্ধারণ করে সেখানে ৩৩ ধরণের চ্যালেঞ্জ শনাক্ত করা হয়েছে।
→> এই পরিকল্পনা প্রণয়নে ও বাস্তবায়নে নেদারল্যান্ডস সরকার বাংলাদেশকে সহায়তা করছে।
→ এ মহাপরিকল্পনার প্রথম ধাপ ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। • ডেল্টা প্ল্যানে ছয়টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- নদী ভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন।
উৎস: বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ওয়েবসাইট।
১৫) বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির একমাত্র নারী সদস্য কে ছিলেন?
ক) সাজেদা চৌধুরী
খ) নুরজাহান মোর্শেদ
গ) রাফিয়া আক্তার ডলি
ঘ) রাজিয়া বানু
সঠিক উত্তরঃ ঘ) রাজিয়া বানু
• বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির একমাত্র নারী সদস্য ছিলেন বেগম রাজিয়া বানু।
সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য:
→ ১১ এপ্রিল, ১৯৭২ সালে খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়।
→ এই কমিটির মোট সদস্য ছিল ৩৪ জন।
→ আওয়ামী লীগ ছাড়া একমাত্র সদস্য ছিলেন ন্যাপের সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
→> এই কমিটির প্রধান বা সভাপতি ছিলেন ড. কামাল হোসেন। সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন বেগম রাজিয়া বানু।
১৯৭২ সালরে ১১ অক্টোবর খসড়া সংবধিান প্রণয়ন কমিটি সংবিধানের চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন করেন।
→ চূড়ান্ত খসড়াটি কমিটির সভাপতি এবং দেশের তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন ১২ অক্টোবর গণপরষিদে পেশ করেন। গণপরিষদ ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর এটি গ্রহণ করে এবং ১৬ ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান, আরিফ খান।
১৬) কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে কোন বাঙালি বিজ্ঞানী গবেষণা করেছেন?
ক) কুদরত-ই-খুদা
খ) কাজী মোতাহার হোসেন
গ) জামাল নজরুল ইসলাম
ঘ) আব্দুল মতিন চৌধুরী
সঠিক উত্তরঃ গ) জামাল নজরুল ইসলাম
বাঙালি বিজ্ঞানী প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম – কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণা করেছেন।
- বিজ্ঞানী প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম: - বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. জামাল নজরুল ইসলাম। পেশাগতভাবে তিনি ছিলেন একজন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী এবং তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র ছিল আপেক্ষিকতা, বিশ্বতত্ত্ব এবং কোয়ান্টাম তত্ত্ব। আইনষ্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব, কোয়ান্টাম মেকানিক্স, কসমোলজি ও মহাবিশ্বের সৃষ্টি তত্ত্বের মতো জটিল বিষয় নিয়ে করেছেন মৌলিক গবেষণা। তিনি ১৯৩৯ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহে জন্মগ্রহণ করেন।
- ১৯৮৩ সালে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত তাঁর বই 'দি আল্টিমেট ফেইট অফ দি ইউনিভার্স' বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়। - বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত বাংলা ভাষায় তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত বই – 'কৃষ্ণগহ্বর' (ব্ল্যাক হোল)।
- তাঁর গবেষণা আইনস্টাইন-পরবর্তী মহাবিশ্ব গবেষণায় বিরাট অবদান রেখেছে। সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ কখনো এক সরলরেখায় এলে পৃথিবীর ওপর তার প্রভাব পড়বে কি না, তা নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য,
- ২০০০ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক 'একুশে পদকে' ভূষিত হন। ২০১৩ সালের ১৬ই মার্চ চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উৎস: i) বাংলাপিডিয়া।
ii) ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, প্রথম আলো।
১৭) কোন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন পদক পান?
ক) মানবাধিকার
খ) নারীর ক্ষমতায়ন
গ) শিশু মৃত্যুহার হ্রাস
ঘ) মাতৃ মৃত্যুহার হ্রাস
সঠিক উত্তরঃ খ) নারীর ক্ষমতায়ন
নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন' পদক পান।
প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন:
→ নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন' এবং ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড' প্রদান করা হয়।
-> গ্লোবাল পার্টনারশিপস ফোরাম-এর পক্ষ থেকে ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড' এবং জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ইউএন-উইম্যান-এর পক্ষ থেকে ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন' পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মালটার প্রেসিডেন্ট ম্যারি লুইস কোলেইরো প্রেকা এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের স্ত্রী বান সুন-তায়েকও 'প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন' পুরস্কার প্রদান করা হয়।
→> পুরস্কার গ্রহণের পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য,
→ শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে বাংলাদেশ 'পলিসি লিডারশিপ। ক্যাটাগরিতে 'চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ' পুরস্কার লাভ করে।
উৎস: যুক্তরাষ্ট্রস্থ বাংলাদেশ মিশনের ওয়েবসাইট ও দৈনিক প্রথম আলো, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
১৮) বাংলাদেশের ২য় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার মেয়াদ কবে শেষ হবে?
ক) ২০৩১
খ) ২০৩৫
গ) ২০৪১
ঘ) ২০৪৫
সঠিক উত্তরঃ গ) ২০৪১
বাংলাদেশের ২য় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার মেয়াদ শেষ হবে ২০৪১ সালে।
রূপকল্প ২০৪১:
বাংলাদেশের ২য় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার সময়কাল: ২০২১-২০৪১।
- রূপকল্প ২০২১ এর ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তৈরি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে রূপকল্প ২০৪১ ঘোষণা করেন।
- মূল লক্ষ্য হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করা।
রূপকল্প-২০৪১ চারটি প্রাতিষ্ঠানিক স্তম্ভ যথা: সুশাসন, গণতন্ত্র, বিকেন্দ্রীকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর প্রতিষ্ঠিত।
উদ্দেশ্য:
- সম্ভাব্য জনসংখ্যা ২১ কোটি ৩ লাখ।
- মাথাপিছু আয়: ১২,৫০০ ডলার (২০৪১ সালের মূল্যমানে ১৬,০০০ ডলারের বেশি)।
- ২০৪১ সালে বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা হবে ৫১ হাজার মেগাওয়াট।
২০৪১ অবধি ৯.৯০% জিডিপি প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা।
- বিনিয়োগ / জিডিপি অনুপাত ৪৬.৮৮ শতাংশে বৃদ্ধি করা। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ বাস্তবায়নে রাজস্বনীতি সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ হবে কর-জিডিপির অনুপাত জিডিপির ২০% এ উন্নীত করা।
দারিদ্র্য নিরসনের অভীষ্ট হল: ২০৩১ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য নির্মূল করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ৩% বা এর নিচে নিয়ে আসা।
গড় আয়ু বাড়িয়ে ৮০ বছর করা।
মোট জনসংখ্যার ৭৫% কে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা। - ২০৪১ সালের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার হার ১০০% এ বৃদ্ধি করা। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ১% এরও নিচে নামিয়ে আনা।
অন্যদিকে,
- বাংলাদেশের প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনার সময়কাল: ২০১০-২০২১। উৎস: পরিকল্পনা বিভাগের ওয়েবসাইট।
১৯) ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ কোন দেশ থেকে পণ্য রপ্তানি বাবদ সবচেয়ে বেশি আয় করেছে?
ক) যুক্তরাষ্ট্র
খ) যুক্তরাজ্য
গ) জার্মানী
ঘ) স্পেন
সঠিক উত্তরঃ খ) যুক্তরাজ্য
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি বাবদ সবচেয়ে বেশি আয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিলো – ৬৪৩৯.৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
• বাংলাদেশের রপ্তানি পরিস্থিতি [২০২২-২৩ অর্থবছর]:
→ মোট পণ্য রপ্তানির পরিমাণ (FOB) – ৩৭,০৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। [প্রবৃদ্ধি – ৯.৫৬%]
- - তৈরি পোশাক [নীট ওয়্যার ও তৈরি পোশাক (ওভেন)] থেকে আয় - ৩১,৩৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
→ ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের মোট ৮৪.৫৮% এসেছে 'তৈরি পোশাক খাত' থেকে।
→ একক পণ্য হিসাবে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করা হয় – নীট ওয়্যার; পরিমাণ
– ১৭,০৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার; রপ্তানি আয়ের – - ৪৬.০১%।
দেশভিত্তিক রপ্তানি আয় :
-> অঞ্চল হিসাবে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে।
→ একক দেশ হিসাবে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে – যুক্তরাষ্ট্রে এবং এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে – জাপানে। নিম্নে দেশভিত্তিক রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দেওয়া হলো
১. শীর্ষ দেশ – যুক্তরাষ্ট্র,
রপ্তানির পরিমাণ – ৬৪৩৯.৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার,
- রপ্তানির হার – ১৭.৩৭% ।
২. দ্বিতীয় দেশ – জার্মানি, রপ্তানির পরিমাণ - ৪৯০৬.১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, রপ্তানির হার – ১৩.২৩%।
৩. তৃতীয় দেশ – যুক্তরাজ্য, - রপ্তানির পরিমাণ = ৩৫৪৭.৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, রপ্তানির হার – ৯.৫৭%।
৪. বিশ্বে সপ্তম ও এশিয়ার মধ্যে শীর্ষ দেশ – জাপান, - রপ্তানির পরিমাণ – ১২৮৫.৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, - রপ্তানির হার ৩.৪৭%।
উৎস: অর্থনৈতিক সমীক্ষা – ২০২৩ ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো।
২০) বাংলাদেশের নবীনতম নদী কোনটি?
ক) পদ্মা
খ) যমুনা
গ) জিঞ্জিরাম
ঘ) মেঘনা
সঠিক উত্তরঃ খ) যমুনা
নিকতম অতীতে বাংলাদেশে নতুন নদী তৈরি হওয়ার ইতিহাস নেই। বরং ভরাট হয়; সংস্কারের অভাবে নদী মরে যায়।
-> প্রশ্নটি বেশ ট্রিকি। এখানে নবীনতম নদী বলতে সর্বশেষ যে নদীর ধারা সৃষ্টি হয়েছে সেটাই বুঝানো হয়েছে।
→ তাই যমুনা নদীকেই বাংলাদেশের নবীনতম নদী বলা যায়।
উৎস: -
i) জাতীয় তথ্য বাতায়ন,
ii) ভূগোল, HSC প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
iii) বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি,
iv) বাংলাপিডিয়া।
২১) 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার' চলচ্চিত্রের পরিচালক কে?
ক) গুরু দত্ত
খ) শিবু সিরিল
গ) শ্যাম বেনেগাল
ঘ) বিশাল ভরদ্বাজ
সঠিক উত্তরঃ গ) শ্যাম বেনেগাল
'মুজিব: একটি জাতির রূপকার' চলচ্চিত্রের পরিচালক শ্যাম বেনেগাল (ভারত)।
• মুজিব: একটি জাতির রূপকার (MUJIB: THE MAKING OF A NATION):
-> জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র – ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার'।
- চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় – ১৩ অক্টোবর ২০২৩ সালে।
→ ১৯ মে ২০২২ সালে ফ্রান্সে ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটির প্রাথমিক ট্রেলার মুক্তি পায়।
→ বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ভারতের খ্যাতিমান নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল।
→ এর নির্মাণ ব্যয় ৮৩ কোটি টাকা। বাংলাদেশ মোট অর্থের ৫০ কোটি ও ভারত ৩৩ কোটি টাকা দিয়েছে।
→ এর চিত্রনাট্য রচনা করেছেন
- শামা জাইদি ও অতুল তিওয়ারি। এটি বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি তিনটি ভাষায় করা হয়েছে।
চলচ্চিত্রটিতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ।
অন্যদিকে,
'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র – ‘'চিরঞ্জীব মুজিব'।
দেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র – 'মুজিব আমার পিতা'।
- বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরবর্তী ঘটনা নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র – '৫৭০'। ৭ই মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত সোহেল রানা বয়াতি নির্মিত চলচ্চিত্র - ‘তর্জনী’।
→ ১৯৭১ এর ৭ মার্চে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেই দৃপ্ত ভাষণ নিয়ে গুণী নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন নির্মাণ করেছেন তথ্যচিত্র 'দ্য স্পিচ'।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন ও প্রথম আলোপ্রতি
২২) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৭৪ সালের কোন মাসে বাংলায় বক্তৃতা দেন?
ক) সেপ্টেম্বর
খ) অক্টোবর
গ) নভেম্বর
ঘ) ডিসেম্বর
সঠিক উত্তরঃ ক) সেপ্টেম্বর
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলায় বক্তৃতা দেন।
• জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ:
- বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৮ আগস্ট জাতিসংঘের সদস্যপদের জন্য আবেদন করে।
- ১০ আগস্ট, ১৯৭২ সালে চীন বাংলাদেশের সদস্যপদের বিরুদ্ধে ভেটো প্রদান করে। স্থায়ী সদস্য হওয়ার পর এটি ছিল চীনের প্রথম ভেটো।
- ১৯৭২ সালের ১৭ অক্টোবর জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা লাভ করে।
- বাংলাদেশ জাতিসংঘের ২৯তম অধিবেশনে – ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সদস্যপদ লাভ করে।
- বাংলাদেশ জাতিসংঘের – ১৩৬ তম সদস্য।
- জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলা প্রথম ভাষণ প্রদান করেন – ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ সালে। - বাংলাদেশ ১৯৮৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করে। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ঐ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
- আনোয়ারুল করিম চৌধুরী ২০০১ সালে নিরাপত্তা পরিষদে সভাপতিত্ব করেন।
- জাতিসংঘে বাংলাদেশী প্রথম নারী স্থায়ী প্রতিনিধি ইসমাত জাহান।
উৎস: জাতিসংঘের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
২৩) The Foreshadowing of Bangladesh গবেষণা গ্রন্থটির লেখক কে?
ক) রেহমান সোবহান
খ) আনিসুর রহমান
গ) নুরুল ইসলাম
ঘ) হারুন-অর-রশিদ
সঠিক উত্তরঃ হারুন-অর-রশিদ
'The Foreshadowing of Bangladesh' গবেষণা গ্রন্থটির বইটির পুরো নাম The Foreshadowing of Bangladesh: MCO Bengal Muslim League and Muslim Politics • হারুন-অর-রশিদ:
- The Foreshadowing of Bangladesh গবেষণা গ্রন্থটির লেখক হারুন-অর-রশিদ।
- এটি '১৯৪৭ সালের আগে বাংলার মুসলমানদের অবহেলিত ইতিহাস'।
উল্লেখ্য,
- হারুন-আর-রশিদ একজন জনপ্রিয় প্রাবন্ধিক, গবেষক, কলাম লেখক এবং বহু গ্রন্থের প্রণেতা।
- ১৯৪৭-পূর্ব ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনাধীন অবিভক্ত বাংলা, পাকিস্তানি শাসনকাল, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, সমসাময়িক ভারত ও বাংলাদেশের রাজনীতি, এর গতিধারা ও রাজনৈতিক উন্নয়ন' তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র।
- বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র গঠন সব সময় তাঁর গবেষণার কেন্দ্রীয় বিষয়।
প্রফেসর হারুন-অর-রশিদ বর্তমানে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এনসাইক্লোপিডিয়া' (২০ খণ্ড) রচনা প্রকল্পের প্রধান হিসেবে গবেষণাকর্মে নিয়োজিত।
বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য ২০২১ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
তাঁর গবেষণা-গ্রন্থসমূহ:
- The Foreshadowing of Bangladesh Inside Bengal Politics 1936-1947: Unpublished Correspondence of Partition Leaders
- বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পুনপাঠ
- বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়
- বাংলাদেশ : রাজনীতি সরকার ও শাসনতান্ত্রিক উন্নয়ন (১৭৫৭-২০১৮)
আমাদের বাঁচার দাবী' : ৬ দফার ৫০ বছর
- ৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব ঐতিহ্য-সম্পদ : বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ
উৎস: ক্যামব্রিজ ইউনাভার্সিটি প্রেস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন লাইব্রেরি ও পত্রিকার প্রতিবেদন।
২৪) বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে?
ক) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
খ) সৈয়দ নজরুল ইসলাম
গ) তাজউদ্দীন আহমেদ
ঘ) বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী
সঠিক উত্তরঃ খ) সৈয়দ নজরুল ইসলাম
বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মুজিব নগর সরকার' সম্পর্কিত কিছু তথ্য:
• গঠিত হয়; ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল।
• শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় - ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১।
• সদরদপ্তর ছিলো - ৮নং থিয়েটার রোড, কলকাতা।
• সরকারকে নীতি নির্ধারণী পরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য ৮ সদস্যের একটি উপদেষ্টা কাউন্সিল গঠন করা হয়।
মন্ত্রণালয় ছিলো - ১২টি মন্ত্রণালয় ও ৩টি বিভাগ।
• শপথ পাঠ করান - অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
'মুজিব নগর সরকার' এর সাথে যুক্ত ব্যাক্তিবর্গ:
• প্রথম রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
• উপ-রাষ্ট্রপতি এবং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি - সৈয়দ নজরুল ইসলাম। • প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী - তাজউদ্দিন আহমদ।
. পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ।
. অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন - এম. মনসুর আলী। স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে ছিলেন - এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
• মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি ছিলেন - এম.এ.জি ওসমানী।
চিফ অব স্টাফ ছিলেন - কর্নেল আবদুর রব।
উৎসঃ ১. বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
২. ইতিহাস ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
২৫) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার কত শতাংশ ছিল?
ক) ৪০.৮
খ) ৪০.৯
গ) ৪১.৬
ঘ) ৪১.৮
সঠিক উত্তরঃ ঘ) ৪১.৮
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার ছিলো - ৪১.৮ শতাংশ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। - প্রধান নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার ও ৫৯২ জন সহকারি রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়।
- ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় - ৭ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে।
নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২২৩টি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হয়।
- প্রধান বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি জিতেছে ১১টি আসনে। পরবর্তীতে ২টি আসনের উপনির্বাচনেও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়লাভ করে।
বিশেষ তথ্য :
২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়। - দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে।
টানা চতুর্থবারসহ পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন – বঙ্গবন্ধুকন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। - প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নির্বাচিত ২৯৮ জন সংসদ সদস্য শপথ নেন – ১০ জানুয়ারি, ২০২৪। -
- নতুন এমপিদের শপথ বাক্য পাঠ করান বর্তমান স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী।
উৎস: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট, বাংলাদেশ টেলিভিশন ওয়েবসাইট ও ৮ জানুয়ারির ডেইলি স্টার প্রতিবেদন।
২৬) বাংলাদেশ সংবিধানের কত নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন?
ক) ৯৫
খ) ৯৬
গ) ৯৭
ঘ) ৯৮
সঠিক উত্তরঃ ক) ৯৫
২৭) ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট কতটি আসনে জয়লাভ করেছিল?
ক) ২১৯ খ) ২২১ গ) ২২৩ ঘ) ২২৫
সঠিক উত্তরঃ গ) ২২৩
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসনে জয়লাভ করে। 'যুক্তফ্রন্ট' সম্পর্কিত তথ্য:
যুক্তফ্রন্ট হলো ১৯৫৪ সালে পূর্ব বাংলার আইনসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য গঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দল সমুহের নির্বাচনী মোর্চা।
১৯৫৩ সালের ১৪ নভেম্বর ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক কাউন্সিল সম্মেলনে যুক্তফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসন লাভ করে।
যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রতীক ছিল নৌকা।
যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে। ২১ দফা ইশতেহার প্রণয়নে আবুল মনসুর আহমেদ মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।
১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের মূলমন্ত্র ছিলো প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন।
এই নির্বাচনে মোট আসন ছিলো ৩০৯টি।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
১৯৫৪ সালের ৩ এপ্রিল পূর্ব বাংলার গভর্নর সরকার গঠনের জন্য যুক্তফ্রন্ট নেতা একে ফজলুল হককে আমন্ত্রণ জানান।
যুক্তফ্রন্টের ২২৩ জন নির্বাচিত সদস্যের মধ্যে ১৩০ জন (মোট ১৪২ জন) ছিলেন আওয়ামী লীগের।
সূত্র: স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র, প্রথম খণ্ড এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি।
২৮) বাংলাদেশ সর্বাধিক জনশক্তি রপ্তানি করে কোন দেশে?
ক) সংযুক্ত আরব আমিরাত
খ) সৌদিআরব
গ) কুয়েত
ঘ) মালয়েশিয়া
সঠিক উত্তরঃ খ) সৌদিআরব
- বাংলাদেশ সর্বাধিক জনশক্তি রপ্তানি করে – সৌদি আরবে।
বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি:
২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০.১১ লাখ কর্মী বিদেশে গমন করেছেন, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২৪% হ্রাস। বিশেষ করে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে উল্লেখযোগ্য পতন লক্ষ্য করা গেছে, যেখানে ২০২৩ সালে ৩.৫১ লাখ কর্মী গমন করলেও ২০২৪ সালে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৩,৬৩১ জনে।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে কর্মী রপ্তানিতে আরও ৩৬% হ্রাস দেখা গেছে, যার পেছনে সৌদি আরবে ভিসা প্রক্রিয়ায় নতুন দূতাবাস অনুমোদন নীতিমালা একটি প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
☑️রেমিট্যান্স প্রবাহের উত্থান
জনশক্তি রপ্তানির হ্রাস সত্ত্বেও, ২০২৪ সালে রেমিট্যান্স প্রবাহে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। ২০২৪ সালে মোট রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল $২৬.৮৯ বিলিয়ন, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১০.৬৬% বৃদ্ধি। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ $৩.২৯ বিলিয়নে পৌঁছেছে, যা দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
২৯) কতজন নারী ২০২৩ সালে বেগম রোকেয়া পদক পেয়েছেন?
ক) ৩
খ) ৪
গ) ৫
ঘ) ৬
সঠিক উত্তরঃ গ) ৫
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২০২৩ সালে বেগম রোকেয়া পদক পেয়েছেন ৫ জন বিশিষ্ট নারী।
উৎস: প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ওয়েবসাইট ও প্রথম আলো প্রতিবেদন।
৩০) বাংলাদেশ প্রথম ওয়ানডে এবং টেস্ট সিরিজ জয় করে কোন দেশের বিপক্ষে?
ক) পাকিস্তান
খ) দক্ষিণ আফ্রিকা
গ) ভারত
ঘ) জিম্বাবুয়ে
সঠিক উত্তরঃ ঘ) জিম্বাবুয়ে
• বাংলাদেশ প্রথম ওয়ানডে এবং টেস্ট সিরিজ জয় করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
উৎস: বিসিবি, Cricinfo ওয়েবসাইট ও দৈনিক প্রথম আলো প্রতিবেদন (১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮)।
গাণিতিক যুক্তি
৩১) নিচের কোন ভগ্নাংশটি ২/৩ হতে বড়?
ক) ৩৩/৫০
খ) ৮/১১
গ) ৩/৫
ঘ) ১৩/২৭
সঠিক উত্তরঃ খ) ৮/১১
২/৩ = ০.৬৬৭
৩৩/৫০ = ০.৬৬
৩/৫ = ০.৬০
১৩/২৭ = ০.৪৮
এখানে, ২/৩ < ৮/১১
৮/১১ ভগ্নাংশটি ২/৩ হতে বড়।
৩২) বার্ষিক ৫% হার মুনাফায় ৪০০ টাকার ২ বছরের চক্রবৃদ্ধি মূলধন কত?
ক) ৪৪০ টাকা
খ) ৪৪১ টাকা
গ) ৪৪৫ টাকা
ঘ) ৪৫০ টাকা
সঠিক উত্তরঃ খ) ৪৪১ টাকা
দেওয়া আছে,
প্রারম্ভিক মূলধন, P = ৪০০ টাকা
বার্ষিক মুনাফার হার, r = ৫% = ৫/১০০
সময়, n = ২ বছর
আমরা জানি,
চক্রবৃদ্ধি মুনাফার ক্ষেত্রে,
সবৃদ্ধিমূল বা চক্রবৃদ্ধি মূলধন, C = P(১ + r)n
= ৪০০ {(১ + (৫/১০০)}২
= ৪০০ {(১০০ + ৫)/১00}২
= ৪০০ (১০৫/১০০)২
= ৪০০ × (২১/২০) x (২১/২০) টাকা
অর্থাৎ = ৪৪১ টাকা
৩৩) ১০০ হতে বড় দুইটি পূর্ণসংখ্যার যোগফল ৩০০ হলে, সংখ্যা দুইটির অনুপাত কত?
ক) ১ : ৯
খ) ২ : ৫
গ) ২ : ৩
ঘ) ৩ : ৫
সঠিক উত্তরঃ গ) ২ : ৩
এই ধরণের প্রশ্নগুলো অপশন টেস্ট করে করা তুলনামূলক সহজ।
অপশন (গ): ২ : ৩
ধরি,
একটি সংখ্যা ২ক এবং অপর সংখ্যা ৩ক
এখন,
২ক + ৩ক = 300
৫ক = ৩০০
ক = ৬০
একটি সংখ্যা = ২ × ৬০ = ১২০
অপর সংখ্যাটি = ৩ x ৬০ = ১৮০
সংখ্যা দুইটির অনুপাত = ১২০ : ১৮০ = ২ : ৩
যেহেতু পূর্ণসংখ্যা দুইটি ১০০ হতে বড়।
তাই সঠিক উত্তর: অপশন (গ)
বাকি অপশনগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।
৩৪) x২ - 7x + 12 ≤ 0 এর সমাধান সেট -
ক) (- ∞, 3)
খ) (3, 4)
গ) [3, 4]
ঘ) (4, ∞)
সঠিক উত্তরঃ গ) (3, 4)
x2 - 7x + 12 ≤ 0
x2 - 4x +3x + 12 ≤ 0
x (x - 3 ) - 4 ( x - 3 ) ≤ 0
(x - 3) (x - 4) ≤ 0
x2 - 7x + 12 ≤ 0 সত্য হবে যদি x - 3 ≤ 0 এবং x - 4 ≥ 0 হয়।
এখন, x - 3 ≤ 0 এবং x - 4 ≥ 0
অর্থ্যাৎ, x ≤ 3 এবং x ≥ 4
এর মান 3 এর চেয়ে বড় বা সমান এবং 4 এর চেয়ে ছোট বা সমান x এর কোন মান নাই।
এক্ষেত্রে অসমতাটির কোন সমাধান পাওয়া যাবে না।
আবার,
x2 - 7x + 12 ≤ 0 সত্য হবে যদি x - 3 ≥ 0 এবং x - 4≤ 0 হয়।
এখন, x - 3 ≥ 0 এবং x - 4≤ 0
অর্থ্যাৎ, x ≥ 3 এবং x ≤ 4
এর মান 3 এর চেয়ে বড় বা সমান এবং 4 এর চেয়ে ছোট বা সমান।
সুতরাং অসমতাটির কোন সমাধান পাওয়া যাবে,
সুতরাং নির্ণেয় সমাধান: 3 ≤ x ≤ 4
সমাধান সেট (3, 4)
৩৫) x2 + y2 + z2 = 2, xy + yz + zx = 1 হলে, (x + 2y)2 + (y + 22) 2 + (z + 2x) 2 এর মান-
ক) 12
খ) 19
গ) 16
সঠিক উত্তরঃ 14
৩৬) 3x - y = 3, 5x + y = 21 হলে (x, y) এর মান-
ক) ( 2, 5 )
খ) (2,6)
গ) (3, 5 )
ঘ) (3, 6)
সঠিক উত্তরঃ ঘ) (3, 6)
3 x - y = 3 ......... (1)
5x + y = 21 ...... ..(2)
(1) + (2) নং হতে পাই,
3 x - y = 3
5x + y = 21
8x = 24
:. x = 3
(1) নং এ x এর মান বসিয়ে পাই,
(3 x3) - y = 3
বা, 9 - y = 3
বা, y = 9 - 3
. y = 6
:. নির্ণেয় সমাধান (x, y) = ( 3, 6)
৩৭) 

হলে x এর মান কত?
ক) 3
খ) 4
গ) 5
ঘ) 6
সঠিক উত্তরঃ ঘ) 6
ক) 32
খ) 8
গ) 3
ঘ) √8
সঠিক উত্তরঃ ক) 32
log√8 = 3(1/3)
log√8 = 10/3
x = (√8) ^ 10/3
x = (√2^3)10/3
x = (2^3/2)10/3
x = 2^5
x = 32
৩৯) ১ হতে বড় ১০০০ এর মধ্যে কতগুলো সংখ্যা আছে যারা ১৬ দ্বারা বিভাজ্য নয় কিন্তু ৩০ দ্বারা বিভাজ্য?
ক) ৩৩
খ) ৩৫
গ) ৩৭
ঘ) ৪১
সঠিক উত্তরঃ প্রশ্নে সঠিক উত্তর নেই।
১ থেকে ১০০০ এর মধ্যে ৩০ দ্বারা বিভাজ্য সংখ্যা = ১০০০/৩০ = 33.333 = ৩৩
১৬ ও ৩০ দ্বারা ল.সা.গু ২৪০
আবার, ১৬ ও ৩০ উভয় সংখ্যা দ্বারা বিভাজ্য সংখ্যা = ১০০০/২৪০ = 4.167 = 8
১ হতে বড় ১০০০ এর মধ্যে কতগুলো সংখ্যা আছে যারা ১৬ দ্বারা বিভাজ্য নয় কিন্তু ৩০ দ্বারা বিভাজ্য = ৩৩ - ৪ = ২৯
অপশনে সঠিক উত্তর না থাকায় প্রশ্নটি বাতিল করা হয়েছে।
৪০) একটি সিলিন্ডারের বৃত্তীয় তলের ব্যাসার্ধ ২ সে মি এবং উচ্চতা ৬ সে মি হলে, উহার তলগুলির মোট ক্ষেত্রফল কত?
ক) ১৬π বর্গ সেমি
খ) ৩২π বর্গ সেমি
গ) ৩৬π বর্গ সেমি
ঘ) ৪৮π বর্গ সেমি
সঠিক উত্তরঃ খ) ৩২π বর্গ সেমি
দেওয়া আছে,
সিলিন্ডারের ব্যাসার্ধ, r = 2 সে.মি.
উচ্চতা, h = ৬ সে.মি.
আমরা জানি,
সিলিন্ডারের সমগ্র তলের ক্ষেত্রফল = 2πh(r+h)
= 2π× ২ (2 + ৬)
২ x ১৬π
৩২π বর্গ সে.মি.
৪১) কোনো একটি ত্রিভুজের দুইটি কোণের পরিমাণ ২৮° ও ৬২°। ত্রিভুজটি কোন ধরনের?
ক) সমকোণী
খ) সূক্ষ্মকোণী
গ) স্থূলকোণী
ঘ) সমদ্বিবাহু সমকোণী
সঠিক উত্তরঃ সমকোণী
আমরা জানি,
ত্রিভুজের তিন কোণের সমষ্টি দুই সমকোণ বা ১৮০°।
ধরি,
৩য় কোণটি ‘ক’
প্রশ্নমতে,
২৮° + ৬২° + ক = ১৮০°
বা, ৯০° + ক = ১৮০০
. ক = ৯০°
সমকোণী ত্রিভুজের একটি কোণ এক সমকোণ বা ৯০° এবং অন্য দুটি কোণের সমষ্টি এক সমকোণ।
ত্রিভুজটি সমকোণী।
৪২) 4 সেমি বাহুবিশিষ্ট বর্গক্ষেত্রে পরিলিখিত বৃত্তের ক্ষেত্রফল কত?
ক) ৪π বর্গসেমি
খ) 6π বর্গসেমি
গ) 4π বর্গসেমি
ঘ) 2√2π বর্গসেমি
সঠিক উত্তরঃ ক) ৪π বর্গসেমি
বর্গক্ষেত্রের বাহুর দৈর্ঘ্য 4 সেমি
বর্গের কর্ণের দৈর্ঘ্য = √2 × বাহু
= 4√2 সেমি
প্রশ্নমতে,
বৃত্তের ব্যাস = বর্গের কর্ণের দৈর্ঘ্য
বৃত্তের ব্যাস = 4√2
বৃত্তের ব্যাসার্ধ r = 4√2/2
= 2√2
বৃত্তের ক্ষেত্রফল = πr2
= π(2√2)2
= ৪π বর্গসেমি
৪৩) CONIC শব্দটির অক্ষরগুলো নিয়ে গঠিত বিন্যাস সংখ্যা কত?
ক) 24
খ) 40
গ) 60
ঘ) 120
সঠিক উত্তরঃ গ) 60
CONIC শব্দটিতে 5টি অক্ষর রয়েছে, যার মধ্যে দুইটি C বাকি অক্ষরগুলো ভিন্ন ভিন্ন।
নির্ণেয় বিন্যাস সংখ্যা = 5!/2! = 60
৪৪) যদি A = {x : x হলো 5, 7 দ্বারা বিভাজ্য এবং x < 150} হয় তবে P(A) এর সদস্য সংখ্যা কত?
ক) ৪
খ) 12
গ) 14
ঘ) 16
সঠিক উত্তরঃ ঘ) 16
৪৫) একটি থলিতে 5 টি নীল 10টি সাদা, 20টি কালো বল আছে। দৈব চয়নের মাধ্যমে একটি বল তুললে সেটি সাদা না হওয়ার সম্ভাবনা কত?
ক) 3/10
গ) 7/5
খ) 5/7
ঘ) 7/10
সঠিক উত্তরঃ খ) 5/7
থলিতে মোট বল আছে = (5 + 10 + 20)টি = 35টি
বলটি সাদা হওয়ার সম্ভাবনা = 10/35 = 2/7
বলটি সাদা না হওয়ার সম্ভাবনা = 1 - 2/7
= ৫/৭
মানসিক দক্ষতা
৪৬) একজন লোক উত্তর-পশ্চিম দিকে মুখ করে আছে। সে ঘড়ির কাঁটার দিকে ৯০° ঘুরে, তারপরে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ১৮০° ঘুরে এবং তারপর একই দিকে আরো ৯০° ঘুরে। এখন সে কোন দিকে মুখ করে আছে?
ক) দক্ষিণ
খ) দক্ষিণ-পশ্চিম
গ) দক্ষিণ-পূর্ব
ঘ) পূর্ব
সঠিক উত্তরঃ দক্ষিণ-পূর্ব
লোকটি প্রথমে উত্তর-পশ্চিম দিকে মুখ করে ছিলো।
ঘড়ির কাঁটার দিকে ৯০° ঘুরে উত্তর-পূর্ব মুখ করে ছিলো।
তারপরে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ১৮০° ঘুরে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মুখ করে ছিলো।
তারপর একই দিকে অর্থাৎ ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে আরো ৯০°
ঘুরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মুখ করে ছিলো।
সে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মুখ করে আছে।
৪৭) নিম্নের শব্দগুলো অভিধানে যে ক্রমে আছে সেভাবে সাজান;
(১) Protect (২) Pragmatic (৩) Pastel (৪) Postal (৫) Pebble
ক) ৪৩৫২১
খ) ৩৫৪২১
গ) ৩৪৫১২
ঘ) ৪৩৫১২
সঠিক উত্তরঃ খ) ৩৫৪২১
১ম বর্ণ P যা সবগুলো শব্দের মধ্যে আছে।
অভিধানের ক্রম
(৩) Pastel বর্ণ a, যা অভিধানে সবার প্রথমে আসে;
(৫) Pebble বর্ণ e, প্রদত্ত শব্দগুলোর মধ্যে ২য়;
(৪) Postal বর্ণ ০, প্রদত্ত শব্দগুলোর মধ্যে ৩য়;
(২) Pragmatic বর্ণ ra, প্রদত্ত শব্দগুলোর মধ্যে ৪র্থ
(১) Protect বর্ণ r, প্রদত্ত শব্দগুলোর মধ্যে ৫ম
৪৮) একটি ছবিতে একজন পুরুষের দিকে ইঙ্গিত করে একজন মহিলা বলেন, 'তার ভাইয়ের বাবা আমার দাদার একমাত্র ছেলে।' ছবির পুরুষের সঙ্গে উক্ত মহিলার সম্পর্ক কী?
ক) মা
খ) খালা
গ) বোন
ঘ) কন্যা
সঠিক উত্তরঃ গ) বোন
তার (পুরুষের) ভাইয়ের বাবা আমার দাদার একমাত্র ছেলে। :: তাদের তিন জনের বাবা একজনই ।
. ছবির পুরুষের সঙ্গে উক্ত মহিলার সম্পর্ক বোন।
৪৯) যদি E = 10, J = 20, O = 30 এবং T = 40 হয়, তাহলে B + E + S + T =?
ক) ৭১
খ) ৮২
গ) ৯০
ঘ) ৯২
সঠিক উত্তরঃ ঘ) ৯২
ইংরেজি বর্ণমালা অনুসারে,
E এর অবস্থান 5
E = 5 × 2 = 10
J এর অবস্থান 10
J = 10 × 2 = 20
Tএর অবস্থান 20
T = 20 × 2 = 40
একইভাবে,
B = 2 × 2 = 4
E = 5× 2 = 10
S = 19 × 2 = 38
T = 20 × 2 = 40
B + E + S + T = 4 + 10 + 38 + 40 = 92
৫০) নিচের কোন শব্দটি অন্যদের থেকে আলাদা?
ক) Kiwi
খ) Eagle
গ) Emu
ঘ) Ostrich
সঠিক উত্তরঃ খ) Eagle
Kiwi, Eagle, Emu, Ostrich সবগুলোই পাখি।
কিন্তু এদের মধ্যে একমাত্র Eagle উড়তে পারে বাকিগুলো উড়তে পারে না। তাই Eagle শব্দটি অন্যদের থেকে আলাদা।
৫১) একজন মহিলা বলছেন, 'আপনি যদি আমার নিজের বয়সকে উল্টে দেন তাহলে তা আমার স্বামীর বয়সকে নির্দেশ করে। তিনি আমার থেকে বয়সে বড় এবং আমাদের বয়সের পার্থক্য আমাদের মোট বয়সের যোগফলের এগারো ভাগের একভাগ।' মহিলার বয়স কত?
ক) ২৩ বছর
খ) ৩৪ বছর
গ) ৪৫ বছর
ঘ) কোনোটিই নয়
সঠিক উত্তরঃ গ) ৪৫ বছর
অপশন টেস্ট করে সমাধান করা অধিক সহজতর।
অপশন গ হতে- ৪৫ বছর।
ধরি,
মহিলার বয়স ৪৫ বছর।
মহিলার বয়সকে উল্টে দিলে তা তাঁর স্বামীর বয়সকে নির্দেশ করে। অর্থাৎ স্বামীর বয়স ৫৪ বছর।
শর্তমতে,
৫৪ বছর > ৪৫ বছর
তাদের বয়সের পার্থক্য = ৫৪ - ৪৫ = ৯ বছর।
তাদের বয়সের যোগফল = 54 + 45 = ৯৯ বছর।
তাদের বয়সের পার্থক্য/তাদের বয়সের যোগফল = ৯/৯৯ = ১/১১ যা তাদের মোট বয়সের যোগফলের এগারো ভাগের একভাগ।
.: মহিলার বয়স ৪৫ বছর।
৫২) যদি একটি কামান থেকে নিম্নলিখিত ৪টি বস্তুকে অনুভূমিক ভাবে নিক্ষেপ করা হয়, তবে কোনটি সবচেয়ে বেশি দূরে উড়ে যাবে?
সঠিক উত্তর – গ) গোলাকৃতির বস্তু
Aerodynamics- এর নিয়ম অনুযায়ী, যে বস্তুর Drag of Coeeficient কম সে বস্তু বাতাসে বা যে কোনো Fluid এর বাধা অতিক্রম করে খুব সহজেই বেশি দূরত্ব অতিক্রম করবে।
উল্লিখিত অপশনের মধ্যে,
অপশন গ) গোলকটির Drag of Coeeficient এর মান সবচেয়ে কম (০.৪৭), তাই গোলকটি বেশি দূরত্ব অতিক্রম করবে।
অপশন ঘ) মোচক (2D Triangle / 3D Cone) -এর Drag of Coeeficient গোলকের তুলনায় বেশি (০.৫০), তাই এটি গোলকের তুলনায় কম দূরত্ব অতিক্রম করবে।
বাস্তব অবস্থাও বিবেচনা করা যাক, যেহেতু এখানে ল্যাব টেস্ট নয় বরং কামান দিয়ে নিক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।
কামান থেকে মোচক আকৃতির কিছু নিক্ষেপ করা হলে সেটার সূচালো দিকটি সবসময় সামনে থাকবে না। অভিকর্ষ বল এবং বাতাসের বাধার কারণে মোচক ঘুরতে থাকবে। তাই, এক্ষেত্রে মোচকের জন্য বাতাসের বাধা গোলকের চেয়ে অনেক বেড়ে যাবে। অন্যদিকে, গোলক যেভাবেই থাকুক, একই পরিমাণ বাতাসের বাধা কাজ করবে।
দেখা যাচ্ছে, কামান থেকে মোচক বা Non-Uniform যেকোনো আকৃতির বস্তু নিক্ষেপ করা হলে বাস্তবে তা গোলকের চেয়ে কম দূরত্ব অতিক্রম করবে।
খুব স্বাভাবিক ভাবে আগের যুগে কামানের গোলা তাই গোলক আকৃতিরই হতো।
বর্তমান সময়ে মর্টার শেল বা অনুরূপ ক্ষেত্রে গোলক আকৃতির শেল বহার হয় না। সিলিন্ডাকৃতির উপর Streamlined Body (মোচক কৃতি ব্যবহার করার ফলে, পূর্বের কামানের তুলনায় এখনকার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কামানের মিসাইল বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।
সেখানেও, অরিয়েন্টেশন স্থির রাখতে তথা সূচালো অংশটা সামনে রাখতে Weight distribution, শেলের লেজের দিকে ফিন (Fin) এবং Gyroscopic Effect ব্যবহার করা হয়। নাহলে গোলা বেশিদূর যেতে পারবে না ।
- উল্লেখ্য, Streamlined Body - এর Drag of Coeeficient মাত্র ০.০৪ হওয়ায়, বর্তমানে কামানের মিসাইল অনেক বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।
- বুলেট ট্রেন, উড়োজাহাজ, রকেট, মিসাইল সহ যে কোনো উচ্চ গতিসম্পন্ন বস্তুতে Streamlined Body ব্যবহৃত হয়।
একারণে এগুলো বাতাসের বাধা সহজেই প্রতিরোধ করে উচ্চ গতিতে কম সময়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।
৫৩) একটি সভায় ১৫ জন লোক রয়েছে এবং তারা সকলেই সভা শেষে একে অপরের সাথে করমর্দন করে। মোট কতটি করমর্দন হবে?
ক) ২১০
খ) ১০৫
গ) ২২৫
ঘ) ১৯৬
সঠিক উত্তরঃ খ) ১০৫
সভায় লোক আছে, n = 15 জন
আমরা জানি,
করমর্দন সংখ্যা = ⁿC₂
সভা শেষে মোট করমর্দন সংখ্যা = 5C2
15!/(15-2)! × 2!
= (15 × 14 ) / 2
= 105 টি
৫৪) সেই জুটি নির্বাচন করুন যা- 'Children : pediatrician' জুটির মধ্যে প্রকাশিত সম্পর্কটির মতো একটি সম্পর্ককে সর্বোত্তমভাবে প্রকাশ করে।
ক) Adult : Orthopedist
খ) Kidney : Nephrologist
গ) Females : Gynecologist
ঘ) Skin : Darmatologist
সঠিক উত্তরঃ গ) Females : Gynecologist
৫৫) কোন চিত্রটি সিরিজটি সম্পূর্ণ করে?
সঠিক উত্তরঃ ক)
এখানে
প্রতিটি চিত্রে একটি করে বর্গ বৃদ্ধি পায় এবং আগের চিত্রে যা ছায়াঘেরা থাকে পরের চিত্রে তা ফাঁকা থাকে এবং আগের চিত্রে যা ফাঁকা থেকে পরের চিত্রে তা ছায়াঘেরা হয়।
চিত্রগুলো ১ম কলামে উপর থেকে নিচে তারপর নিচের সারিতে বাম থেকে ডানে যায় এবং তারপর শেষ কলামে নিচ থেকে উপরে উঠে।
বড় বর্গকে একটি 3 × 3 ম্যাট্রিক্স বিবেচনা করি।
প্রথমে ১ম চিত্রে 1,1; 2,1; 3,1 ঘরে বর্গ আছে, ২য় চিত্রে1,1; 1,2; 1,3 এর পাশাপাশি 3,2 ঘরে একটি বর্গ আসে, তারপর ৩য় চিত্রে 3,3 ঘরে ১টি বর্গ বাড়ে, ৪র্থ চিত্রে 2,3 ঘরে একটি বর্গ বাড়ে, সুতরাং ৫ম চিত্রে 1,3 ঘরে একটি বর্গ
বাড়বে।
উল্লিখিত সকল বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় সঠিক উত্তর হবে অপশন: ক
৫৬) নিম্নের প্রশ্নবোধক চিহ্নে কোন সংখ্যাটি বসবে?
ক) ৮০
খ) ১১৪
গ) ১০৮
ঘ) কোনটিই নয়
সঠিক উত্তরঃ গ) ১০৮
উপরের দুইটি সংখ্যার যোগফল কে নিচের সংখ্যাটি দ্বারা গুণ করলে মাঝখানের সংখ্যাটি পাওয়া যায়।
এখানে,
4 + ৮ = ১২ ⇒ ১২ × ৯ = ১০৮ একইভাবে,
৫ + ৪ = ৯ ⇒ ৯ × ১২ = ১০৮ সঠিক উত্তর: ১০৮
৫৭) সঠিক বানান কোনটি, চিহ্নিত করুন।
ক) Consciencious
খ) Conscienctious
গ) consciencitious
ঘ) Conscientious
সঠিক সঠিক উত্তরঃ ঘ) Conscientious
সটিক বানান Conscientious.
Conscientious (adjective):
English Meaning - Feeling a moral responsibility to do your work carefully and to be fair to others.
Bangla Meaning বিবেকবান; বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন।
৫৮) একটি কমিটিতে পুরুষ এবং মহিলার সংখ্যা একটি অনুপাতে ৩ : ২ হলে এবং মহিলা সংখ্যা ২৫ জন হলে পুরুষের সংখ্যা কত?
ক) ৩০
খ) ৩৫
গ) ৪০
ঘ) ৪৫
সঠিক উত্তরঃ প্রশ্নে সঠিক উত্তর নেই।
ধরি, কমিটিতে পুরুষের সংখ্যা ৩ক
কমিটিতে মহিলা সংখ্যা ২ক
প্রশ্নমতে,
২ক = ২৫
:. ক = ১২.৫
কমিটিতে পুরুষের সংখ্যা ৩ক = ৩ × ১২.৫ = ৩৭.৫ জন। [যা সম্ভব নয়
৫৯) 'Ubiquitous' শব্দটির সমার্থক শব্দ কোনটি চিহ্নিত করুন।
ক) Scarce
খ) Abundant
গ) Widespread
ঘ) Limited
সঠিক উত্তরঃ গ) Widespread
Ubiquitous (adjective) - একই সময়ে সর্বত্র বা বিভিন্ন স্থানে উপস্থিত; সর্বব্যাপী।
Scarce - অপ্রতুল; দুষ্প্রাপ্য; দুর্লভ; দুষ্প্রাপণীয় ।
Abundant - প্রচুর; অঢেল।
Widespread - বহুবিস্তৃত। -
Limited - নিয়ন্ত্রিত; বাধাপ্রাপ্ত; সংকীর্ণ; সীমিত; সীমাবদ্ধ। অপশন বিবেচনায় 'Ubiquitous' শব্দটির সমার্থক শব্দ Widespread.
৬০) পাঁচটি ধারাবাহিক পূর্ণসংখ্যার গড় হলো ১৫ সবচেয়ে বড় পূর্ণ সংখ্যা কত?
ক) ১৮
খ) ২০
গ) ২২
ঘ) ২৪
সঠিক উত্তরঃ অপশনে সঠিক উত্তর নাই।
ধারাবাহিক পাঁচটি পূর্ণসংখ্যার ক, ক + ১, ক + ২, ক + ৩, ক + ৪
প্রশ্নমতে,
(ক + ক + ১ + ক + ২ + ক + ৩ + ক + ৪)/৫ = ১৫
বা, ৫ক + ১০ = ১৫ × ৫
বা, ৫ক + ১০ = ৭৫
বা, ৫ক = ৬৫
.: ক = ১৩
সবচেয়ে বড় পূর্ণ সংখ্যা = ১৩ + ৪ = ১৭
অপশনে সঠিক উত্তর নাই।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন
৬১) 'Animal Liberation' গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
ক) হেগেল
খ) কান্ট
গ) বেন্থাম
ঘ) পিটার সিঙ্গার
সঠিক উত্তরঃ ঘ) পিটার সিঙ্গার
'Animal Liberation' গ্রন্থটির রচয়িতা পিটার সিঙ্গার। .
উৎস :
i) Britannica.
ii) পিটার সিঙ্গারের ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা গ্রন্থের পর্যালোচনা, আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া।
৬২) কোন শ্রেণির ক্রিয়া নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত?
ক) নৈতিকতা-নিরপেক্ষ ক্রিয়া
খ) সামাজিক ক্রিয়া
গ) ঐচ্ছিক ক্রিয়া
ঘ) ইচ্ছা-নিরপেক্ষ ক্রিয়া
সঠিক উত্তরঃ গ) ঐচ্ছিক ক্রিয়া
ঐচ্ছিক ক্রিয়া নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত।
৬৩) বাংলাদেশের 'নব্য-নৈতিকতার' প্রবর্তক হলেন-
ক) মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ
খ) জি. সি. দেব
গ) আরজ আলী মাতুব্বর
ঘ) আব্দুল মতীন
সঠিক উত্তরঃ গ) আরজ আলী মাতুব্বর
• বাংলাদেশে 'নব-নৈতিকতা'র প্রবর্তক হলেন আরজ আলী মাতুব্বর।
→ আনুষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষাবিহীন স্বশিক্ষিত একজন মননশীল লেখক ও যুক্তিবাদী দার্শনিক ছিলেন আরজ আলী মাতুব্বর (১৯০০-১৯৮৫)।
→> তিনি লড়াই করেছেন ধর্মীয় গোঁড়ামি ও অন্ধ কুসংস্কারের বিরুদ্ধে এবং সহজ-সরল ভাষায় প্রকাশ করেছেন জগৎ ও জীবন সম্পর্কে তাঁর অভিমত। তিনি মূলত বস্তুবাদী দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন।
→> মানবজীবন, প্রকৃতি-পরিবেশ, জড়জগৎ ও বিশ্ব-সংসার থেকে পাঠ নিয়ে তিনি নিজস্ব মতবাদ গড়ে তোলেন।
> তিনি দৃঢ় মনোবল ও বিশ্বাস নিয়ে সকল অন্ধতা, অজ্ঞানতা, কুসংস্কার ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
→ তাঁর বিশ্বাস ও অভিজ্ঞতার কথা তিনি একাধিক গ্রন্থে প্রকাশ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্ৰন্থসমূহ:
সত্যের সন্ধান (১৯৭৩), সৃষ্টিরহস্য (১৯৭৭), অনুমান (১৯৮৩), মুক্তমন (১৯৮৮) ইত্যাদি।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।
৬৪) নিচের কোনটি সুশাসনের মূলনীতি?
ক) স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
খ) কর্তৃত্ববাদী শাসন
গ) কেন্দ্রীভূত সিদ্ধান্ত গ্রহণ
ঘ) স্বজন প্রীতি ও পক্ষপাতিত্ব
সঠিক উত্তরঃ ক) স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
সুশাসন:
সু-শাসন হচ্ছে এক ধরণের শাসন প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ক্ষমতা সুষ্ঠুভাবে চর্চা করা হয় ।
সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে Good Governance.
সুশাসনের ধারণা সর্বপ্রথম দেয় বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংক সর্বপ্রথম সুশাসনের ধারণা দেয় ১৯৮৯ সালে।
সুশাসন প্রত্যয়টি সর্বপ্রথম ব্যবহার করে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের সংস্থা UNDP সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করে।
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি স্তম্ভ ঘোষণা করে।
দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে সুশাসন।
সুশাসনের জন্য প্রয়োজন আইনের শাসন ।
সুশাসনের মূলনীতি হচ্ছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ।
সূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।
৬৫) "মানুষ হও এবং মরে বাঁচ।" - এটি কার উক্তি?
ক) প্লেটো
খ) হেগেল
গ) জি. ই. ম্যূর
ঘ) রাসেল
সঠিক উত্তরঃ খ) হেগেল
"মানুষ হও এবং মরে বাঁচ (Be a person, Die to live)" - এটি জার্মান দার্শনিক জর্জ উইলহেলম ফ্রেডরিখ হেগেলের উক্তি।
জর্জ উইলহেলম ফ্রেডরিখ হেগেলের (১৭৭০-১৮৩১):
আধুনিক কালের পূর্ণতাবাদ বা কল্যাণবাদের প্রসিদ্ধ চিন্তাবিদ হলেন হেগেল। - তার ভাববাদের উপর ভিত্তি করেই তার নীতিদর্শন স্থাপিত। - তিনি মনে করেন যে, পরমাত্মা বা পরমসত্তাই একমাত্র স্বনির্ভর সত্তা এবং জীবাত্মাও। জড়বস্তু পরমাত্মারই খণ্ড প্রকাশ মাত্র।
হেগেলীয় পূর্ণতাবাদ:
জার্মান দার্শনিক জর্জ উইলহেলম ফ্রেডরিখ হেগেলের দর্শন অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও জটিল। তাঁর নীতিদর্শনও তাই জটিলতামুক্ত নয়।
তবে কয়েকটা বিষয় বেশ স্পষ্ট আর তা হচ্ছে –
১. জগতের সব কিছুই এক পরম সত্তার (absolute) প্রকাশ এবং এই প্রকাশটি ঘটে বিবর্তনের ধারায় একটা ক্রমবিকাশমান প্রক্রিয়া হিসেবে।
এ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে আত্ম-সচেতনতার (self-consciousness) সৃষ্টি যা পরম সত্তার গুণ। জগতে এর চূড়ান্ত প্ৰকাশ ঘটে মানুষের মধ্যে ।
হেগেলের মতে যার মধ্যে এর প্রকাশ যত বেশি সে তত বেশি আত্মবাস্তবায়ন সাধন করে এবং পূর্ণ মানুষে পরিণত হয়।
২. মানুষ পূর্ণ আত্ম-সচেতনতায় পৌঁছে একটি দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
এ প্রক্রিয়ার মূলকথা হচ্ছে মানুষের চিন্তা প্রথমে একটি মত গঠন করে। এরপর সে তা বাতিল করে দ্বিতীয় একটি প্রতিমত গঠন করে এবং এ দুটো মিলে এরপর সে আবার ততীয় একটি সমন্বয়-মত গঠন করে। এ সমন্বয় মত আবার সময়মত একটি মত হিসেবে অপর একটি প্রতি-মতের সৃষ্টি করে এবং এভাবে চিন্তা পর্ণতার দিকে এগিয়ে চলে।
৩. জগতে একটা আঙ্গিক ঐক্য রয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে জগৎ একটি সামগ্রিক সত্তা এবং এর কোন অংশকে অন্য একটি অংশের সঙ্গে কিংবা সমগ্রের সঙ্গে সম্পর্কিত হিসেবে না দেখে উপায় নেই। অন্যভাবে বলা যায়, জগতে কোন কিছুরই আলাদা ও স্বনির্ভর অস্তিত্ব নেই। হেগেলের পূর্ণতাবাদের ব্যাখ্যা প্রদান করে তেমন দুটি উক্তি খুবই প্রসিদ্ধ।
এগুলো হচ্ছে -
i) Be a person ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হও/মানুষ হও।
ii) Die to live – বাঁচার জন্য মরো/মরে বাঁচ। এই মতবাদ ও উক্তি দুটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে তার The Phenomenology of Spirit (1807) গ্রন্থে।
i) ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হও/ মানুষ হও (Be a person ) : আত্ম-সচেতনতাই যদি মানুষের লক্ষ্য হয় এ তার মধ্যে এমন একটি বোধের সৃষ্টি করে যাকে আমরা তার ব্যক্তিত্ববোধ বলতে পারি। এ ব্যক্তিত্ববোধ নিছক অন্যান্য প্রাণীদের স্বাতন্ত্র্যবোধের মত নয়।
মানুষ ব্যতীত অন্যান্য প্রাণীরা তাদের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব বুঝতে পারে এই অর্থে যে, তারা অন্যের বিরুদ্ধে ভিন্ন সত্তা হিসেবে নিজেকে জাহির করে, অন্যকে তার জীবন থেকে স্বতন্ত্র করে দেখে এবং সময়ে নিজে পরিতপ্তির জন্য তাদের সংগে মারামারি করে।
কিন্তু মানুষ এর ঊর্ধ্বেও নিজ অস্তিত্ব সম্পর্কে চিন্তা করতে পারে। তার স্বাতন্ত্র্যবোধ তাকে যেখানে অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখে, তার ব্যক্তিত্ববোধের কল্যাণে তাদের সংগে সে নিজেকে জড়িত করে ফেলে। আর এর ফলে সময়ে সে অপরের জন্য আত্মোৎসর্গও করে। হেগেলের মতে ব্যক্তিত্ব বলতে তাই নৈতিক ব্যক্তিত্বকে বুঝায়। ইন্দ্রিয়বৃত্তি নির্মূল করে বৌদ্ধিক জীবন লাভ করাতেই মানুষের পূর্ণতা নিহিত ।
ii) বাঁচার জন্য মরো মরে বাঁচ (Die to live) : মানুষ যেহেতু আত্মসচেতন জীব এবং যেহেতু তার ব্যক্তিত্ব রয়েছে, সেহেতু সে অপরাপর জীব থেকে পৃথক।
কিন্তু একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, তাদের সংগে তার কিছু মিলও রয়েছে। যেমন তার রয়েছে কিছু ইন্দ্রিয়বত্তি। এগুলোকে দমন করতে না পারলে প্রকত আত্ম-সচেতনতা তথা বৌদ্ধিক জীবন লাভ হয় না । অথচ ঐ জীবনেই রয়েছে মানুষের মুক্তি তথা সমস্ত ক্ষুদ্রতা, তুচ্ছতা ও স্বার্থপরতা থেকে মুক্তি। এ কারণে মানুষকে তার প্রবৃত্তিগুলোকে দমন করতে হবে; অন্যকথায় তার জীববত্তিমূলক জীবনকে হত্যা করতে হবে। এতে করে প্রকৃতপক্ষে সে বেঁচে যাবে।
উৎস: বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিবিদ্যা বই (SSHL), নীতিবিজ্ঞান ও ভারতীয় দর্শন [সংস্করণ-৭] এবং ব্রিটানিকা।
৬৬) জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল নীতিমালা কত সালে পাশ হয়?
ক) ২০১০
খ) ২০১১
গ) ২০১২
ঘ) ২০১৮
সঠিক উত্তরঃ গ) ২০১২
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল নীতিমালা ২০১২ সালে পাশ হয় ।
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল:
দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করেছে।
এতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অংশীদারদের ভূমিকা সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
এই কৌশলে শুদ্ধাচার বলতে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষতাকে নির্দেশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল হলো - দুর্নীতি ঠেকাতে নাগরিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, এবং সততা নিশ্চিত করণে সরকার প্রণীত একটি সুশাসন কৌশল। ⇒ স্লোগান: সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ।
উৎস: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ওয়েবসাইট।
৬৭) “দর্শন হচ্ছে ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যবর্তী এক অনধিকৃত প্রদেশ।" উক্তিটি কে করেছেন? -
ক) আর. বি. পেরি
খ) প্লেটো
গ) সি. ডি. ব্রড
ঘ) বার্ট্রান্ড রাসেল
সঠিক উত্তরঃ ঘ) বার্ট্রান্ড রাসেল
“দর্শন হচ্ছে ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যবর্তী এক অনধিকৃত প্রদেশ।" উক্তিটি করেছেন বার্ট্রান্ড রাসেল।
বার্ট্রান্ড রাসেল:
রাসেল ছিলেন একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী, এবং সমাজ সমালোচক। - তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত যুদ্ধবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ব্যক্তিত্ব। ১৯৫০ সালে রাসেল সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল তার 'মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তি'কে ওপরে তুলে ধরা তার বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ।
উল্লেখ্য, বিখ্যাত দার্শনিক বাট্রান্ড রাসেলের মতে সচেতনভাবে বা অচেতনভাবেই হোক মানুষের মনে এমন কিছু প্রশ্ন জাগে যাদের কোন যুক্তি সঙ্গত উত্তর ধর্মতত্ত্বে যেমন পাওয়া যায় না, তেমনি আবার বিজ্ঞান এদের নিয়ে আদৌ মাথা ঘামায় না।
ধর্মতত্ত্ব ও বিজ্ঞানের মধ্যবর্তী এই যে অনধিকৃত একটি রাজ্য তাতেই দর্শন বিচরণ করে চলেছে।
আর এ কারণেই রাসেল দর্শনকে বিজ্ঞান ও ধর্মতত্ত্বের মধ্যবর্তী অনধিকৃত রাজ্য (No Man's Land) বলে অভিহিত করেছেন।
⇒ তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
The Elements of Ethics,
Human Society in Ethics and Politics,
Moral and others,
Power: A New Social Analysis,
Political Ideals,
Introduction to Mathematical Philosophy etc.
উৎস: শিক্ষার দার্শনিক ও মনোবৈজ্ঞানিক ভিত্তি, এমএড প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ।
৬৮) 'সুশাসন চারটি স্তম্ভের উপর নির্ভরশীল' -এই অভিমত কোন সংস্থা প্রকাশ করে?
ক) জাতিসংঘ
খ) জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি
গ) বিশ্বব্যাংক
ঘ) এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক
সঠিক উত্তরঃ বিশ্বব্যাংক
'সুশাসন চারটি স্তম্ভের উপর নির্ভরশীল' - বিশ্বব্যাংক এই অভিমত প্রকাশ করে।
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন:
বিশ্বব্যাংকের মতে, সুশাসন হল এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদ সমাজের সমস্যা ও চাহিদা পূরণে ব্যবহৃত হয় ।
সংস্থাটি সুশাসনকে সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে ‘Governance is the manner in which power is exercised in the management of a countries economic and social resources for development.'
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক ‘শাসন: বিশ্বব্যাংকের অভিজ্ঞতা' শীর্ষক এক রিপোর্টে সুশাসনের চারটি স্তম্ভ ঘোষণা করে ।
স্তম্ভ চারটি হলো:
দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা, আইনি কাঠামো, অংশগ্রহণ।
অন্যদিকে,
বিশ্বব্যাংক সর্বপ্রথম সুশাসনের ধারণা দেয় ১৯৮৯ সালে।
১৯৯২ সালে সর্বপ্রথম সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক
৬৯) নিচের কোনটি 'SMART Bangladesh' এর উপাদান?
ক) Smart Democracy
খ) Smart Politics
গ) Smart Society
ঘ) Smart Parliament
সঠিক উত্তরঃ গ) Smart Society
• উল্লিখিত অপশনে 'Smart Society' হচ্ছে 'SMART Bangladesh' এর উপাদান।
স্মার্ট বাংলাদেশ:
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাস্তবায়ন করা হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’
স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি স্মার্ট সরকার গড়ে তোলাকে বুঝানো হয়েছে। যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও আর্থিক খাতের কার্যক্রম স্মার্ট পদ্ধতিতে রূপান্তর, সরকারি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং উন্নয়নে দক্ষ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণসহ সরকারি বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন করা হবে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ভিত্তি - ৪ টি।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে ২০৪১ সালের মধ্যে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার চারটি ভিত্তি হলো -
১. স্মার্ট সিটিজেন ২. স্মার্ট ইকোনোমি ৪. স্মার্ট সোসাইটি। ৩. স্মার্টগভর্নমেন্ট
সূত্র: এটুআই প্রোগ্রাম, মন্ত্রিপরিষদ ও আইসিটি বিভাগ।
৭০) 'Republic' গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
ক) বার্কলে
খ) জন লক
ঘ) প্লেটো
সঠিক উত্তরঃ ঘ) প্লেটো
• 'Republic' গ্রন্থটির রচয়িতা প্লেটো।
প্লেটো
প্রাচীন গ্রিসের দার্শনিক সক্রেটিসের শিষ্য ছিলেন প্লেটো এবং প্লেটোর শিষ্য ছিলেন এরিস্টটল।
সুশাসনের ধারণা প্রথম পাওয়া যায় প্লেটোর 'The Republic' গ্রন্থে।
প্লেটো তাঁর ‘রিপাবলিক' গ্রন্থে বলেছেন, “শাসক যদি ন্যায়বান হন তাহলে আইন নিস্প্রয়োজন, আর শাসক যদি দুর্নীতিপরায়ণ হন তাহলে আইন নিরর্থক।”
তার লেখা বিখ্যাত বই - Republic যা Plato's Republic নামে পরিচিত।
তার লেখা অন্যান্য বইসমূহ:
- Symposium, Apologia Socrates, Allegory of the Cave, The Laws (348 BCE), Plato : Complete Works ইত্যাদি।
উল্লেখ্য,
প্লেটোর মতে সদগুণ বা মৌলিক সততা হলো চারটি।
এগুলো হলো: জ্ঞান, সাহসিকতা, আত্মসংযম ও ন্যায়পরায়ণতা।
সূত্র: ব্রিটানিকা।
সাধারণ বিজ্ঞান
৭১) নিচের কোনটি গ্রীনহাউজ গ্যাস নয়?
ক) জলীয় বাষ্প (H2O)
খ) কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2)
গ) মিথেন (CH4)
ঘ) নাইট্রিক অক্সাইড (NO)
সঠিক উত্তরঃ নাইট্রিক অক্সাইড (NO)
গ্রীনহাউজ গ্যাস নয়-নাইট্রিক অক্সাইড (NO), এটি মূলত এসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী একটি গ্যাস।
গ্রীন হাউজ গ্যাস ও গ্রীন হাউজ প্রভাব :
শীতপ্রধান দেশে তাপমাত্রা প্রায় 0°C এর কাছাকাছি থাকে, এত কম তাপমাত্রায় শাকসব্জি চাষ চলে না। ফলে কাঁচের ছাউনিযুক্ত ঘর তৈরি করে এর মধ্যে সবুজ (green) শাকসজির চাষ করা হয়। সবুজ উদ্ভিদের ঐ কাঁচের ঘরকে গ্রীন হাউজ বলা হয়। - গ্রীন হাউজের মধ্যে তাপমাত্রা 38°C থেকে 39°C এর মধ্যে থাকে। এটি সম্ভব হয় দৃশ্যমান আলোর সব তরঙ্গ গ্রীন হাউজের কাঁচকে ভেদ করে ভেতরে ঢুকতে পারে।
ভূপৃষ্ঠ দৃশ্যমান আলো তরঙ্গ (VIBGYOR) দ্বারা উত্তপ্ত হয়, কিন্তু উত্তপ্ত ভূপৃষ্ঠ বৃহৎ তরঙ্গযুক্ত ইনফ্রারেড (IR) রশ্মি বিকিরণ করে, IR রশ্মি কাঁচ ভেদ করতে পারে না।
গ্রীন হাউজ গ্যাস:
যে সব গ্যাস ভূপৃষ্ঠের বিকিরিত IR রশ্মিকে শোষণ করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, তাদেরকে গ্রীন হাউজ গ্যাস বলে।
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) গ্যাসকে প্রধান গ্রীন হাউজ গ্যাস বলা হয়।
এছাড়াও জলীয় বাষ্প (H2O), মিথেন (CH2), নাইট্রাস অক্সাইড (N2O), ফ্রিয়ন বা ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (CFC) ও ওজোন গ্যাস (O3) গ্রীন হাউজ প্রভাব সৃষ্টি করে থাকে।
শেষের গ্যাসগুলোর ঘনত্ব বায়ুমণ্ডলে CO2 গ্যাসের তুলনায় অনেক কম হলেও এদের IR রশ্মি শোষণ ও বিকিরণ ক্ষমতা CO2 গ্যাসের তুলনায় অনেক বেশি। তাই গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এ এদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
গ্রিন হাউজ গ্যাস বায়ুতে % পরিমাণ
১। কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) গ্যাস ⇒ 49%,
২। মিথেন (CH4) গ্যাস ⇒ 18%,
৩। নাইট্রাস অক্সাইড (N2O) গ্যাস ⇒ 6%, VICQ
৪। ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (CFC) গ্যাস ⇒ 14%,
৫। ওজোন (O3) গ্যাস ⇒ ৪% এবং
৬। জলীয় বাষ্প।
অন্যদিকে,
নাইট্রিক অক্সাইড (NO) এসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী গ্যাস।
এসিড বৃষ্টির কারণ মূলত সালফার ডাই-অক্সাইড (SO2), নাইট্রোজেন অক্সাইডসমূহ (NO, NO2) ইত্যাদি।
উৎস: রসায়ন দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি (ড. হাজারী ও নাগ)।
৭২) জলীয় দ্রবণে pH এর সর্বোচ্চ মান কোনটি?
ক) ৭
খ) ১০
গ) ১৪
ঘ) ২০
সঠিক উত্তরঃ গ) ১৪
জলীয় দ্রবণে pH এর সর্বোচ্চ মান 14 এবং pH এর সর্বনিম্ন মান 0.
pH স্কেল :
কোনো পদার্থ কতটা অম্লীয় বা ক্ষারীয় তা বোঝার জন্য ১৯১৯ সালে বিজ্ঞানী সোরেনসেন pH স্কেল ব্যবহার করেন।
pH স্কেল ব্যবহার করে কোনো দ্রবণ কতটা অম্লীয় না ক্ষারীয় না নিরপেক্ষ তা বোঝা যায়।
pH কোনো দ্রবণের হাইড্রোজেন আয়ন (H) এর ঘনমাত্রা প্রকাশ করে। কোনো দ্রবণের হাইড্রোজেন আয়ন (H') এর ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদমকে ঐ দ্রবণের pH বলে।
অর্থাৎ, pH = - log[H]
pH মিটার দ্বারা কোনো দ্রবণের pH মাপা হয় ।
pH মিটারে pH স্কেল থাকে।
দ্রবণের pH মান 0 থেকে 14 এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
দ্রবণের pH মান যদি 7 অপেক্ষা কম হয় তবে দ্রবণটি হবে অম্লীয় - দ্রবণের pH মান যদি 7 অপেক্ষা বেশি হয় তবে দ্রবণটি হবে ক্ষারীয় এবং
দ্রবণের pH মান যদি 7 এর সমান হয় তবে দ্রবণটি হবে নিরপেক্ষ।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, , বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
৭৩) কোন অর্গানেলটি পর্দা দ্বারা আবেষ্টিত থাকে না?
ক) রাইবোসোম
খ) ক্লোরোপ্লাস্ট
গ) মাইটোকন্ড্রিয়া
ঘ) পারোক্সিসোম
সঠিক উত্তরঃ ক) রাইবোসোম
প্রদত্ত অপশনসমূহের মধ্যে 'রাইবোসোম' পর্দা দ্বারা আবেষ্টিত থাকে না।
রাইবোসোম:
সাইটোপ্লাজমে মুক্ত অবস্থায় বিরাজমান অথবা অন্তঃপ্লাজমীয় জালিকার গায়ে অবস্থিত যে দানাদার কণায় প্রোটিন সংশ্লেষণ ঘটে তাই রাইবোসোম।
রাইবোসোম অত্যন্ত ক্ষুদ্র এবং প্রায় গোলাকার।
রাইবোসোমের কোনো আবরণী নেই।
সাইটোপ্লাজমে একাধিক রাইবোসোম মুক্তোর মালার মতো অবস্থান করলে তাকে পলিরাইবোসোম বা পলিসোম বলে।
আদিকোষ ও প্রকৃতকোষ-এই উভয় প্রকার কোষেই রাইবোসোম উপস্থিত থাকার কারণে রাইবোসোমকে সর্বজনীন অঙ্গাণু বলা হয় ।
ক্লোরোপ্লাস্ট :
সবুজ বর্ণের প্লাস্টিডকে বলা হয় ক্লোরোপ্লাস্ট।
ক্লোরোফিল-a, ক্লোরোফিল-b, ক্যারোটিন ও জ্যান্থোফিলের সমন্বয়ে ক্লোরোপ্লাস্ট গঠিত।
ক্লোরোফিল নামক সবুজ বর্ণকণিকা (pigment) অধিক মাত্রায় ধারণ করে বলে এরা সবুজ বর্ণের। .
এতে অন্যান্য বর্ণকণিকাও কিছু কিছু পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। ১৮৮৩ সালে বিজ্ঞনী শিম্পার সর্বপ্রথম উদ্ভিদ কোষে সবুজ বর্ণের প্লাস্টিড লক্ষ্য করেন এবং নামকরণ করেন ক্লোরোপ্লাস্ট।
ক্লোরোপ্লাস্টের গঠন (ভৌত গঠন):
সমস্ত ক্লোরোপ্লাস্ট একটি দুই স্তরবিশিষ্ট আংশিক অনুপ্রবেশ্য (semipermeable) মেমব্রেন (ঝিল্লি) দ্বারা আবৃত থাকে। - ক্লোরোপ্লাস্ট মেমব্রেনে ফসফোলিপিড-এর পরিবর্তে গ্লাইকোসিল গ্লিসারাইড (glycosyl glyceride) থাকে।
এটি একটি ব্যতিক্রমী গঠন।
ক্লোরোপ্লাস্ট হলো তিন মেমব্রেন দ্বারা তৈরি ৩ প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট একটি অঙ্গাণু ।
মাইটোকন্ড্রিয়া:
প্রকৃত জীবকোষের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গাণু হলো মাইটোকন্ড্রিয়া ।
কোষের যাবতীয় জৈবনিক কাজের শক্তি সরবরাহ করে বলে
মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের 'পাওয়ার হাউস' বা শক্তিঘর বলা হয়।
এ অঙ্গাণুতে ক্রেবস্ চক্র, ফ্যাটি অ্যাসিড চক্র, ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট প্রক্রিয়া প্রভৃতি ঘটে থাকে।
দ্বিস্তরবিশিষ্ট আবরণী ঝিল্লি দ্বারা সীমিত সাইটোপ্লাজমন্ত্ৰ যে অঙ্গাণুতে ক্রেবস্ চক্র, ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট ইত্যাদি ঘটে থাকে এবং শক্তি উৎপন্ন হয় সেই অঙ্গাণুকে মাইটোকন্ড্রিয়া বলে।
মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের শ্বসন অঙ্গানু।
• পারোক্সিসোম:
পারঅক্সিসোম প্রায় সব ধরনের কোষে দেখা গেলেও প্রাণীর কিডনি ও লিভার কোষে অধিক থাকে।
অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামের আউটপকেটিং-এর মাধ্যমে এরা তৈরি হয়।
এরা এক আবরণী বিশিষ্ট, ব্যাস ০.২-১৭ pm, এবং এরা দানাদার। এর ভেতরে ক্রিস্টাল বা দানার আকারে সঞ্চয়ী এনজাইম জমা থাকে। এর মধ্যে catalase প্রধান এনজাইম, এদেরকে মাইক্রোসোম (microsome) নামেও অভিহিত করা হয়।
১৯৬৭ সালে বেলজিয়াম সাইটোলজিস্ট Christian de Duve কোষের সাইটোপ্লাজম থেকে পারঅক্সিসোম অঙ্গাণুটি আবিষ্কার করেন।
পারঅক্সিসোম প্রাণীর কিডনি ও লিভার কোষে অধিক থাকে।
উৎস: জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি (ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান) এবং জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি ।
৭৪) প্রাকৃতিক ইউরেনিয়ামে শতকরা কতভাগ U আইসোটোপ থাকে?
ক) 50%
খ) 99.3%
গ) 0%
ঘ) 69.3%
সঠিক উত্তরঃ খ) 99.3%
প্রাকৃতিক ইউরেনিয়ামে শতকরা 99.3 ভাগ U আইসোটোপ থাকে।
আইসোটোপ :
যেসব পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন হয়, সে সব পরমাণুকে পরস্পরের আইসোটোপ বলা হয়।
বর্তমানে সর্বমোট আইসোটোপের সংখ্যা প্রায় ১৩০০।
ইউরেনিয়াম :
ইউরেনিয়াম একটি তেজস্ক্রিয় মৌল।
প্রোটনের সংখ্যা: 92,
প্রোটনের সংখ্যা: 92,
নিউট্রনের সংখ্যা: 143,
অর্ধায়ু: 703.8 মিলিয়ন বছর। শতকরা পরিমাণ প্রাকৃতিক ইউরেনিয়ামে: 0.7% এবং ইউরেনিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা ৯২ এবং পারমাণবিক ভর ২৩৮। ইউরেনিয়ামের তিনটি প্রধান আইসোটোপ হলো- 238U
আইসোটোপ:
নিউট্রনের সংখ্যা: 146,
অর্ধায়ু: 4.47 বিলিয়ন বছর। • শতকরা পরিমাণ প্রাকৃতিক ইউরেনিয়ামে: 99.3% এবং 235U আইসোটোপ:
234U আইসোটোপ:
প্রোটনের সংখ্যা: 92,
নিউট্রনের সংখ্যা: 142,
শতকরা পরিমাণ প্রাকৃতিক ইউরেনিয়ামে: 0.0057% এবং অর্ধায়ু: 245,500 বছর।
238U প্রাকৃতিকভাবে অবস্থিতিশীল এবং অতি দীর্ঘজীবী। - অন্যদিকে,±35U আইসোটোপটি বিভক্ত হতে পারে এবং পারমাণবিক বিস্ফোরণের জন্য দায়ী, এটিই পারমাণবিক চুল্লী ও বোমায় ব্যবহৃত হয়।
উৎস: United States Nuclear Regolatory Commission এবং ব্রিটানিকা।
৭৫) জীববিজ্ঞানে কী ধরনের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়?
ক) বায়োইনফরমেটিক্স
খ) বায়োমেট্রিক্স
গ) বায়োকেমিস্ট্রি
ঘ) কোনটিই নয়
সঠিক উত্তরঃ ক) বায়োইনফরমেটিক্স
• জীববিজ্ঞানে তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ হলো 'বায়োইনফরমেটিক্স'।
বায়োইনফরমেটিক্স:
বায়োইনফরমেটিক্স জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার বিজ্ঞান, ইনফরমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত ও পরিসংখ্যানের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিষয়। জীববিজ্ঞানের বিশাল পরিমাণ ডেটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং সঠিকভাবে প্রক্রিয়া করে সেগুলো ব্যাখ্যা করার জন্য মূলত এই বিষয়টির জন্ম হয়েছে।
অর্থাৎ, জীববিজ্ঞানে তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ হলো বায়োইনফরমেটিক্স। - জীববিজ্ঞানের সমস্যাগুলো যখন কম্পিউটার প্রযুক্তি কৌশল ব্যবহার করে সমাধান করা হয়, তখন সেটাকে বলা হয় বায়োইনফরমেটিক্স। জিন ফাইন্ডিং গবেষণায় বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহৃত হয়।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি (মাহবুবুর রহমান)।
৭৬) গমের মোজাইক ভাইরাস কীভাবে ছড়ায়?
ক) ইদুরের মাধ্যমে
খ) মাইটের মাধ্যমে
গ) বাতাসের মাধ্যমে
ঘ) পাখির মাধ্যমে
সঠিক উত্তরঃ খ) মাইটের মাধ্যমে
গমের মোজাইক ভাইরাস:
গমের মোজাইক ভাইরাস একটি সংক্রামক আঙ্গুরীয় ভাইরাস যা গম ফসলকে আক্রমণ করে।
গমের মোজাইক ভাইরাস মূলত মাইট নামক ক্ষুদ্র পোকাদের মাধ্যমে ছড়ায়।
আক্রান্ত গাছ থেকে মাইটরা ভাইরাস গ্রহণ করে এবং অন্য সুস্থ গাছে স্থানান্তরিত হয়ে তাদের আক্রান্ত করে।
মাইটগুলো ভাইরাসযুক্ত গাছের রস শুষে নেয় এবং পরবর্তীতে সুস্থ গাছে স্থানান্তরিত হয়ে তাদের আক্রান্ত করে।
কৃষকরা মাইটের আক্রমণ এড়াতে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে যেমন- জৈব পর্যবেক্ষণ, ভাইরাস প্রতিরোধী জাত বা কীটনাশক ব্যবহার করা।
মাইটের বৈশিষ্ট্য:
মাইট হল অতি ক্ষুদ্র পোকা যা দেখতে অনেকটা গাছের পাতার ধুলোর মতো।
এরা অদৃশ্য নয়ন অস্ত্র দিয়ে গাছ থেকে রস শুষে নেয়। তাদের সরু শরীর ও চলাচল বৈশিষ্ট্যের কারণে এরা গাছের বিভিন্ন অংশে সহজেই প্রবেশ করতে পারে।
মাইট প্রতিরোধের উপায়:
জৈব পর্যবেক্ষণ এবং সময়মতো কীটনাশক ব্যবহার,
ভাইরাস প্রতিরোধী গমের জাত চাষ,
আগাম বীজতলা প্রতিস্থাপন এবং মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা,
সংক্রামিত গাছ উপড়ে ফেলা এবং জ্বালিয়ে দেওয়া।
উৎস: National Library of Medicine (NIH)।
৭৭) এন্টিবডি তৈরি করে নিচের কোনটি?
ক) Red blood corpuscle
খ) Thrombocyte
গ) B Lymphocyte
ঘ) Monocyte
সঠিক উত্তরঃ গ) B Lymphocyte
B Lymphocyte এন্টিবডি তৈরি করে।
শ্বেত রক্ত কণিকা:
শ্বেত রক্ত কণিকার নির্দিষ্ট কোনো আকার নেই। এগুলো হিমোগ্লোবিনবিহীন এবং নিউক্লিয়াসযুক্ত বড় আকারের কোষ শ্বেত রক্ত কণিকার গড় আয়ু ১-১৫ দিন।
হিমোগ্লোবিন না থাকার কারণে এদের শ্বেত রক্ত কণিকা বলে। - ইংরেজিতে White Blood Cell বা WBC বলতে শ্বেত রক্ত কণিকাকে বুঝানো হয় ৷
রক্তে এদের সংখ্যা RBC-এর তুলনায় অনেক কম। এরা অ্যামিবার মতো দেহের আকারের পরিবর্তন করে।
ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণুকে ধ্বংস করে।
মানবদেহে প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে ৪-১০ হাজার শ্বেত রক্ত কণিকা থাকে । শ্বেত রক্ত কণিকায় DNA থাকে।
গঠনগতভাবে এবং সাইটোপ্লাজমে দানার উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি অনুসারে শ্বেত কণিকাকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
(ক) অ্যাগ্রানুলোসাইট বা দানাবিহীন এবং
(খ) গ্রানুলোসাইট বা দানাযুক্ত।
অ্যাগ্রানুলোসাইট: এ ধরনের শ্বেত কণিকাগুলোর সাইটোপ্লাজম দানাহীন ও স্বচ্ছ। অ্যাগ্রানুলোসাইট শ্বেত কণিকা দুই রকমের।
যথা-লিম্ফোসাইট ও মনোসাইট।
দেহের লিম্ফলোড, টনসিল, প্লীহা ইত্যাদি অংশে এরা তৈরি হয়। লিম্ফোসাইটগুলো বড় নিউক্লিয়াসযুক্ত ছোট কণিকা।
মনোসাইট ছোট, ডিম্বাকার ও বৃক্কাকার নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট বড় কণিকা।
লিম্ফোসাইট অ্যান্টিবডি গঠন করে এবং এই অ্যান্টিবডির দ্বারা দেহে প্রবেশ করা রোগ-জীবাণু ধ্বংস করে, B-লিম্ফোসাইট (B-Lymphocyte) কোষ অ্যান্টিবডির মাধ্যমে রস নির্ভর প্রতিরক্ষা সৃষ্টি করে।
মনোসাইট ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে।
উৎস:
১. বিজ্ঞান, নবন-দশম শ্রেণি ।
২. প্রাণীবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
৭৮) অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড কোনটি?
ক) গ্লাইসিন (Glycine)
খ) সেরিন (Serine)
গ) সিস্টিন (Cistine)
ঘ) ভ্যালিন (Valine)
সঠিক উত্তরঃ ঘ) ভ্যালিন (Valine)
অপশনসমূহের মধ্যে ভ্যালিন (Valine) হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড।
আমিষ :
কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন- এই চারটি মৌলের সমন্বয়ে আমিষ তৈরি হয়।
শরীরে আমিষ পরিপাক হওয়ার পর সেগুলো অ্যাামাইনো এসিডে পরিণত হয়।
মানুষের শরীরে এ পর্যন্ত ২০ ধরনের অ্যামাইনো এসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে এবং এই অ্যামাইনো এসিড হচ্ছে আমিষ গঠনের একক।
উৎস বিবেচনায় আমিষ দুই প্রকার। যথা
১. প্রাণিজ আমিষ ও
২. উদ্ভিজ আমিষ।
প্রাণিজ আমিষ : প্রাণী থেকে যে আমিষ পাওয়া যায় তাই প্রাণিজ আমিষ। যেমন- মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ছানা, পনির ইত্যাদি
উদ্ভিজ আমিষ: উদ্ভিদ থেকে যে আমিষ পাওয়া যায় তা উদ্ভিজ্জ আমিষ। যেমন- ডাল, শিমের বিচি, মটরশুঁটি,বাদাম ইত্যাদি।
২০ টি অ্যামাইনো এসিডের মধ্যে ৮ টি অ্যামাইনো এসিডকে অপরিহার্য অ্যামাইনো এসিড বলা হয়।
যেমন- লাইসিন, ট্রিপেটোফ্যান, মিথিওনিন, ভ্যালিন (Valine), লিউসিন, আইসোলিউসিন, ফিনাইল অ্যালানিন ও থ্রিওনাইন।
এই ৮ টি অ্যামাইনো এসিড ছাড়া অন্য সবগুলো অ্যামাইনো এসিড আমাদের শরীরে সংশ্লেষ করতে পারে।
প্রাণিজ প্রোটিনে এই অপরিহার্য আটটি অ্যামাইনো এসিড বেশি থাকে বলে এর পুষ্টিমূল্য বেশি।
উদ্ভিজ্জ খাদ্যের মধ্যে ডাল, সয়াবিন, মটরশুঁটি বীজ এবং ভুট্টার মধ্যে পুষ্টিমূল্য বেশি এমন প্রোটিন পাওয়া যায়।
অন্যান্য উদ্ভিজ্জ খাদ্যে অপরিহার্য অ্যামাইনো এসিড থাকে না বলে এদের পুষ্টিমূল্য কম।
প্রাণিদেহের গঠনে প্রোটিন অপরিহার্য।
দেহকোষের বেশির ভাগই প্রোটিন দিয়ে তৈরি।
দেহের হাড়, পেশি, লোম, পাখির পালক, নখ, পশুর শিং ইত্যাদি সবগুলোই প্রোটিন দিয়ে তৈরি হয়।
প্রাণীদেহের শুষ্ক ওজনের প্রায় ৫০% হচ্ছে প্রোটিন।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
৭৯) প্রকৃতিতে মৌলিক বল কয়টি?
ক) 2 টি
খ) 3 টি
গ) 4 টি
ঘ) 5 টি
সঠিক উত্তরঃ গ) 4 টি
যা স্থির বস্তুর উপর ক্রিয়া করে তাকে গতিশীল করে বা করতে চায় - অথবা যা গতিশীল বস্তুর উপর ক্রিয়া করে তার গতির পরিবর্তন করে বা করতে চায় তাকে বল বলে।
বল: প্রকৃতিতে মাত্র চার ধরনের মৌলিক বল আছে।
যথা: মহাকর্ষ বল, তড়িৎ চৌম্বক বা বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় বল, দুর্বল নিউক্লীয় বল এবং সবল নিউক্লীয় বল।
১। মহাকর্ষ বল: এই সৃষ্টিজগতের সকলবস্তু তাদের ভরের কারণে একে অপরকে যে বল দিয়ে আকর্ষণ করে, সেটাই হচ্ছে মহাকর্ষ বল।
বল সবসময় জোড়ায় জোড়ায় ক্রিয়া করে।
এই বলের কারণে গ্যালাক্সির ভেতরে নক্ষত্ররা ঘুরপাক খায় কিংবা সূর্যকে ঘিরে পৃথিবী ঘোরে, পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদ ঘোরে।
পৃথিবীর মহাকর্ষ বল যখন আমাদের ওপর কাজ করে, তখন তাকে মধ্যাকর্ষণ বল বলে।
এই মধ্যাকর্ষণ বল আমাদেরকে নিচের দিকে (পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে) টেনে রেখেছে এবং এর কারণেই আমরা নিজেদের ওজনের অনুভূতি পাই।
ভর আছে সেরকম যেকোন বস্তু অন্য বস্তুকে মহাকর্ষ বল দিয়ে আকর্ষণ করে।
২. তড়িৎ চৌম্বক বা বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় বল:
- দুটি আহিত কণা তাদের আধানের কারণে একে অপরের ওপর যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল প্রয়োগ করে তাকে তড়িৎ চৌম্বক বল বলে।
৩। দুর্বল নিউক্লীয় বল: দুর্বল নিউক্লীয় বলকে দুর্বল বলা হয় কারণ এটা তড়িৎ চৌম্বক বল থেকে দুর্বল (প্রায় ট্রিলিওন গুণ) কিন্তু মোটেও মহাকর্ষ বল থেকে দুর্বল নয়।
মহাকর্ষ এবং তড়িৎ চৌম্বক বল যেকোন দূরত্ব থেকে কাজ করতে পারে কিন্তু এই দুর্বল নিউক্লীয় বল খুবই অল্প দূরত্বে (১০^-১৮ m) কাজ করে।
৪৷ সবল নিউক্লীয় বল :
সবল নিউক্লীয় বল হচ্ছে সৃষ্টিজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী বল, তড়িৎ চৌম্বকীয় বল থেকেও ১০০গুণ বেশি শক্তিশালি কিন্তু এটাও খুবই অল্প দূরত্বে (১০^-১৫ m) কাজ করে।
সূর্য থকে প্রাপ্ত আলো ও তাপ এই বল দিয়ে তৈরি হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
৮০) জেমস্ ওয়েব টেলিস্কোপ কোন ধরনের রেডিয়েশন ব্যবহার করে?
ক) Ultra violet
খ) Infrared
গ) Visible
ঘ) X-ray
সঠিক উত্তরঃ খ) Infrared
জেমস্ ওয়েব টেলিস্কোপ Infrared রেডিয়েশন ব্যবহার করে।
জেমস্ ওয়েব টেলিস্কোপ:
বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচাইতে শক্তিশালী টেলিস্কোপ বা দূরবীক্ষণ যন্ত্রের একটি হচ্ছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ।
নাসার দূরবীক্ষণ যন্ত্র জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি বা জুপিটারের কিছু বিস্ময়কর ছবি তুলেছে। এসব ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বৃহস্পতি গ্রহের অরোরা বা বর্ণচ্ছটা, দানবীয় ঝড়, বৃহস্পতির চাঁদ এবং গ্রহটিকে ঘিরে থাকা বলয়।
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ একটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ অভিযান প্ৰকল্পৰ ৷
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার নেতৃত্বে এটির অন্যান্য অংশীদার হচ্ছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি।
এটা ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে উৎক্ষেপণ করা হয়।
এটি এখন পৃথিবী থেকে ১৬ লাখ (ষোল লাখ) কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে।
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের প্রথম পূর্ণাঙ্গ রঙিন ছবি প্রকাশ করা হয় ২০২২ সালের ১২ই জুলাই।
বলা হয় এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বিস্তারিত "অবলোহিত (ইনফ্রারেড)" চিত্র এটি যাতে এমন সব ছায়াপথ দেখা যাচ্ছে, যেখান থেকে পৃথিবী পর্যন্ত আলো পৌঁছাতে বিলিয়ন বিলিয়ন বছর সময় লাগে। তখন থেকেই মহাবিশ্বের নিত্যনতুন দৃশ্য দেখে আসছে হাবল টেলিস্কোপের এই উত্তরসূরী।
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে তোলা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে ক্যারিনা নেবুলা নিহারীকার নক্ষত্রপুঞ্জ এবং কিছু তারকা। ক্যারিনা নেবুলা মহাকাশের বৃহত্তম এবং উজ্জ্বলতম নিহারীকাগুলোর একটি। এটির অবস্থান পৃথিবী থেকে কম বেশি ৭ হাজার ৬শ আলোকবর্ষ দূরে।
উৎস: NASA, BBC NEWS বাংলা, ২৪ আগস্ট, ২০২২ [লিঙ্ক] এবং ব্রিটানিকা ।
৮১) কোনটি আলোর প্রাথমিক রং হিসাবে বিবেচনা করা হয় না?
ক) সবুজ
খ) নীল
গ) লাল
ঘ) হলুদ
সঠিক উত্তরঃ ঘ) হলুদ
লাল, নীল, সবুজ এই তিনটি রঙকে মৌলিক রঙ (মূল রঙ) বা প্রাথমিক রং হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হলুদ মৌলিক রঙ নয়।
রং সম্পর্কিত জ্ঞান:
আমাদের চারপাশের প্রতিটি বস্তুরই নিজস্ব রং রয়েছে। রঙের উৎস প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম হতে পারে।
রং মূলত তিন প্রকার। যথা-
১। মৌলিক/প্রাথমিক রং :
লাল, নীল, সবুজ এই তিনটি রঙকে মৌলিক রঙ (মূল রঙ) বা প্রাথমিক রং হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
মৌলিক রং বা প্রাথমিক রংগুলো বিশুদ্ধ রং, কেননা এগুলো অন্যান্য রঙের সংমিশ্রণে তৈরি হয় না বরং এদের সংমিশ্রণে অন্যান্য রং সৃষ্টি হয়।
২। গৌণ রং:
মূল তিনটি বর্ণ থেকে যেকোন দুটি মিশালে যে রং হয় তাকে বলা হয় গৌণ বর্ণ।
দুটো মৌলিক রঙের মিশ্রণে গৌণ রং তৈরি হয়। যেমন-
নীল + লাল = বেগুনি,
লাল + সবুজ = হলুদ এবং
নীল + সবুজ = নীলাভ সবুজ।
এই রংগুলোকে মিশ্র বা মাধ্যমিক বর্ণও বলা হয়।
৩। প্রান্তিক রং:
মৌলিক রঙের সাথে কাছাকাছি যে কোনো একটি গৌণ রং মিশিয়ে প্রান্তিক রং প্রস্তুত করা হয়। যেমন-
হলুদ + সবুজ = হলদে সবুজ,
লাল + বেগুনি = লালচে বেগুনি,
লাল + কমলা = লালচে কমলা এবং
কমলা + হলুদ = হলদে কমলা।
উৎস: ব্রিটানিকা
৮২) রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিনটি হল-
ক) Vitamin K
খ) Vitamin A
গ) Vitamin B
ঘ) Vitamin C
সঠিক উত্তরঃ ক) Vitamin K
রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিনটি হলো- Vitamin K (ভিটামিন কে)।
ভিটামিন কে (Vitamin K):
ভিটামিন কে-এর রাসায়নিক নাম ফাইটাল নেপথোকুইনোন। - ভিটামিন কে তাপ, আর্দ্রতা ও বায়ুর সংস্পর্শে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।
ভিটামিন কে-এর উৎস:
সবুজ শাক সবজি, ডিমের কুসুম, দুধ, যকৃত, মাংস, মাছ, লেটুস পাতা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মটরশুঁটি ইত্যাদিতে ভিটামিন কে পাওয়ার যায়।
ভিটামিন কে-এর কাজ :
কোনো কারণে রক্তক্ষরণ হলে রক্ত জমাট বাঁধতে ভিটামিন কে সাহায্য করে।
রক্ত জমাটকরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন প্রোথ্রম্বিনের সক্রিয়করণে ভিটামিন কে কাজ করে।
ভিটামিন কে পিত্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
ভিটামিন কে যকৃতের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বজায় রাখে।
ভিটামিন কে-এর অভাবজনিত সমস্যা:
ভিটামিন কে-এর অভাবে রক্ত জমাট বাঁধা ব্যাহত হয়, ফলে সামান্য কাটাছেঁড়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
৮৩) ফোটন শক্তি 'E' এর সমীকরণটি হল-
ক) hλ/c
খ) hc/λ
গ) cλ/h
ঘ) chλ
সঠিক উত্তরঃ খ) hc/λ
• ফোটন শক্তি 'E' এর সমীকরণটি হলো- E = hc/a
ফোটন কণা:
ফোটন কণা তাড়িতচৌম্বক বল বহন করে।
ফোটন কণার নিশ্চল ভর শূন্য (০)।
প্রতিটি কোয়ান্টা আকার তার বা শক্তি তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের কম্পাংকের উপর নির্ভরশীল।
কৃষ্ণবস্তুর বিকিরণ, আলো তড়িৎ ক্রিয়া, কম্পটন ক্রিয়াগুলোকে ব্যাখ্যা করার জন্য বিকিরণ শক্তিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্তির প্যাকেটের গুচ্ছ প্রবাহ আকারে বিবেচনা করা হয়। এই শক্তিকে আলোর কোয়ান্টা (quanta) বা ফোটন (photon) বলে।
প্রতিটি ফোটনের শক্তি মান E = hf, যেখানে কম্পাংক, f = c/λ
বা, E = hf
বা, E = h × c/λ
E = hc/λ এখানে, A হলো বিকিরণের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
৮৪) দ্বিপদ নামকরণে দ্বিতীয় নামটি নির্দেশ করে-
ক) প্ৰজাতি
খ) বৰ্গ
গ) রাজ্য
ঘ) শ্রেণি
সঠিক উত্তরঃ ক) প্ৰজাতি
দ্বিপদ নামকরণে দ্বিতীয় নামটি 'প্রজাতি' নির্দেশ করে। প্রতি অবতা দ্বিপদ নামকরণ:
উদ্ভিদের নাম International Code of Botanical Nomenclature (ICBN) কর্তৃক এবং প্রাণীর নাম International code of Zoological Nomenclature (ICZN) কর্তৃক স্বীকৃত নিয়মানুসারে হতে হয়।
বিপুল সংখ্যক প্রাণীর গঠন ও প্রকৃতি সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জনের সঠিক উপায় হলো শ্রেণিবিন্যাস।
প্রাণীদেহে বিদ্যমান বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে মিল, অমিল ও পরস্পরের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে তার উপর ভিত্তি করে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়।
জীবজগতকে ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করার এই পদ্ধতিকে শ্রেণিবিন্যাস বলে। বর্তমানে প্রয়োজনের তাগিদে জীববিজ্ঞানের একটি স্বতন্ত্র শাখা গড়ে উঠেছে যার নাম শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা।
একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুটি অংশ বা পদ নিয়ে গঠিত হয়। প্রথম অংশটি তার গণের নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি তার প্রজাতির নাম।
প্রজাতি হলো শ্রেণিবিন্যাসের সবচেয়ে নিচের ধাপ বা একক। যেমন: মানুষ, কুনোব্যাঙ, কবুতর ইত্যাদি এক একটি প্রজাতি।
প্রকৃতিবিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াসকে শ্রেণিবিন্যাসের জনক বলা হয়।
ক্যারোলাস লিনিয়াস সর্বপ্রথম প্রজাতির বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করেন এবং দ্বিপদ বা দুই অংশ বিশিষ্ট নামকরণ প্রথা প্রবর্তন করেন। একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুই অংশ বা পদবিশিষ্ট হয়। - MCO এই নামকরণকে দ্বিপদ নামকরণ বা বৈজ্ঞানিক নামকরণ বলে।
যেমন- মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম - Homo sapiens
বৈজ্ঞানিক নাম ল্যাটিন বা ইংরেজি ভাষায় লিখতে হয়।
উৎস: জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি (ড. গাজী আজমল) এবং বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি।
৮৫) ধাতব কার্বোনেটের সাথে এসিডের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়
ক) লবণ
খ) পানি
গ) কার্বন ডাইঅক্সাইড
ঘ) সবগুলো
সঠিক উত্তরঃ ঘ) সবগুলো
• ধাতব কার্বোনেটের সাথে এসিডের বিক্রিয়ায় লবণ, পানি ও ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়।
সক্রিয় ধাতুর সাথে এসিডের বিক্রিয়া:
- এসিডের অণুতে প্রতিস্থাপন যোগ্য হাইড্রোজেন বর্তমান থাকে।
এ হাইড্রোজেন ধাতু বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
ধাতব কার্বোনেট ও হাইড্রোজেন কার্বোনেটের সাথে এসিডের বিক্রিয়া:
এসিড ধাতব কার্বোনেট বা ধাতব হাইড্রোজেন কার্বোনেট এর সাথে বিক্রিয়া করে লবণ, পানি ও কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করে থাকে। যেমন-
Na2CO3(s) + 2HCl(aq) 2NaCl(aq) + H2O(l) + CO2(g).
NaHCO3(s) + HCl(aq) NaCl (aq) + H2O(l) + CO2(g).
ধাতুর অক্সাইডের সাথে এসিডের বিক্রিয়া:
এসিড ধাতুর অক্সাইডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে থাকে।
ধাতুর অক্সাইড সমূহ ক্ষার ধর্মী এটির সাথে এসিডের বিক্রিয়া ঘটে।
ধাতুর হাইড্রোক্সাইডের সাথে এসিডের বিক্রিয়া:
এসিড ধাতুর হাইড্রোক্সাইডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে থাকে।
ধাতুর হাইড্রোক্সাইড ক্ষার বিধায় এটির সাথে এসিডের বিক্রিয়া ঘটে। - এসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়।
সক্রিয় ধাতুর সাথে এসিডের বিক্রিয়া:
ধাতুর সাথে এসিডের বিক্রিয়া সক্রিয়তার সিরিজ অনুসারে সম্পন্ন হয়। পর্যায় তালিকায় মৌল সমূহের ধর্মকে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কোনো মৌল তড়িৎ ধনাত্মক, কোনো মৌল তড়িৎ ঋণাত্মক আবার কোনো কোনো মৌল রাসায়নিকভাবে নিষ্কিয় ।
.তড়িৎ ধনাত্মক মৌল রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় জারিত হয়ে ধনাত্মক আয়নে পরিণত হয়।
হাইড্রোজেনসহ সকল ধাতু তড়িৎ ধনাত্মক মৌল।
কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
৮৬) Windows অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কিত নিম্নের কোন তথ্যটি সঠিক?
ক) এটি মাল্টি টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম
খ) এটি Open source অপারেটিং সিস্টেম
গ) ক এবং খ উভয়ই সত্য
ঘ) কোনোটিই সত্য নয়
সঠিক উত্তরঃ ক) এটি মাল্টি টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম
Windows হলো একটি মাল্টি টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম এবং Windows একটি closed source অপারেটিং সিস্টেম।
Windows:
উইন্ডোজ হচ্ছে আমেরিকার বিখ্যাত মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের তৈরি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম।
উইন্ডোজের জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ হলো গ্র্যাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস। এটি আইবিএম বা আইবিএম কম্পাটিবল কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়। সাধারণ ব্যবহারকারীন সহজেই এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেম অপারেট করতে পারে।
১৯৮৫ সালে সর্বপ্রথম উইন্ডোজ তৈরি হয়।
১৯৯০ সালে ভার্সন ৩.০ এবং ১৯৯২ সালে ৩.১ ও ৩.১১ ভার্সনের প্রচলন হয়।
১৯৯৪ সালে WIN 95/97 Operating System স্বতন্ত্র Operating System হিসেবে চালু হয়।
Windows 95 চালনার জন্য ডসের প্রয়োজন হয় না।
তবে ১৯৯৫ সালে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ৯৫ সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করে। এরপর চালু হয় উইন্ডোজ ৯৮।
বর্তমানে উইন্ডোজ এক্সপি (XP), ভিস্তা, Windows 7, Windows 10, Windows 11 বিপুলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
উৎস:
১. মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
2. geeksforgeeks.
৮৭) নিচের কোনটি কম্পিউটার মেমোরি হিসেবে দ্রুততম?
খ) Hard Disk
ক) RAM
গ) ROM
ঘ) Register
সঠিক উত্তরঃ Register
উল্লেখিত অপশন সমূহের মধ্যে Register সবচেয়ে দ্রুত কাজ করে।
• রেজিস্টার (Register):
- মূলত মাইক্রোপ্রসেসরের অস্থায়ী মেমরি রেজিস্টার হিসেবে কাজ করে।
রেজিস্টার তৈরি হয় ফ্লিপ ফ্লপের সাহায্যে।
এগুলোর কাজ করার ক্ষমতা অত্যন্ত দ্রুত।
মাইক্রোপ্রসেসরের কার্যাবলি সম্পাদানের জন্য এর অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের রেজিস্টার ব্যবহৃত হয়। যেমন: অ্যাকুমুলেটর, ইনস্ট্রাকশন রেজিস্টার, প্রোগ্রাম কাউন্টার ইত্যাদি।
মেমরির ধারণক্ষমতা, দাম ও গতির ক্রম:
পিরামিডের শীর্ষে অবস্থান করা রেজিস্টারের ধারণক্ষমতা কম হলেও এর গতি যেমন সবচেয়ে বেশি, খরচও তেমনি সবচেয়ে বেশি।
আবার পিরামিডের একদম পাদদেশে অবস্থিত অপটিক্যাল ডিস্কের ধারণক্ষমতা বেশি হলেও গতি কম এবং দামও তুলনামূলক কম ।
অন্যান্য অপশন সমূহ সম্পর্কে আলোচনা:
RAM এবং ROM হলো কম্পিউটারের প্রধান মেমোরি।
RAM হলো অস্থায়ী মেমোরি বা ভোলাটাইল মেমোরি এবং ROM স্থায়ী মেমোরি বা নন-ভোলাটাইল মেমোরি।
অসংখ্য ফ্লপি ডিস্কের ক্ষমতা সম্পন্ন ডিস্কই হলো হার্ড ডিস্ক। হার্ড ডিস্ককে একটি কম্পিউটারের তথ্য ভান্ডার বলা যায়।
সাধারণত কম্পিউটারের ভিতরে স্থায়ীভাবে হার্ড ডিস্ক বসিয়ে রেখে কাজ করতে হয়।
উৎস:
১. মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ।
২. ব্রিটানিকা ।
৩. কম্পিউটার শিক্ষা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
৮৮) নিচের কোনটি কম্পিউটার সিস্টেমের কর্মক্ষমতায় কোনো ভূমিকা রাখে না?
ক) Size of RAM
খ) Size of ROM
গ) Size of Cache Memory
ঘ) Size of Register
সঠিক উত্তরঃ খ) Size of ROM
Size of ROM কম্পিউটার সিস্টেমের কর্মক্ষমতায় কোনো ভূমিকা রাখে না।
কারণ রমে নতুন কিছু সংযোজন, সংশোধন বা পরিবর্তন করা যায় না।
অপশনের বাকি ৩টি কম্পিউটার সিস্টেমের কার্মক্ষমতার সাথে সম্পৃক্ত।
RAM:
RAM এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Random Access Memory. মাদারবোর্ডের সাথে সরাসরি সংযুক্ত যে মেমোরিতে পঠন এবং লিখন দুটি কাজই সম্পন্ন করা যায় সে মেমোরিকে RAM বলা হয়।
এটি একটি অস্থায়ী মেমোরি।
কম্পিউটারের যতক্ষণ বিদ্যুৎপ্রবাহ চালিত থাকে ততক্ষণ RAM এ তথ্যসমূহ সংরক্ষিত থাকে।
বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে RAM তার সমস্ত তথ্য মুছে ফেলে। এজন্য RAM কে কম্পিউটারের অস্থায়ী মেমোরিও বলা হয়।
ROM:
এটি হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস (যেমন কম্পিউটার) এর স্টোরেজ সিস্টেম। এটিকে স্থায়ী স্টোরেজ হিসেবে ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়।
RAM এবং ROM হলো কম্পিউটারের প্রধান মেমোরি।
তবে ROM স্থায়ী মেমোরি বা নন-ভোলাটাইল মেমোরি।
বিদ্যুৎ চলে গেলে ROM এর তথ্য মুছে যায় না তাই এটি ননভোলাটাইল মেমোরি।
Cache Memory:
কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি করার জন্য ব্যবহৃত একটি মেমরি। সাধারনত RAM ও CPU এর মাঝখানে অবস্থান করে।
কম্পিউটার যেসব ডাটাগুলো বারংবার ব্যবহার করে সেই ডাটা গুলো RAM থেকে এসে Cache তে অবস্থান করে।
Cache এর গতি বেশি হওয়ায় এখান থেকে ডাটা প্রোসেসিং এ যেতে সময় কম লাগে।
Register:
মূলত মাইক্রোপ্রসেসরের অস্থায়ী মেমরি রেজিস্টার হিসেবে কাজ করে। রেজিস্টার তৈরি হয় ফ্লিপ ফ্লপের সাহায্যে।
এগুলোর কাজ করার ক্ষমতা অত্যন্ত দ্রুত।
মাইক্রোপ্রসেসরের কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য এর অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের রেজিস্টার ব্যবহৃত হয়।
অর্থাৎ মাইক্রোপ্রসেসর যখন হিসাব-নিকাশের কার্যাবলি সম্পাদন করে তখন ডেটাকে সাময়িকভাবে জমা রাখার জন্য রেজিস্টারসমূহ ব্যবহৃত হয়।
উৎসঃ
১. ব্রিটানিকা
২. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
৮৯) নিচের কোনটি অক্টাল সংখ্যা (২৪), এর সঠিক বাইনারি রূপ?
ক) (111 101 ) 2
খ) (010 100) 2
গ) (111 100)2
ঘ) (101 010)2
সঠিক উত্তরঃ খ) (010 100) 2
অক্টাল থেকে বাইনারিতে রূপান্তর:
যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ৮টি অঙ্ক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাকে অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
অক্টাল থেকে বাইনারি সংখ্যায় রূপান্তরের ক্ষেত্রে প্রতিটি অক্টাল অংক কে তিন বিট বিশিষ্ট বাইনারি রূপান্তর করলে বাইনারি সংখ্যা পাওয়া যায়। যেমন-
১ = ০০১
২ = ০১০
৩ = ১০১
০১০ ১০০
(২৪), = (010 100) 2
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ।
৯০) একটি অপারেটিং সিস্টেম একজন ব্যক্তিকে বিভিন্ন symbols, icon অথবা visual metaphor এর মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে সংযোগ স্থাপনে ভূমিকা পালন করে। নিচের কোনটি এ শ্রেণির কাজকে নির্দেশ করে?
ক) Command Line Interface
খ) Graphical User Interface
গ) Block User Interface
ঘ) Tap User Interface
সঠিক উত্তরঃ খ) Graphical User Interface
গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেম একজন ব্যক্তিকে বিভিন্ন symbols, icon অথবা visual metaphor এর মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে সংযোগ স্থাপনে ভূমিকা পালন করে।
চিত্রভিত্তিক বা গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেম:
গ্রাফিক্সের বা চিত্রের মাধ্যমে কমান্ড প্রয়োগ করে কম্পিউটার পরিচালনা করা গেলে তাকে চিত্রভিত্তিক বা গ্র্যাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেম বলে।
এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেমে ডিস্ক ফরমেটিং থেকে শুরু করে ফাইল ব্যবস্থাপনা এবং অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামের সব কাজ করতে হয় বিভিন্ন প্রকার আইকন এবং পুলডাউন মেন্যু ব্যবহার করে।
প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামের আইকনের ওপর মাউস দিয়ে ডবল ক্লিক করলে প্রোগ্রামটি চালু হয়।
Windows 95/98/Xp / 2000 / 7, Mac OS ইত্যাদি চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের উদাহরণ।
এই অপারেটিং সিস্টেমের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো :
১. চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে কম্পিউটার চালু করার পর ডেস্কটপে বিভিন্ন প্রোগ্রামের আইকন বা প্রতীক থাকে।
২. বিভিন্ন প্রকার আইকন এবং পুল ডাউন মেন্যু কমান্ড ব্যবহার করে কম্পিউটারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করা হয়।
৩. কমান্ডের জন্য মেন্যু এবং প্রতিটি মেন্যুর আওতায় অনেক পুল ডাউন মেনু কমান্ড থাকে।
৪. মাউসের সাহায্যে Icon এবং পুল ডাউন মেনু কমান্ড কার্যকরী করা যায়।
৫. নতুন কোনো হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার সংযোগ করা হলে কম্পিউটার নিজে থেকে বুঝতে পারে কোথায় সংযোগ করা হয়েছে।
৬. নেটওয়ার্কিং, শেয়ারিং ও ইন্টারনেটব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকর।
৭. এ ধরনের সিস্টেমের জন্য ব্যবহারকারীকে কোনো ধরনের কমান্ড মুখস্থ রাখতে হয় না।
৮. মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম কার্যকর।
৯. এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের জন্য কম্পিউটারে বেশি মেমরির প্রয়োজন হয়।
উৎস: মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
৯১) নিচের কোন বিবৃতিটি কম্পাইলার সম্পর্কিত সঠিক?
ক) এটি Interpreter-এর চেয়ে অনুবাদ করতে বেশি সময় লাগে
খ) এটি প্রতি লাইন প্রোগ্রাম পড়ে এবং অনুবাদ করে
গ) এটি একবারে পুরো প্রোগ্রাম অনুবাদ করে
ঘ) এটি মেশিন প্রোগ্রামকে সোর্স প্রোগ্রামে রূপান্তর করে
সঠিক উত্তরঃ এটি একবারে পুরো প্রোগ্রাম অনুবাদ করে
ইন্টারপ্রেটার এক লাইন করে সম্পাদন করে এবং তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রদান করে। অপরদিকে কম্পাইলার সম্পূর্ণ প্রোগ্রামটিকে একসাথে অনুবাদ করে এবং সবগুলো ভুল একসাথে প্রদর্শন করে৷ ফলে অনুবাদ করতে ইন্টারপ্রেটারের চেয়ে কম্পাইলারের সময় কম লাগে।
অনুবাদক প্রোগ্রাম:
যে প্রোগ্রামের মাধ্যমে উৎস প্রোগ্রামকে বস্তু প্রোগ্রামে পরিণত করা হয়, তাকে অনুবাদক প্রোগ্রাম বলে।
অনুবাদক প্রোগ্রাম তিন ধরনের হয়ে থাকে।
যথা: ১. কম্পাইলার, ২. ইন্টারপ্রেটার ও ৩. অ্যাসেম্বলার।
কম্পাইলার :
কম্পাইলার হলো এমন একটি অনুবাদক যা সোর্স প্রোগ্রাম একসাথে সম্পূর্ণরূপে মেশিনের ভাষায় অনুবাদ করে একটি অবজেক্ট প্রোগ্রাম তৈরি করে এবং একটি এক্সিকিউশন ফাইল (.exe) তৈরি করে। এখানকার এক্সিকিউশন ফাইল অত্যন্ত দ্রুততার সাথে এক্সিকিউট হয়ে থাকে।
ফলে প্রোগ্রামিং প্রক্রিয়া অত্যন্ত দ্রুততর হয় এবং প্রোগ্রামারকে নিজ হাতে কোন অনুবাদকের কাজ করতে হয় না।
কোন নির্দিষ্ট কম্পাইলার একটি মাত্র উচ্চতর ভাষার প্রোগ্রামকে কম্পাইল করতে পারে।
কম্পাইলার অনুবাদ করা ছাড়াও উৎস প্রোগ্রামের গুণাগুণও বিচার করতে পারে।
প্রোগ্রামকে অনুবাদ করে অবজেক্ট প্রোগ্রাম তৈরি করা। - সম্পূর্ণ প্রোগ্রামটিকে একসাথে অনুবাদ করা এবং সবগুলো ভুল একসাথে প্রদর্শন করা ।
প্রোগ্রামের সঙ্গে প্রয়োজনীয় রুটিন যোগ করা।
রুটিন হলো প্রোগ্রামের ছোট অংশ যাতে কোনো নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য নির্দেশ দেয়া থাকে।
প্রোগ্রামে কোনো ভুল থাকলে তা জানানো।
উৎস:
১. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
২. কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি-১, এসএসসি, ভোকেশনাল।
৯২) নিচের কোনটি সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নয়?
ক) Facebook
খ) Instagram
গ) Twitter
ঘ) Google
সঠিক উত্তরঃ Google
উল্লেখিত অপশন সমূহের মধ্যে Facebook, Instagram ও Twitter (বর্তমানে 'x') সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং Google একটি সার্চ ইঞ্জিন।
গুগল (Google):
ল্যারি পেইজ এবং সার্জে ব্রেইন ১৯৯৮ সালে আমেরিকান সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানি গুগল প্রতিষ্ঠা করেন।
বর্তমান CEO: Sundar Pichai (Oct 2, 2015 present)
গুগল শব্দটির উৎপত্তি 'গুগোল' (googol) থেকে- যা একটি বিশেষ সংখ্যার নাম।
গুগল ও আলফাবেটের কর্পোরেট হেডকোয়ার্টার কমপ্লেক্সের নাম হচ্ছে গুগলপ্লেক্স।
গুগলপ্লেক্স মাউন্টেইন ভিউ, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। গুগলের সার্ভিসসমূহ: Google Nest, Drive, Google Maps, Google Workspace, Chrome, Gmail, Android, Google Assistant, YouTube, Google Keep, Google Meet, Google Photos, Chromebook, AdSense প্রভৃতি।
ইনস্টাগ্রাম:
ইনস্টাগ্রাম চালু হয় ২০১০ সালের ৬ অক্টোবর।
ইনস্টাগ্রাম প্রতিষ্ঠা করেন কেভিন সাইস্ট্রম ও মাইক ক্রিঞ্জার এটি বর্তমানে সারা বিশ্বে ৩৩ ভাষায় ব্যবহার করা হয়।
- ২০১২ সালে Instagram কিনে নিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট Facebook। বর্তমানে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ মেটার অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
ফেসবুক:
কম্পাইলারের প্রধান কাজ:
বর্তমান CEO: মার্ক জাকারবার্গ
প্রতিষ্ঠাকাল: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৪
বাণিজ্যিক নাম: মেটা
· সদরদপ্তর: ম্যানলো পার্ক, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
মেটার অধীনস্ত কোম্পানিগুলো হলো- ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটস্ অ্যাপ, ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদি।
• X (Twitter):
- X এর পূর্বনাম টুইটার।
- অক্টোবর, ২০২২ সালে ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নেয়।
- জুলাই, ২০২৩ সালে ইলন মাস্ক Twitter এর নাম পরিবর্তন করেন এবং নতুন নাম দেন X.
- X এ সর্বোচ্চ ২৮০ অক্ষরের বার্তা পোস্ট করা যায়।
প্রতিষ্ঠাকাল: ২১ মার্চ ২০০৬ এবং চালু হয় ১৫ জুলাই ২০০৬ সালে। সদরদপ্তর: San Francisco, California, United States. প্রতিষ্ঠাতা: Jack Dorsey, Evan Williams, Biz Stone, Noah Glass.
- বর্তমান CEO: Linda Yaccarino.
উৎস: ব্রিটানিকা এ সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট।
৯৩) Cellular Data Network এর ক্ষেত্রে GPRS বলতে কী বুঝায়?
ক) Global Positioning Radio Service
খ) General Positioning Radio Service
গ) Global Packet Radio Service
ঘ) General Packet Radio Service
সঠিক উত্তরঃ General Packet Radio Service
GPRS বলতে বোঝায় General Packet Radio Service মোবাইল ফোন প্রযুক্তির প্রকারভেদ:
বর্তমানে প্রচলিত মোবাইল ফোন প্রযুক্তিকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. GSM [Global System for Mobile Communication): - GSM হলো TDMA এবং FDMA এর সম্মিলিত একটি চ্যানেল অ্যাকসেস পদ্ধতি।
এই প্রযুক্তিতে মোবাইল ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে উচ্চগতির প্রযুক্তি GPRS (General Packet Radio Service), EDGE (Enhanced Data Rate for GSM Evolution) ব্যবহৃত হয়। সেল কভারেজ এরিয়া ৩৫ কি.মি.।
এতে আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা আছে।
২. CDMA (Code Division Multiple Access): এই প্রযুক্তিতে ডেটা পাঠানো হয় ইউনিক কোডিং পদ্ধতিতে।
যে পদ্ধতিতে ডেটা আদান-প্রদান করে তাকে স্প্রেড স্পেকট্রাম বলা হয়।
মোবাইল অপারেটর সিটিসেল এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
সেল কভারেজ এরিয়া ১১০ কি.মি.।
আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা নেই।
উৎস:
১. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান
২. ব্রিটানিকা।
৯৪) বাহিরের আক্রমণ থেকে প্রাইভেট নেটওয়ার্ক রক্ষার্থে নিচের কোনটি ব্যবহৃত হয়?
ক) Antivirus
খ) Digital Signature
গ) encryption
ঘ) Firewall
সঠিক উত্তরঃ ঘ) Firewall
ফায়ারওয়াল (Firewall):
Unauthorized ব্যবহারকারীর হাত থেকে নেটওয়ার্ক রিসোর্সকে রক্ষা কিংবা সাইবার অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে ফায়ারওয়াল (Firewall)ব্যবহার করা হয়।
অননুমোদিত ফায়ারওয়াল হলো এমন এক ধরনের তথ্য ব্যবস্থাপনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা কোনো একটি কোম্পানির নিজস্ব নেটওয়ার্ক তথা ইন্ট্রানেট ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের মধ্যে অবৈধ অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করে।
কোনো কম্পিউটারের সফটওয়্যারের নিরাপত্তা প্রদানের নিমিত্তে ফায়ারওয়াল তৈরি করা হয়।
সাধারণত কোনো ফায়ারওয়ালের সাথে রাউটার (Router) বা ডেডিকেটেড সার্ভার (Dedicated server) থাকে যা সম্পূর্ণ ফায়ারওয়াল হিসেবে কাজ করে।
ফায়ারওয়াল কোনো প্রতিষ্ঠানের গেইট কিপার (Gate Keeper) হিসেবে কাজ করে যা যে কোনো ধরনের প্রবেশকে নিরাপদ এবং ডেটার ফিল্টার হিসেবে কাজ করে।
ফায়ারওয়াল হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে কিন্তু সবসময় প্রতিরোধ করতে পারে না।
অন্যান্য অপশনসমূহ সম্পর্কে আলোচনা:
কম্পিউটারে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। এন্টিভাইরাস ব্যবহার করলে
কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণের পূর্বেই তা রোধ করে অথবা ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে দেয়।
ডাটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ডাটাকে উৎস হতে গন্তব্যে প্রেরণের পূর্বে যে বিশেষ পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা হয় তাকে এনক্রিপশন পদ্ধতি বলা হয়।
উৎস:
১. মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
২. কম্পিউটার শিক্ষা, এসএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। ৩. ব্রিটানিকা।
৯৫) নিচের কোনটি সার্চ ইঞ্জিন নয়?
ক) Bing
খ) Google
গ) Yahoo
ঘ) Safari
সঠিক উত্তরঃ ঘ) Safari
অপশনে উল্লেখিত Bing, Google ও Yahoo হলো সার্চ ইঞ্জিন এবং Safari হলো একটি ওয়েব ব্রাউজার।
সার্চ ইঞ্জিন:
ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা আন্তর্জালের দুনিয়াতে যেকোনো তথ্য বা ছবি খুঁজে বের করার প্রযুক্তি মাধ্যম। সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রদর্শন করা হয়ে থাকে।
ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন ক্রোলার বট এর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে। - বিশ্বের প্রথম সার্চ ইঞ্জিন Archie.
গুগল, চরকি, খুঁজুন.কম, পিপীলিকা, ইয়াহু, নাভের, ইয়াণ্ডেক্স, বিং, এওএল, বাইডু, ডাকডাকগো, কিওওয়ান্ট হলো পরিচিত ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন। Bing মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন সার্চ ইঞ্জিন।
ওয়েব ব্রাউজার:
ওয়েব ব্রাউজার হলো একটি বিশেষ সফটওয়্যার, যা ওয়েবসাইটে বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধানে ব্যবহৃত হয়।
ওয়েব ব্রাউজারকে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার গেটওয়ে বলা যেতে পারে। safari হলো অ্যাপলের মালিকানাধীন একটি ওয়েব ব্রাউজার - ক্রোম হলো প্রধান আমেরিকান সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানি Google Inc. দ্বারা প্রকাশিত একটি ইন্টারনেট ব্রাউজার।
২০১৩ সাল নাগাদ ক্রোম প্রভাবশালী ব্রাউজারে পরিণত হয়েছিল, জনপ্রিয়তায় মাইক্রোসফটের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এবং মজিলার ফায়ারফক্সকে ছাড়িয়ে যায়।
কিছু জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারের হলো Google Chrome, Mozilla Firefox, Safari, Opera, Microsoft Edge, Maxthon, Brave, UC Browser.
উৎস: ব্রিটানিকা ও সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট।
৯৬) ইন্টারনেট জগতে hyper-linked document গুলোর কালেকশানকে কী বলে?
ক) HTML
খ) Email
গ) WWW
ঘ) DWS
সঠিক উত্তরঃ গ) WWW
ইন্টারনেট জগতে hyper-linked document গুলোর কালেকশানকে WWW বলে।
WWW:
www এর পূর্ণরূপ হলো World Wide Web. ive ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) হলো সুইজারল্যান্ডের গবেষকদের দ্বারা উদ্ভাবিত একটি হাইপারটেক্সট ভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউটেড ইনফরমেশন সিস্টেম। এটি একটি বৃহৎ - সিস্টেম যা অনেকগুলো সার্ভার সংযুক্তির মাধ্যমে গঠিত হয়।
টিম বার্নার্স লি ১৯৮৯ সালে সুইজারাল্যান্ডের জেনেভায় WWW তৈরি করেন।
টিম বার্নাস লি'কে WWW এর জনক বলা হয়।
ECRN (The European Center for Nuclear Research) - ১৯৮৯ সালে www এর সূচনা হয় ৷
WWW এর বহুল প্রচলন শুরু হয় ১৯৯৩ সালে ।
উৎস:
১. মৌলক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
2. www foundation.
3. University of washignton.
8. TechTarget MC
৯৭) গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী, ইউটিলিটি-ভিত্তিক কম্পিউটিং পরিষেবা প্রদানের জন্য কোন প্রযুক্তিটি Distributed Computing এর একটি দৃষ্টান্ত?
ক) Remote Sensing
খ) Cloud Computing
গ) Remote Invocation
ঘ) Private Computing
সঠিক উত্তরঃ খ) Cloud Computing
ক্লাউড কম্পিউটিং:
ক্লাউড কম্পিউটিং এমন একটি কম্পিউটিং প্রযুক্তি, যা ইন্টারনেট ও কেন্দ্রীয় রিমোট সার্ভার ব্যবহারের মাধ্যমে ডেটা এবং অ্যাপ্লিকেশনসমূহ নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে সক্ষম।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং (NIST) অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিং হলো ক্রেতার তথ্য ও বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনকে কোনো সেবাদাতার সিস্টেমে আউটসোর্স করার এমন একটি মডেল, যাতে ৩টি বৈশিষ্ট্য থাকবে। যথা:
১. Resurce Flexibility/Scalability (যত চাহিদা ক্ষত সার্ভিস): – ক্রেতা যত চাইবে, সেবাদাতা ততই অধিক পরিমাণে সেবা দিতে পারবে।
২. On Demand (যখন চাহিদা তখন সার্ভিস): ক্রেতা যখন চাইবে, তখনই সেবা দিতে পারবে। ক্রেতা তার ইচ্ছায় যখন খুশি তার চাহিদা বাড়াতে কমাতে পারবে।
3. Pay as you go (যখন ব্যবহার তখন মূল্যশোধ): ক্রেতাকে আগে থেকে কোনো সার্ভিস রিজার্ভ করতে হবে না। ক্রেতা যা ব্যবহার করবে, শুধুমাত্র তার জন্য পেমেন্ট করতে হবে।
বৈশিষ্ট থেকে বলা যায় গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী, ইউটিলিটি-ভিত্তিক কম্পিউটিং পরিষেবা প্রদানের জন্য কোন প্রযুক্তিটি Distributed Computing এর একটি দৃষ্টান্ত হলো ক্লাউড কম্পিউটিং।
উৎস:
১. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি, মাহবুবুর রহমান।
২. ব্রিটানিকা ।
৯৮) নিচের কোন নেটওয়ার্কটি সবচেয়ে বেশি জায়গা ব্যাপ্তি হয়?
ক) LAN
খ) WAN
গ) MAN
ঘ) PAN
সঠিক উত্তরঃ খ) WAN
WAN নেটওয়ার্কটি সবচেয়ে বেশি জায়গা ব্যাপ্তি হয়।
WAN:
WAN এর পূর্ণরূপ Wide Area Network.
অনেক বড় ভৌগোলিক বিস্তৃতিতে অবস্থিত LAN, MAN, কম্পিউটার ও বিভিন্ন ডিভাইসের সংযোগে যে নেটওয়ার্ক গঠিত হয়, তাকে WAN বলা হয়।
WAN এর বিস্তৃতি সারা দেশ বা সমগ্র পৃথিবী জুড়ে হতে পারে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বর WAN এর উদাহরণ হলো ইন্টারনেট। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ই-মেইল আদান-প্রদান করা, বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা, ফাইল ডাউনলোড, অনলাইন শপিং ইত্যাদি করা যায়।
LAN:
LAN এর পূর্ণরূপ হলো Local Area Network. Live - LAN এর মাধ্যমে 1Km বা তার কম দূরত্বের ডিভাইসগুলো সংযুক্ত করে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়।
PAN:
PAN এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Personal Area Network. কোনো ব্যক্তির নিকটবর্তী ব্যক্তিগত ডিভাইসগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তথ্য আদান প্রদানের নেটওয়ার্ক সিস্টেমকে পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা প্যান বলে। প্যান এর বিস্তৃতি সাধারণত কয়েক মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
• MAN:
MAN এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Metropolitan Area Network একই শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কম্পিউটারসমূহ বিভিন্ন ডিভাইস ও LAN গুলোর সংযোগে যে নেটওয়ার্ক গঠিত হয়, তাকে MAN বলা হয়। MAN এর ক্ষেত্রে ট্রান্সমিশন মিডিয়া হিসেবে সাধারণত টেলিফোন লাইন, মডেম বা মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করা হয়।
উৎস:
১. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান।
২. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি, মাহবুবুর রহমান।
৯৯) নিচের কোন প্রযুক্তি Face Recognition সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়?
ক) Applied Al
খ) Applied IoT
গ) Virtual Reality
ঘ) কোনোটিই নয়
সঠিক উত্তরঃ Applied Al
Face Recognition System- Artificial Intelligence প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence): কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা Artificial Intelligence হচ্ছে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সমন্বয়।
মানুষ যেভাবে চিন্তা করে তেমনি কৃত্রিম উপায়ে কম্পিউটারে সেভাবে চিন্তা ভাবনার রূপদান করাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে ।
AI-এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো কম্পিউটারকে উন্নত করা যাতে কম্পিউটার চিন্তা করার ক্ষমতা, পাশাপাশি দেখতে পারা, শুনতে পারা, হাঁটা এবং অনুভব করার ক্ষমতা পায়।
কম্পিউটার কীভাবে মানুষের মতো চিন্তা করবে, কিভাবে অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্তে পৌঁছবে, কিভাবে সমস্যা সমাধান করবে, কীভাবে পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে ইত্যাদি বিষয়গুলোর জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর আরো গবেষণা করা হচ্ছে।
Artificial Intelligence-এর ব্যবহার: Speech Recognition System, Natural Language Processing ইত্যাদি।
১০০) নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন রেট বোঝাতে ব্যবহৃত 'MbPS' এর পূর্ণরূপ কী?
ক) Megabytes per second
খ) Megabits per second
গ) Milibits per second
ঘ) কোনোটিই নয়
সঠিক উত্তরঃ খ) Megabits per second
'MbPS' এর পূর্ণরূপ Megabits per second.
এক স্থান হতে অন্য স্থানে অথবা এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের হারকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বলে। এই ট্রান্সমিশন স্পীডকে অনেক সময় ব্যান্ডউইডথও বলা হয় ৷
- এই ব্যান্ডউইডথ সাধারণত bit per second (bps) এ হিসাব করা হয়। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ বিট ট্রান্সমিট করা হয় তাকে bit per second (bps) বা ব্যান্ডউইডথ বলে।
bps অর্থ হলো bit per second (1) বিট = 1 বা 0)
kbps হলো kilobits per second (1000 বিট =1 কিলোবিট)
Mbps হলো megabits per second (1000 কিলোবিট = 1 মেগাবিট ca
Gbps হলো gigabits per second (1000 মেগাবিট = 1 গিগাবিট)
Tbps হলো Terabits per second (1000 গিগাবিট =1 টেরাবিট)
Pbps হলো Petabits per second (1000 টেরাবিট=1 পেটাবিট
নোট: এখানে MBps দ্বারা মেগা বাইট পার সেকেন্ড এবং Mbps দ্বারা মেগা বিট পার সেকেন্ড বোঝানো হয়ে থাকে।
অর্থাৎ বড় হাতের B থাকলে সেটি হবে মেগা বাইট পার সেকেন্ড এবং ছোটো হাতের b থাকলে সেটি হবে মেগা বিট পার সেকেন্ড।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
১০১) কোন দিনটি বিশ্ব শরণার্থী দিবস হিসেবে পালিত হয়?
ক) ৫ জুন
খ) ১০ জুন
গ) ২০ জুন
ঘ) ২৫ জুন
সঠিক উত্তরঃ গ) ২০ জুন
১৯৫১ সালে শরণার্থীদের স্বীকৃতির বিষয়ে জাতিসংঘের সনদটি গৃহীত হয়।
২০০১ সালের ২০ জুন প্রথম বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালিত হয়। ২০০০ সালের ডিসেম্বরের আগে দিবসটি আফ্রিকা শরণার্থী দিবস হিসেবে পালিত হতো।
গুরত্বপূর্ণ কিছু দিবস:
আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস ৫ জুন;
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ১৩
আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস পালিত হয় ১৬ সেপ্টেম্বর
আন্তর্জাতিক বিশ্ব ধরিত্রী দিবস পালিত হয় ২২ এপ্রিল;
আন্তর্জাতিক প্রাণী দিবস পালিত হয় ৪ অক্টোবর;
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ১০ ডিসেম্বর;
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস ১৫ সেপ্টেম্বর।
উৎস: Britannica ও জাতিসংঘ ওয়েবসাইট।
১০২) জাতিসংঘ মাদক ও অপরাধ সংক্রান্ত সংক্রান্ত সংস্থা UNODC-র প্রধান কার্যালয় কোথায় অবস্থিত?
ক) রোম
খ) ভিয়েনা
গ) জেনেভা
ঘ) পিটসবার্গ
সঠিক উত্তরঃ খ) ভিয়েনা
• UNODC এর সদর দপ্তর অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাতে যেটি মাদক, সংঘটিত অপরাধ, দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে।
UNODC:
UNODC হলো জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক সংস্থা। - UNODC United Nations Office on Drugs and Crime এটি মাদক, সংঘটিত অপরাধ, দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে।
UNODC ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক মাদক নিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রাম (ইউএনডিসিপি) এবং জাতিসংঘ অপরাধ দমন ও বিচার বিভাগ এর সমন্বয়ে এই সংস্থাটি গঠিত হয়।
এর সদর দপ্তর – অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা।
১০৩) বাংলাদেশ ভারত স্থল সীমান্ত সম্পর্কিত প্রটোকলটি কত সালে স্বাক্ষরিত হয়?
ক) ১৯৭৪
খ) ২০১১
গ) ২০১৩
ঘ) ২০১৫
সঠিক উত্তরঃ খ) ২০১১
২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে স্থল সীমান্ত সম্পর্কিত প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি প্রটোকল নয়, পূর্ণাঙ্গ চুক্তি ছিলো।
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফর করেন।
২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ড. মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরে ওই প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়।
উক্ত প্রটোকলে সীমান্তে অচিহ্নিত অংশগুলো চিহ্নিত করার
পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ছিটমহল এবং অপদখলীয় ভূমি সমস্যার সমাধান করে স্থায়ী সীমানা চিহ্নিত করা হয়। এর আওতায় বাংলাদেশের ভেতর থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহল ও ভারতের মধ্যে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল বিনিময়ে সম্মত হয়। পরবর্তীতে এই চুক্তির আওতায় ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময় হয়।
উল্লেখ্য,
স্থলসীমান্ত চুক্তি ১৯৭৪:
১৯৭৪ সালের ১৬ মে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী যথাক্রমে শেখ মুজিবুর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধী স্থল সীমান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অমীমাংসিত স্থল সীমানা চূড়ান্ত করা। এই চুক্তি অনুযায়ী ভারতের ভেতরে থাকা দক্ষিণ বেরুবাড়ি ভারতের দখলে চলে যায় এবং দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা বাংলাদেশের অধিকারে আসে। ছিটমহল দুটি বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় পানবাড়ি মৌজার সঙ্গে যুক্ত করার জন্য তিনবিঘা জমি ভারত বাংলাদেশের অনুকূলে স্থায়ী ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। চুক্তি সইয়ের পরপরই বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এটি অনুমোদন করে।
ছিটমহল বিনিময়:
বাংলাদেশে ও ভারতের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় হয়েছে ৩১ জুলাই, ২০১৫ তারিখে। এর ফলে বাংলাদেশের ভেতরকার ভারতের ছিটমহলগুলো বাংলাদেশের ভুমি হিসেবে এবং ভারতের ভিতরকার বাংলাদেশের ছিটমহলগুলো ভারতের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
উৎস: তথ্য মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট এবং দৈনিক প্রথম আলো ও বিবিসি বাংলা রিপোর্ট।
১০৪) আলেপ্পো শহরটি কোন দেশে অবস্থিত?
ক) ইরান
খ) ইরাক
গ) জর্ডান
ঘ) সিরিয়া
সঠিক উত্তরঃ ঘ) সিরিয়া
আলেপ্পো :
আলেপ্পো উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার বৃহত্তম শহর। এটি তুর্কি সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরে অবস্থিত। খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ ৪র্থ শতাব্দীতে পারস্য আচেমেনিয়ান রাজবংশের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আলেপ্পো খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতাব্দীতে রোমান সাম্রাজ্যের দ্বারা শোষিত হয়েছিল এবং আলেপ্পো কয়েক শতাব্দী ধরে সমৃদ্ধ হয়েছিল। ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে এটি আরবদের দ্বারা জয়লাভ করে, যার অধীনে আলেপ্পোর পুরানো নাম হালাব-এ ফিরে আসে। আলেপ্পো ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলিকে ১৯৮৬ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে মনোনীত করা হয় ।
সিরিয়া:
ভূমধ্যসাগরের আরব উপদ্বীপের উত্তরে পশ্চিম এশিয়ায় সিরিয়া অবস্থিত। ১৯৪৬ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। এর রাজধানী: দামেস্ক। বিখ্যাত শহর: আলেপ্পা, ইদলিব ও পালমিরা।
মুদ্রা: পাউন্ড ।
উৎস: ব্রিটানিকা ওয়েবসাইট।
১০৫) উন্নয়নশীল দেশসমূহের বৈশ্বিক জোট 'জি-৭৭' এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত?
ক) ১০৫
খ) ১১৫
গ) ১২৫
ঘ) ১৩৫
সঠিক উত্তরঃ ঘ) ১৩৫
১০৬) “২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের দরিদ্র নারী, পুরুষ ও শিশুর সংখ্যা অর্ধেক নামিয়ে আনতে হবে" -এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রায় কোন অভীষ্ট লক্ষ্য?
ক) টার্গেট ১.১
খ) টার্গেট ১.২
গ) টার্গেট ১.৩
ঘ) টার্গেট ১.৪
সঠিক উত্তরঃ খ) টার্গেট ১.২
“২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের দরিদ্র নারী, পুরুষ ও শিশুর সংখ্যা অর্ধেক নামিয়ে আনা" - এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রায় ১.২ অভীষ্ট লক্ষ্য।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG):
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আদলে ২০১৫ সালের ২৫-২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন সম্মেলনে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টস গোল (এসডিজি) গ্রহণ করে।
এসডিজিতে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা এবং ১৬৯টি টার্গেট নির্ধারণ করা হয়।
২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্যে লক্ষ্যস্থির করা হয়।
মেয়াদকাল: ২০১৬-২০৩০ সাল।
লক্ষ্য ১ হচ্ছে দারিদ্র্য বিলোপ। লক্ষ্য ১ এর বিস্তারিত
১.১ - ২০৩০ সালের মধ্যে, সর্বত্র সকল মানুষের জন্য, বর্তমানে দৈনন্দিন মাথাপিছু আয় ১.২৫ ডলারের কম -এ সংজ্ঞানুযায়ী পরিমাপকৃত চরম দারিদ্র্যের সম্পূর্ণ অবসান।
১.২ - যেকোন ধরনের দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী সকল বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশুর সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে অর্ধেকে নামিয়ে আনা।
১.৩ - ন্যূনতম সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধার নিশ্চয়তাসহ সকলের জন্য জাতীয়ভাবে উপযুক্ত সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা ও সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপের বাস্তবায়ন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দরিদ্র ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে এ ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা।
১.৪ - ২০৩০ সালের মধ্যে সকল নারী ও পুরুষ, বিশেষ করে দরিদ্র ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর অনুকূলে অর্থনৈতিক সম্পদ ও মৌলিক সেবা সুবিধা, জমি ও অপরাপর সম্পত্তির মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উত্তরাধিকার, প্রাকৃতিক সম্পদ, লাগসই নতুন প্রযুক্তি এবং ক্ষুদ্র ঋণসহ আর্থিক সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
১.৫ - ২০৩০ সালের মধ্যে, দরিদ্র ও অরক্ষিত পরিস্থিতিতে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর অভিঘাতসহনশীলতা বিনির্মাণ এবং জলবায়ু সম্পৃক্ত চরম ঘটনাবলি ও অন্যান্য অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত অভিঘাত ও দুর্যোগে তাদের আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হবার ঝুঁকি কমিয়ে আনা।
উৎস: UN ওয়েবসাইট ।
১০৭) বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোক্তা এর প্রস্তাবক হচ্ছে -
ক) চীন
খ) জাপান
গ) ডেনমার্ক
ঘ) সুইডেন
সঠিক উত্তরঃ ক) চীন
জিডিআই হচ্ছে মূলত স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ডিজিটাল অর্থনীতিকে ঘিরে উন্নয়ন সহযোগিতার উদ্যোগ। বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোক্তা-এর প্রস্তাবক হচ্ছে চীন।
বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ (জিডিআই):
'বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ' চীনের প্রস্তাবিত।
মূলত জিডিআইতে উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য,
প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগে (গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভন-জিডিআই) বাংলাদেশকে যুক্ত করতে চায় চীন। - স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলা, সংযুক্তির জন্য যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন, ডিজিটাল অর্থনীতিসহ আটটি ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দিয়ে জিডিআইয়ে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে শিগগিরই সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করতে চায় দেশটি।
উৎস: CGTN ও প্রথম আলো প্রতিবেদন।
১০৮) বাংলাদেশ কত সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে?
ক) ১৯৭২
খ) ১৯৭৩
গ) ১৯৭৪
ঘ) ১৯৭৫
সঠিক উত্তরঃ ক) ১৯৭২
বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে ILO এর সদস্যপদ লাভ করে।
ILO:
ILO এর পূর্ণরূপ: International Labour Organization. - এটি ১৯১৯ সালে ভার্সাই চুক্তির ফলশ্রুতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর ILO জাতিসংঘের প্রথম বিশেষায়িত সংস্থার মর্যাদা লাভ করে।
ILO এর সদরদপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত। - বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৮৭টি।
বর্তমান ১১তম মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাউংবো (অক্টোবর ২০২২)
বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ২২ জুন ILO এর সদস্যপদ লাভ করে।
ILO ১৯৬৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করে।
উৎস: ILO ওয়েবসাইট ।
১০৯) বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থল -
ক) সৌদি আরব
খ) কুয়েত
গ) ওমান
ঘ) জর্দান
সঠিক উত্তরঃ ক) সৌদি আরব
বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থলসহচ্ছে সৌদি আরব।
বাংলাদেশের নারী অভিবাসী শ্রমিকদের গন্তব্য (২০২৪, মার্চ পর্যন্ত):
সৌদি আরব (KSA) – ১১,৭৬৬ জন (৬৫%)
জর্ডান – ৪,৩৩৩ জন (২৪%)
ইতালি – ৫৬৩ জন (৩%)
কাতার – ৪৭০ জন (৩%)
সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE) – ৪৫৮ জন (৩%)
লেবানন – ২০৫ জন (১%)
কুয়েত – ৫৮ জন (০%)
ওমান – ৫৬ জন (০%)
দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea) – ২৩ জন (০%)
সিঙ্গাপুর – ৬ জন (০%)
যুক্তরাজ্য (UK) – ১৩ জন (০%)
মরিশাস (Mauritius) – ২ জন (০%)
জাপান – ১ জন (০%)
মালয়েশিয়া – ০ জন
অন্যান্য দেশ – ৩৮ জন (০%)
১১০) কপ ২৮ সম্মেলনটি কী সম্পর্কিত?
ক) শরণার্থীর অধিকার
খ) জ্বালানি নিরাপত্তা
গ) সমুদ্র সীমানা
ঘ) জলবায়ু পরিবর্তন
উত্তরঃ ঘ) জলবায়ু পরিবর্তন
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন (COP) প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়। 'কপ -২৮' জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত। এখানে আলোচনা করা হয় কিভাবে ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনার উপায় অর্জন করা উচিত এবং কী অগ্রগতি হয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করা।
কপ সম্মেলন (Cop Conference) :
COP -এর পূর্ণরূপ Conferences of the Parties.
জলবায়ু সংক্রান্ত জাতিসংঘ রূপরেখা সম্মেলন কার্যকর হয় ১৯৯৪ সালে।
প্রথম কপ-১ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়- জার্মানির বার্লিন শহরে ১৯৯৫ সালে। UNFCC ভুক্ত সদস্য দেসসমূহ জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে।
কপ ২৭ অনুষ্ঠিত হয় মিসরের শারম আল শেখ শহরে ৬ - ২০ নভেম্বর ২০২২ সালে।
'কপ -২৮' অনুষ্ঠিত হয় ১২ নভেম্বর - ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে আরব আমিরাত, দুবাই।
এছাড়াও,
কপ- ২৯, ১১ থেকে ২২ নভেম্বর ২০২৪ সালে আজারবাইজানে অনুষ্ঠিত হয়।
কপ- ৩০, ২০২৫ সালে আমাজনিয়ান শহর বেলেম ডো প্যারাকে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হবে
উৎস: UNFCCC ওয়েবসাইট।
১১১) বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০২৩ অনুযায়ী কোন দেশটি সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির মধ্যে?
ক) আফগানিস্তান
খ) মায়ানমার
গ) পেরু
ঘ) মালি
সঠিক উত্তরঃ ক) আফগানিস্তান
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০২৩ অনুযায়ী আফগানিস্তান সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক Institute for Economics & Peace (IEP) মার্চ, ২০২৩ তারিখে Global Terrorism Index (GTI) - 2023 : Measuring the Impact of Terrorism শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে।
রিপোর্ট অনুসারে, সন্ত্রাসবাদে শীর্ষ কয়েকটি দেশের তালিকা নিচে দেওয়া হল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী সন্ত্রাসবাসকবলিত দিকে থেকে শীর্ষ ৫ দেশ-
১. আফগানিস্তান, স্কোর - ৮.৮২২,
২. বুর্কিনা ফাসো, স্কোর - ৮.৫৬৪,
৩. সোমালিয়া, স্কোর - ৮.৪৬৩,
৪. মালি, স্কোর - ৮.৪১২,
৫. সিরিয়া, স্কোর -৮.১৬১।
বাংলাদেশ তালিকার ৪৩-তম স্থানে অবস্থান করছে [স্কোর ৩.৮২৭]
সূত্র: Global Terrorism Index (GTI) - 2023 ও বাসস।
১১২) বৈশিক শান্তিসূচক ২০২৩ অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ হলো -
ক) আইসল্যান্ড
খ) জাপান
গ) সিংগাপুর
ঘ) সুইজারল্যান্ড
সঠিক উত্তরঃ ক) আইসল্যান্ড
Global Peace Index 2023 অনুসারে বৈশ্বিক শান্তি সূচকে বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ আইসল্যান্ড।
বৈশ্বিক শান্তি সূচক:
২৮ জুন, ২০২৩ অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক সংস্থা Institute for Economics and Peace (IEP) বিশ্বের ১৬৩টি দেশ ও অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত করে এ সূচক প্রকাশ করে।
সূচকের শিরোনাম: Global Peace Index 2023.
শীর্ষ দেশ- আইসল্যান্ড।
বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮তম।
বিশ্বে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ :
১. আইসল্যান্ড
৩. আয়ারল্যান্ড
৫. অস্ট্রিয়া
২. ডেনমার্ক
৪. নিউজিল্যান্ড,
শান্তি সূচকে সর্বনিম্ন দেশ
১৬৩. আফগানিস্তান
১৬২. ইয়েমেন,
১৬১. সিরিয়া
১৬০. দক্ষিণ সুদান,
১৫৯. গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র।
সার্কভুক্ত দেশের অবস্থান :
১০৭. শ্রীলংকা,
৮৮. বাংলাদেশ;
১২৬. ভারত;
১৪৬. পাকিস্তান
১৬৩. আফগানিস্তান
উৎস: Global Peace Index 2023.
১১৩) 'বার বিধি' (The Twelve Tables ) কী?
ক) রোমান আইনের ভিত্তি
খ) স্থাপত্যের ১২টি নির্দেশনা
গ) ফুটবল খেলার নিয়মাবলি
ঘ) স্থানীয়/দেশি খেলা
সঠিক উত্তরঃ ক) রোমান আইনের ভিত্তি
রোমানদের সবচেয়ে বড় অবদান আইনের ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে আধুনিক বিশ্ব রোমানদের কাছে ব্যাপক ঋণী। রোমান আইনের ভিত্তি ছিলো 'বার বিধি' (The Twelve Tables ) যা খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০ অব্দে প্রচলিত হয়।
রোমান সভ্যতা:
গ্রিক সভ্যতার অবসানের আগেই ইতালিতে টাইবার নদীর তীরে একটি বিশাল সম্রাজ্য ও সভ্যতা গড়ে ওঠে। রোমকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই সভ্যতা রোমান সভ্যতা নামে পরিচিত। প্রথম দিকে রোম একজন রাজার শাসনাধীন ছিল। এ সময় একটি সভা ও সিনেট ছিল। রাজা স্বৈরাচারী হয়ে উঠলে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে ৫১০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ রোমে একটি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। রোমান সভ্যতা প্রায় ছয়শ' বছর স্থায়ী হয়েছিল। রোমের অর্থনীতি ছিলো দাসদের উপর নির্ভরশীল।
সভ্যতায় রোমের অবদান:
রোম শিল্প, সাহিত্য, দর্শন, স্থাপত্য সর্বক্ষেত্রে গ্রিকদের দ্বারা প্রভাবিত ছিল। - তারা এসব বিষয়ে গ্রিকদের অনুসরণ ও অনুকরণ করেছে।
তবে সামরিক সংগঠন, শাসন পরিচালনা, আইন প্রণয়ন ও প্রকৌশল বিদ্যায় তারা গ্রিক ও অন্যান্য জাতির ওপর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। রোমান আইনের ভিত্তি ছিলো - The Twelve Tables. রোমানদের সবচেয়ে বড় অবদান আইনের ক্ষেত্রে।
সূত্র: Britannica ও বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি ।
১১৪) সিয়াচেন হিমবার (Siachen Glaciar) কোন দুইটি দেশের মধ্যে অবস্থিত?
ক) ভারত ও চীন
খ) নেপাল ও চীন
গ) পাকিস্তান ও চীন
ঘ) ভারত ও পাকিস্তান
সঠিক উত্তরঃ ঘ) ভারত ও পাকিস্তান
সিয়াচেন হিমবার (Siachen Glacier) ভারত ও পাকিস্তানেরমধ্যে অবস্থিত। সিয়েচেন হিমবাহ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধপূর্ণ অঞ্চল।
সিয়াচেন হিমবাহ:
‘সিয়াচেন হিমবাহ' অবস্থিত উত্তর কাশ্মীরে।
পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র বলে পরিচিত সিয়াচেন হিমবাহ।
'সিয়াচেন হিমবাহ' পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার একটি বিবাদমান অঞ্চল।
কারাকোরাম পর্বতের সিয়াচেন হিমবাহ দখলে রাখা নিয়ে দুই চিরবৈরী দেশ ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে লড়াই শুরু হয় আশির দশকের গোড়া থেকে ।
অন্যদিকে,
ভারত ও নেপালের মধ্যে অমীমাংসিত ভূখন্ড হলো কালাপানি,
ভারত ও চীনের মধ্যে বিরোধপূর্ণ অঞ্চল - লাদাখ,
ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে বিরোধপূর্ণ অঞ্চল - ইম্ফল।
সূত্র: ব্রিটানিকা
১১৫) টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (SDG) চতুর্থ লক্ষ্যমাত্রা কোনটি?
ক) জলবায়ু কার্যক্রম
খ) মানসম্মত শিক্ষা
গ) দারিদ্র বিমোচন
ঘ) শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান
সঠিক উত্তরঃ খ) মানসম্মত শিক্ষা
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৪র্থ লক্ষ্য মানসম্মত শিক্ষা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতা-ভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং সবার জন্য আজীবন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) :
SDG - এর পূর্ণরূপ Sustainable Development Goals বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য।
SDGs-এর মেয়াদ ২০১৬ থেকে ২০৩০ সাল ।
এতে মোট ১৭টি বৈশ্বিক লক্ষ্য (Goals) এর আওতায় ১৬৯টি টার্গেট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
১৭টি অভীষ্ট নিম্নরূপ :
১. সর্বত্র সকল ধরনের দারিদ্রের অবসান,
২. ক্ষুধা নিবারণ, খাদ্য নিরাপত্তা, সুষম পুষ্টি ও টেকসই কৃষি,
৩. সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতা,
৪. মানসম্পন্ন শিক্ষা,
৫. লিঙ্গ সমতা,
৬. সবার জন্য স্যানিটেশন ও সুপেয় পানি,
৭. সাশ্রয়ী নির্ভরযোগ্য, টেকসই, আধুনিক ও দূষণমুক্ত জ্বালানি,
৮. স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং সবার জন্য পূর্ণাঙ্গ ও উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান এবং শোভন কাজের সুযোগ সৃষ্টি
৯. শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো,
১০. বৈষম্য হ্রাস,
১১. টেকসই নগর ও সম্প্রদায়,
১২. দায়িত্বশীল ভোগ ও উৎপাদন নিশ্চিতকরণ,
১৩. জলবায়ু বিষয়ক বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় জরুরী পদক্ষেপ,
১৪. জলজ জীবনমান উন্নয়ন,
১৫. স্থলে জীবনমান উন্নয়ন,
১৬. শান্তি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ,
১৭. টেকসই উন্নয়নের জন্য অংশীদারিত্ব।
উৎস: জাতিসংঘের ওয়েবসাইট।
কার্টাগোনা প্রোটোকল এর পূর্ণরূপ: Cartagena Protocol on Biosafety to the convention on Biological Diversity। এটি জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক প্রটোকল।
এর উদ্দেশ্য হলো জৈব জ্বালানি সংরক্ষণ করা, কলম্বিয়ার কার্টাগেনা শহরে খসড়া অনুমোদন হয়।
১১৬) জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক (Biosafety to the Convention on Biological Diversity) হচ্ছে- .
ক) কার্টাগেনা প্রটোকল
খ) মন্ট্রিল প্রটোকল
গ) কিয়াটো প্রটোকল
ঘ) প্যারিস চুক্তি
সঠিক উত্তরঃ ক) কার্টাগেনা প্রটোকল
জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক (Biosafety to the Convention on Biological Diversity) হচ্ছে কার্টাগেনা প্রটোকল। কলম্বিয়ার কার্টাগেনা শহরে খসড়াটি অনুমোদিত হয়।
কার্টাগেনা প্রটোকল:
স্বাক্ষরিত হয়: ২৯ জানুয়ারি, ২০০০ সালেকার্যকর হয়: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০৩ সালেচুক্তির পক্ষে স্বাক্ষরকারী দেশ: ১০৩টি। অনুমোদনকারী: ১৭৩টি।
উল্লেখ্য,
বাংলাদেশ কার্টাগেনা প্রটোকল স্বাক্ষর করে ২০০০ সালে এবং অনুমোদন করে ২০০৪ সালে।
অন্যদিকে:
মন্ট্রিল প্রটোকল:
১৬ সেপ্টেম্বর,১৯৮৭ সালে কানাডার মন্ট্রিলে গৃহীত হয়।
১ জানুয়ারি ১৯৮৯ সালে এর কার্যক্রম শুরু হয়। যার লক্ষ্য ছিল পৃথিবীর ওজোন স্তর হ্রাসে অবদান রাখে এমন রাসায়নিকের উৎপাদন এবং ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা। কিয়েটো প্রোটকল:
কিয়োটো প্রোটোকল একটি বহুরাষ্ট্রীয় আন্তর্জাতিক চুক্তি।
এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রগুলিকে গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাসের জন্য দায়বদ্ধ করে। ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ১১ই ডিসেম্বর জাপানের কিয়োটো শহরে এই চুক্তি প্রথম গৃহীত হয়।
প্যারিস চুক্তি:
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে ফ্রান্সের প্যারিসে চারটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, এদেরকে একত্রে প্যারিস চুক্তি বা পিস অব প্যারিস বলে।
উৎস: UNTC ওয়েবসাইট।
১১৭) 'Friday For Future' কোন ধরনের আন্দোলন?
ক) ধর্মীয় আন্দোলন
খ) পরিবেশবাদী আন্দোলন
গ) শান্তিবাদী আন্দোলন
ঘ) গণতান্ত্রিক আন্দোলন
সঠিক উত্তরঃ খ) পরিবেশবাদী আন্দোলন
'Friday For Future' একটি পরিবেশবাদী আন্দোলন ।
- গ্রেটা থুনবার্গ ২০১৮ সালে এই আন্দোলনের সূত্রপাত করে।
Fridays for future:
ফ্রাইডেস ফর ফিউচার আন্দোলন হলো একটি পরিবেশবাদী আন্দোলন।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে স্কুল শিক্ষার্থীদের এটি একটি বৈশ্বিক মুভমেন্ট।
২০১৮ সালে সুইডেনের গ্রেটা থুনবার্গ নামের ১৫ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী এই আন্দোলনের সূত্রপাত করে।
থুনবার্গ স্কুল বর্জন করে সুইডিশ পার্লামেন্ট ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
তার এই কর্মসূচি পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
ফ্রাইডেস ফর ফিউচার মুভমেন্টের উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারগুলোর উপর নৈতিক চাপ সৃষ্টি করা।
উৎস: Fridays For Future ওয়েবসাইট ও দৈনিক প্রথম আলো।
১১৮) আন্তর্জাতিক আদালতের (International Court of Justice) সভাপতির মেয়াদ কত বৎসর?
ক) ২ বৎসর
খ) ৩ বৎসর
গ) ৬ বৎসর
ঘ) ৯ বৎসর
সঠিক উত্তরঃ খ) ৩ বৎসর
আন্তর্জাতিক আদালতের (International Court of Justice ) সভাপতির মেয়াদ ৩ বৎসর।
আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (International Court of Justice-ICJ) জাতিসংঘের ছয়টি মূল অঙ্গসংস্থার একটি।
আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত :
জাতিসংঘের প্রধান বিচার বিভাগীয় অঙ্গসংস্থা: International Court of Justice বা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত।
সদর দপ্তর অবস্থিত: দি হেগ, নেদারল্যান্ডস।
এটি ১৯৪৫ সালের জুন মাসে জাতিসংঘ সনদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং কার্যক্রম শুরু করে ১৯৪৬ সালের এপ্রিলে।
বিচারকের সংখ্যা ১৫ জন।
একজন বিচারক নির্বাচিত হন ৯ বছরের জন্য।
সভাপতি নির্বাচিত হন ৩ বছরের জন্য।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট Judge Nawaf Salam.
উৎস: International Court of Justice co
১১৯) উত্তর আটলান্টিক চুক্তির কত নম্বর ধারায় যৌথ নিরাপত্তার ধারণাটি ব্যক্ত হয়েছে?
ক) আর্টিকেল ২
খ) আর্টিকেল ৩
গ) আর্টিকেল ৪
ঘ) আর্টিকেল ৫
সঠিক উত্তরঃ ঘ) আর্টিকেল ৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তৎকালীন সোভিয়েত প্রভাব ও সমাজতন্ত্রকে প্রতিহত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি সামরিক বা নিরাপত্তা জোট গঠন করা হয় যা North Atlantic Treaty Organization বা ন্যাটো নামে পরিচিত।
১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ১২টি দেশের মধ্যে NATO চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এটি Washington Treaty নামেও পরিচিত। ন্যাটোর বর্তমান সদস্য - ৩২টি দেশ [ এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত] ->
সর্বশেষ সদস্য দেশ – সুইডেন [৭ মার্চ, ২০২৪]
NATO চুক্তিপত্রে মোট ১৪টি অনুচ্ছেদ (Article) রয়েছে। এই অনুচ্ছেদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ হলো – আর্টিকেল - ৫ ।
অনুচ্ছেদ/আর্টিকেল - ৫: Collective Security বা যৌথ নিরাপত্তা ন্যাটো চুক্তির ৫ নং অনুচ্ছেদ বা Article - 5 কে এই চুক্তির heart বলা হয়।
অনুচ্ছেদ ৫ এ বলা হয়েছে - যদি জোটভুক্ত কোন সদস্য দেশ আক্রান্ত হয়, তাহলে এই জোটের সকল সদস্য দেশ আক্রান্ত হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং সকল সদস্য দেশ আক্রান্ত দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এগিয়ে আসবে।
অনুচ্ছেদ - ১০: Open Door Policy [নতুন সদস্য দেশ অন্তর্ভুক্তি] ন্যাটোর নতুন সদস্য দেশ অন্তর্ভুক্তি হয় এই অনুচ্ছেদ অনুসারে।
উত্তর আটলান্টিক চুক্তির ৫নং অনুচ্ছেদে Collective Security বা যৌথ নিরাপত্তার ধারণা ব্যক্ত করা হয়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট NATO গঠনের চুক্তির নাম North Atlantic Treaty যা Washington Treaty নামেও পরিচিত। ন্যাটো (North Atlantic Treaty Organization):
NATO -এর বর্তমান সদরদপ্তর – বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত। [পূর্বে সদরদপ্তর - লন্ডন ও প্যারিসে অবস্থিত ছিলো।]
ন্যাটোর বর্তমান মহাপরিচালক - Jens Stoltenberg [নরওয়ের নাগরিক] North Atlantic Treaty সম্পর্কে যা জানা প্রয়োজন:
ন্যাটোর সদস্য হওয়ার পূর্ব শর্ত হলো - দেশটিকে ইউরোপিয়ান দেশ হতে হবে।
সূত্র: NATO ওয়েবসাইট। :
১২০) আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কোন তত্ত্বটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী ভূমিকার বিষয়ে ইতিবাচক ধারণা প্রদান করে?
ক) উদারবাদ
খ) বাস্তববাদ
গ) মার্ক্সবাদ
ঘ) কোনোটিই নয়
সঠিক উত্তরঃ ক) উদারবাদ
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উদারবাদ বা Liberalism তত্ত্বটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী ভূমিকার বিষয়ে ইতিবাচক ধারণা প্রদান করে।
নব্য-উদারতাবাদ বা Neoliberalism-ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী ভূমিকার বিষয়ে ধারণা প্রদান করে থাকে। তবে এটি অপশনে না থাকায় বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
উদারতাবাদ/উদারবাদ/উদারনীতিবাদ (Liberalism): Liberalism is a political and economic doctrine that emphasizes individual autonomy, equality of opportunity, and the protection of individual rights (primarily to life, liberty, and property), originally against the state and later against both the state and private economic actors, including businesses. বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায়, উদারতাবাদ হলো এমন একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মতবাদ, যা মূলত একজন ব্যক্তির স্বকীয়তা, স্বাতন্ত্র্য, বৈষম্যহীনতা, সমান অধিকার এবং ব্যক্তি বিশেষের অধিকার, সর্বোপরি জীবন, স্বাধীনতা, সম্পত্তির ইত্যাদি রক্ষা করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে। অবস্থার প্রেক্ষিতে এটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও প্রয়োগ করা হয়।
উদারবাদের নীতি ১৯১৯ সাল থেকে ১৯৩০ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্কে প্রভাব বিস্তারকারী ছিল এবং ভয়াবহ যুদ্ধ রোধ করতে সাহায্য করেছিল।
এই তত্ত্বে আন্তর্জাতিক সংগঠনের মাধ্যমে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার কথা বলা হয়েছে। ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া লীগ অব নেশন্স বা জাতিপুঞ্জ এই তত্ত্বের উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছিল বলা চলে। -
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই উদারবাদ নীতির প্রাথমিক প্রবক্তাদের মধ্যে আছেন জন লক, অ্যাডাম স্মিথ, প্রমুখ চিন্তাবিদগণ।
তারা বোঝাতে চেয়েছিলেন একটি সমাজ এবং রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মুক্তি তরান্বিত করা সম্ভব মুক্ত অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রের পরিশীলিত বা স্বল্প মাত্রার হস্তক্ষেপের মাধ্যমে। কিংবা অন্যভাবে বলা যায়, বাজার ব্যবস্থা হবে প্রতিযোগীতামূলক এবং এখানে রাষ্ট্র বা অন্য কোন পক্ষের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রন অনুপস্থিত থাকতে হবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক ইত্যাদি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো একই ধারণার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। বাস্তববাদ (Realism):
It emphasizes the role of the state, national interest, and power in world politics.
অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এই তত্ত্বটি রাষ্ট্রের বিভিন্ন দায়িত্ব, জাতীয় স্বার্থ এবং বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের কথা বলে।
মার্ক্সবাদ (Marxism):
Marxism, a body of doctrine developed by Karl Marx and, to a lesser extent, by Friedrich Engels in the mid- 19th century. It originally consisted of three related ideas: a philosophical anthropology, a theory of history, and an economic and political program.
মার্ক্সবাদ মূলত একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক দর্শন। ঐতিহাসিক বস্তুবাদ, দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ, উদ্বৃত্ত্ব মুল্যতত্ত্ব ও শ্রেণিসংগ্রাম এই চারটি বিষয়কে কেন্দ্র করে মার্কসবাদ বিকশিত হয়েছে।
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে সহজেই বলা যায়, উদারবাদে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের ইতিবাচক কার্যকরী ভূমিকার কথা সুস্পষ্টভাবেই দৃশ্যমান। অতএব এটিই সর্বাধিক গ্রহনযোগ্য উত্তর। তবে, আন্তজার্তিক সম্পর্কের আরো বেশ কিছু তত্ত্ব এবং দর্শন রয়েছে যেগুলো আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী ভূমিকার কথা বলে থাকে। যেমন:
নব্য-উদারতাবাদ ( Neoliberalism):
Neoliberalism, ideology and policy model that emphasizes the value of free market competition. →> আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নব্য উদারতাবাদের ধারনাটির ব্যাপক পরিচয় তুলে ধরেন রবার্ট কোহেন। এই তত্ত্ব অনুযায়ী রাষ্ট্রসমূহহের জাতীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য আন্তর্জাতিক সংগঠেনর কোন বিকল্প নাই।
গঠনবাদ (Constructivism):
According to this approach, the behaviour of humans is determined by their identity, which itself is shaped by society's values, history, practices, and institutions.
এই তত্ত্বের মূল কথা হলো আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি বিভিন্ন আদর্শের উপর নির্ভরশীল। পাশাপাশি আরো বলা আছে, মানুষের আচরণ তার পারিপার্শিক বিভিন্ন উপাদানের উপর নির্ভর করে। সরাসরি আন্তর্জাতিক সংগঠনের কথা না বলা থাকলেও অন্তর্নিহিত ধারণা হলো, শক্তিশালি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি সামগ্রিকভাবে কল্যাণকর। এছাড়াও আছে - Regime Theory, Functionalism. etc.
উৎস:
i) Britannica.com
ii) আন্তর্জাতিক রাজনীতিকোষ; লেখক: তারেক শামসুর রহমান। iii) Liberalism & International theory; A Moravcsik.
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
১২১) হিলি স্থল বন্দরটি বাংলাদেশের কোথায় অবস্থিত?
ক) বিরামপুর, দিনাজপুর
খ) ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর
গ) হাকিমপুর, দিনাজপুর
ঘ) পাঁচ বিবি, জয়পুর হাট
সঠিক উত্তরঃ গ) হাকিমপুর, দিনাজপুর
হিলি স্থলবন্দর দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার বাংলা হিলি সীমান্তে অবস্থিত। এর বিপরীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি এলসিএস রয়েছে। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরটি ২৬ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু হয়।
স্থলবন্দর:
স্থলবন্দর সীমান্তে অবস্থিত আন্তদেশীয় পণ্য ও যাত্রী যাতায়াত এবং বিনিময় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। স্থলবন্দরে শুল্ক, অভিবাসন, সীমান্ত নিরাপত্তা বিধান দপ্তর ছাড়াও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণমূলক দপ্তরসমূহের অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়।
স্থলপথে পণ্য আমদানি-রপ্তানি সহজতর এবং উন্নতর করাই বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য।
দেশের প্রধান ও বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল । এটি যশোর জেলায় অবস্থিত।
বর্তমানে স্থলবন্দরের মোট সংখ্যা ২৫টি এবং চালুকৃত বন্দরের সংখ্যা ১৫ টি।
চালুকৃত ১৫টি স্থলবন্দরের মধ্যে বেনাপোল, ভোমরা, আখাউড়া, বুড়িমারী, নাকুগাঁও, তামাবিল ও সোনাহাট স্থলবন্দর বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের (বাস্থবক) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে এবং সোনা মসজিদ, হিলি, টেকনাফ, বাংলাবান্ধা ও বিবিরবাজার স্থলবন্দর Build Operate Transfer (BOT) ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে।
কয়েকটি স্থলবন্দর ও অবস্থান দেওয়া হলো:
হিলি স্থল বন্দর- হাকিমপুর, দিনাজপুর।
নাকুগাঁও স্থল বন্দর- নালিতাবাড়ী, শেরপুর।
ভোমরা স্থল বন্দর- সাতক্ষীরা সদর, সাতক্ষীরা।
সোনামসজিদ স্থল বন্দর- শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ।
বিবির বাজার স্থল বন্দর- কুমিল্লা সদর, কুমিল্লা ।
বিরল স্থল বন্দর- বিরল, দিনাজপুর।
টেকনাফ স্থল বন্দর- টেকনাফ, কক্সবাজার।
হালুয়াঘাট স্থল বন্দর- হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ।
আখাউড়া স্থল বন্দর- আখাউড়া, ব্রাম্মণবাড়িয়া।
লালমনিহাট • বুড়িমারী স্থলবন্দর- পাট গ্রাম,
দর্শনা স্থল বন্দর- দামুরহুদা, চুয়াডাঙ্গা।
তামাবিল স্থল বন্দর- গোয়াইনঘাট, সিলেট।
সোনাহাট স্থলবন্দর- ভুরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম।
উৎস: অর্থনৈতিক সমীক্ষা - ২০২৩ ও বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
১২২) ঢাকা থেকে পূর্বদিকে অবস্থিত একটি স্থানের সাথে দ্রাঘিমার পার্থক্য ৪৫°। ঢাকার সময় মধ্যাহ্ন ১২:০০ টা হলে ঐ স্থানটির স্থানীয় সময় হবে-
ক) সকাল ০৯:০০ টা
খ) বিকাল ০৩:০০ টা
গ) সন্ধ্যা ০৬:০০ টা
ঘ) রাত ০৯:০০ টা
সঠিক উত্তরঃ খ) বিকাল ০৩:০০ টা
পৃথিবীতে প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্যে সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট করে। ৪৫° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের প্রার্থক্য হবে, ৪৫×৪ = ১৮০ মিনিট বা ৩ ঘণ্টা। যেহেতু পূর্বে গেলে সময় বাড়ে সেহেতু ঢাকার সময় মধ্যাহ্ন ১২:০০ টা হলে ঐ স্থানটির স্থানীয় সময় হবে বিকেল ৩টা।
আন্তর্জাতিক টাইম জোন:
গ্রিনিচ মানমন্দির যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে অবস্থিত। - এর উপর দিয়ে মূল মধ্যরেখা বা শূন্য ডিগ্রী দ্রাঘিমারেখা গিয়েছে। ১৮৮৪ সালের ১ নভেম্বর জিএমটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণ সময় হিসেবে গৃহিত হয়।
গ্রিনিচ মানমন্দির অফিসিয়াল টাইম জোন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গ্রিনিচের পূর্ব দিকে অবস্থিত স্থানগুলোর সময় গ্রিনিচের থেকে এগিয়ে থাকে। পৃথিবীতে প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্যে সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট করে। কোন স্থান থেকে পশ্চিমে গেলে সময় কমবে আর পূর্বে গেলে সময় বাড়বে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি।
১২৩) কোন দুটি প্লেটের সংযোগস্থল বরাবর মাউন্ট এভারেস্ট অবস্থিত?
ক) ইন্ডিয়ান ও ইউরেশিয়ান
খ) ইন্ডিয়ান ও বার্মিজ
গ) ইন্ডিয়ান ও আফ্রিকান
ঘ) বার্মিজ ও ইউরেশিয়ান
সঠিক উত্তরঃ ক) ইন্ডিয়ান ও ইউরেশিয়ান
ইন্ডিয়ান ও ইউরেশিয়ান প্লেটের সংযোগস্থল বরাবর মাউন্ট এভারেস্ট অবস্থিত।
এভারেস্ট পর্বত:
মাউন্ট এভারেস্ট পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত।
এটি দক্ষিণ এশিয়ার গ্রেট হিমালয়ের চূড়ায় অবস্থিত পর্বত যা চীন ও নেপালের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত।
তিব্বত এবং নেপালের সীমান্তে উত্থিত, লক্ষ লক্ষ বছর আগে ইন্ডিয়ান এবং ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে একটি টেকটোনিক সংঘর্ষ থেকে মাউন্ট এভারেস্ট তৈরি হয়েছিল মাউন্ট এভারেস্ট হিমালয়ের মাঝের অংশে অবস্থিত।
এভারেস্টের উচ্চতা ৮,৮৪৮.৮৬ মিটার বা ২৯,০৩২ ফুট। বাংলাদেশী এভারেস্ট জয়ী:
এখন পর্যন্ত পাঁচজন বাংলাদেশি এভারেস্ট জয় করেছেন।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২৩ মে ২০১০ সালে প্রথম এভারেস্ট জয় করেন মুসা ইব্রাহিম ।
নারীদের মধ্যে প্রথম বাংলাদেশি এভারেস্টজয়ী হচ্ছেন নিশাত মজুমদার।
তাঁরা হলেন মুসা ইব্রাহীম, এম এ মুহিত, নিশাত মজুমদার ওয়াসফিয়া নাজরীন ও মো. খালেদ হোসাইন ।
উৎস: Britannica & National Geographic.
১২৪) উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে ট্রপোমন্ডলে বায়ুর ক্রমহ্রাসমান তাপমাত্রা হল -
ক) ৫.৫° সেলসিয়াস/কিলোমিটার
খ) ৬.৫° সেলসিয়াস/কিলোমিটার
গ) ৭.৫° সেলসিয়াস/কিলোমিটার
ঘ) ৮.৫° সেলসিয়াস/কিলোমিটার
সঠিক উত্তরঃ খ) ৬.৫° সেলসিয়াস/কিলোমিটার
উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে ট্রপোমন্ডলে বায়ুর ক্রমহ্রাসমান তাপমাত্রা হল ৬.৫° সেলসিয়াস/কিলোমিটার।
সূত্র: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
১২৫) দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে (কপ- ২৮) মূল ফোকাস ছিল -
ক) জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে হ্রাসকরণ
খ) জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক
গ) ওজোনস্তর ক্ষয় নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক
ঘ) মরুকরণ প্রক্রিয়া হ্রাসকরণ
সঠিক উত্তরঃ ক) জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে হ্রাসকরণ
কপ-২৮ এ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে হ্রাস বিষয়ে দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে একমত হয়েছে প্রায় ২০০ দেশ।
কপ-২৮ এর মূল ফোকাস ছিল এটি।
জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন বা কপ-২৮:
৩০ নভেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে ২৮তম জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন বা কপ-২৮ অনুষ্ঠিত হয়।
স্থান: আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত।
কপ-২৮ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে সরে আসার আহবান জলবায়ু সম্মেলনে।
জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (COP):
COP Conference of the parties.
১৯৯২ সালে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনে (UNFCCC) স্বাক্ষর করে। এর উদ্দেশ্য জলবায়ুতে মানুষের সৃষ্টি ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা। ১৯৯৫ সাল থেকে 'জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (COP) নামে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
২০২২ সালের নভেম্বরে মিশরে 'কপ-২৭' অনুষ্ঠিত 'কপ-২৯' আয়োজিত হবে আজারবাইজানে। ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০ এর আয়োজন করবে ব্রাজিল। আমাজনিয়ান শহর বেলেম ডো প্যারাকে কপ-৩০ সম্মেলনের জন্য নির্বাচন করেছে জাতিসংঘ।
উৎস: UNFCCC ওয়েবসাইট এবং প্রথম আলো পত্রিকা
১২৬) নিরক্ষীয় তল থেকে উত্তর মেরুর কৌণিক দূরত্ব বা উৎপন্ন কোণ কত?
ক) ১৮০°
খ) ৩৬০°
গ) ৯০°
ঘ) ০°
সঠিক উত্তরঃ গ) ৯০°
নিরক্ষীয় তল থেকে উত্তর মেরু বিন্দুর কৌণিক দূরত্ব ৯০°।
অক্ষাংশ নির্ণয় (Determining latitude): উত্তর মেরুর অক্ষাংশের মান হলো ৯০° উত্তর অক্ষাংশ।
পৃথিবী পৃষ্ঠে একটি নির্দিষ্ট স্থানের সঠিক (Absolute) অবস্থান ও উক্ত স্থানের সঠিক সময় জানবার জন্যে ভূ-বিজ্ঞানীগণ সমগ্র পৃথিবীকে মোট দুই ধরনের রেখা দ্বারা বিভক্ত করেছেন।
এই রেখাসমূহ অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমা রেখা নামে পরিচিত। পৃথিবীর অক্ষ ও মেরুদ্বয় (Axis & Poles of Earth)
পৃথিবী সৌরজগতে অভিগত গোলক আকৃতির মাঝারি একটি গ্রহ।
পৃথিবীর উত্তর বা দক্ষিণ দিক দিয়ে কাল্পনিক একটি শলাকা প্রবেশ করিয়ে পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু ছেদ করে অপর প্রান্তে ঠিক নীচের দিকে বের করা হয়।
উক্ত কাল্পনিক শলাকাটি পৃথিবীর অক্ষরেখা (Axis) এবং ঐ শলাকাটির উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত যথাক্রমে উত্তর মেরু (North Pole) ও দক্ষিণ মেরু (South Pole) হিসেবে পরিচিত।
উল্লেখ্য,
নিরক্ষীয় তল থেকে উত্তর মেরুর কৌণিক দূরত্ব বা উৎপন্ন কোণ ৯০°।
সূত্র: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
ভূগোল ও পরিবেশ, নবম - দশম শ্রেণি ।
১২৭) জাপানিজ শব্দ 'সুনামি' এর অর্থ কী?
ক) বিশালাকৃতির ঢেউ
খ) সামুদ্রিক ঢেউ
গ) জলোচ্ছ্বাস
ঘ) পোতাশ্রয়ের ঢেউ
সঠিক উত্তরঃ ঘ) পোতাশ্রয়ের ঢেউ
জাপানিজ শব্দ 'সুনামি' এর অর্থ পোতাশ্রয়ের ঢেউ।
সুনামির (Tsunami) কারন হলো সমুদ্রতলের ভূমিকম্প।
সুনামি (Tsunami) জাপানি শব্দ।
এর শাব্দিক অর্থ পোতাশ্রয়ের ঢেউ।
এখানে 'tsu' অর্থ বন্দর বা harbour এবং 'nami' অর্থ সামুদ্রিক ঢেউ।
সুনামির উৎপত্তি সমুদ্রতলে ।
সমুদ্র তলদেশে প্রবল ভূমিকম্প সংঘটিত হলে সমুদরপৃষ্ঠে বিশাল যে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয় তাকে সুনামি বলে।
সর্বপ্রথম সুনামির কথা লিপিবদ্ধ হয় খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে। উৎস: ভূগোল-১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ।
১২৮) বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয় কোনটি?
ক) মরুকরণ
খ) বন্যা
গ) সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি
ঘ) ভূমিকম্প
সঠিক উত্তরঃ ঘ) ভূমিকম্প
ভূমিকম্প বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন:
পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্যে দায়ী গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর উদ্দেশ্যে ১৯৯৭ সালের ১১ ডিসেম্বর জাপানের কিয়োটো শহরে কিয়োটো প্রটোকল গৃহিত হয়।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব:
জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি, মেরু অঞ্চলের বরফ গলন, সমুদ্রে পৃষ্ঠের উচ্চতা পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, রোগব্যাধি। ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাংক বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ দিক চিহ্নিত করেছে। এগুলো হলো- মরুকরণ, বন্যা, ঝড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, কৃষিক্ষেত্রে অধিকতর অনিশ্চয়তা।
সূত্র: নবম -দশম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ বই।
১২৯) বন্যা নিয়ন্ত্রণে সাধারণ ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভুক্ত নয় কোনটি?
ক) নদী খননের মাধ্যমে পানি পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধি করা
নদী শাসন ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা
নদীর দুই তীরে বনাঞ্চল সৃষ্টি করা
ঘ) বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করা
সঠিক উত্তরঃ ক) নদী খননের মাধ্যমে পানি পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধি করা
"নদী খননের মাধ্যমে পানি পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধি করা" - বন্যা নিয়ন্ত্রণে সাধারণ ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভুক্ত নয়।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (Flood Control System):
ক. সাধারণ ব্যবস্থাপনা:
১) নদীর দুই তীরে প্রচুর বৃক্ষ রোপন করা।
২) নদী-শাসন ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা।
৩) বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন।
৪) পুকুর, নালা, বিল প্রভৃতি খনন ও পুনঃখনন করে পানি সংরক্ষণ করা।
৫) বন্যা মোকাবেলার জন্য সরকারি ভাবে স্থায়ী ও দক্ষ প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলা ।
খ. ব্যয়বহুল প্রকৌশলগত ব্যবস্থাপনা:
১) ড্রেজিং-এর মাধ্যমে নদীর পানি পরিবহন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। ২) জলাধার নির্মাণের মাধ্যমে পানি প্রবাহকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করা।
৩) আন্তর্জাতিক নদীসমূহে পানি প্রবাহকে বাঁধের সাহায্যে নিয়ন্ত্রন ও নিষ্কাশন করা।
৪) সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার পানির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
৫) শহর বেষ্টনীমূলক বাঁধ দেওয়া।
গ. সহজ প্রকৌশলগত ব্যবস্থাপনা
১) নদীর দুই তীরে বেড়িবাঁধ দিয়ে নদীর পানি উপচে পড়া বন্ধ করা।
২) দেশের সর্বত্র বনায়ন সৃষ্টি করা।
৩) রাস্তাঘাট নির্মাণের ক্ষেত্রে পরিকল্পিত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা।
৪) বন্যা প্রবল অঞ্চলে সর্বোচ্চ বন্যা লেভেলের উপরে 'আশ্রয়কেন্দ্র' প্রতিষ্ঠা করা।
৫) নদী তীরে স্থায়ী ও সুদৃঢ় বাঁধ নির্মাণ করে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ সংরক্ষণ করা।
সূত্র: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
১৩০) নিচের কোনটি কৃষি-আবহাওয়াজনিত আপদ (Hazard)?
ক) ভূমিকম্প
খ) ভূমিধস
গ) সুনামি
ঘ) খরা
সঠিক উত্তরঃ ঘ) খরা
কৃষি-আবহাওয়াজনিত আপদ (Hazard) হচ্ছে খরা।
খরা ( Drought):
কোনো এলাকা দীর্ঘদিন বৃষ্টিহীন অবস্থা থাকলে অথবা অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হলে উক্ত এলাকাটির মাটির স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে গিয়ে শুষ্ক হয়ে পড়ে।
উক্ত এলাকার মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যায় ও ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যায়। মাটির এরূপ অবস্থাকে খরা বলা হয়।
বাংলাদেশের উত্তর- পূর্বাঞ্চলে অনাবৃষ্টি বা খরার প্রভাব বেশি পরিলক্ষিত হয়। খরা উপদ্রুত অঞ্চলে কৃষিজ ফসলের উৎপাদন কমে যায়। উপদ্রুত অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গিয়ে পানির অভাব দেখা দেয়। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল পর্যাপ্ত ফসলের অভাবে খাদ্যদ্রব্যের অভাব প্রকট হয়ে পড়ে। গাছপালা বিহীন শুষ্ক প্রকৃতি ও তীব্র গরমে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের অসুখের প্রাদুর্ভাব ঘটে।
অন্যদিকে:
ভূমিকম্প, ভূমিধস, সুনামি কৃষি-আবহাওয়াজনিত আপদ (Hazard) নয় ৷
সূত্র: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
English Language and Literature
১৩১) Which of the following words can be used as a verb? as a
ক) mobile
খ) sugar
গ) media
ঘ) sand
সঠিক উত্তরঃ খ) sugar ও ঘ) sand
Sugar এবং Sand দুটি শব্দই noun এবং verb দুইভাবেই ব্যবহৃত হতে পারে।
Sand (noun) – বালি, বালুকা ।
Example Sentence: The children played all day in/on the sand.
→ (verb transitive) – বালু দিয়ে ঢাকা বা ঘষা; বালি ছিটানো। Example Sentence: Sand the door (down) thoroughly before starting to paint. Sugar
sugar → (noun) – চিনি বা শর্করা।
Example Sentence: I don't take sugar in my coffee, thanks.
- (verb transitive) – মিষ্টি করা; চিনি মেশানো; শর্করাযুক্ত করা। Example Sentence: He sugared the rims of the martini glasses.
অন্য অপশনগুলো
Mobile → (adjective) - সচল; ভ্রাম্যমাণ; গতিময়।
→> (noun) - ভাস্কর্য বা অনুরূপ বস্তু, যার অংশসমূহ বাতাসে নড়ে।
Media
→ (noun) যোগাযোগমাধ্যম; গণমাধ্যম (টিভি, রেডিও, খবরের কাগজ ইত্যাদি)।
Source:
1. Cambridge Dictionary,
2. Merriam-Webster Dictionary,
3. Accessible Dictionary.
১৩২) In which sentence 'like' is used as a preposition?
ক) He likes to eat fish
খ) He laughs like his father does
গ) He climbed the tree like a cat
ঘ) Like minded people are necessary to start a business
সঠিক উত্তরঃ গ) He climbed the tree like a cat
উল্লিখিত অপশনগুলোর মধ্যে - He climbed the tree like a cat. এই বাক্যে like preposition হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। [মূল প্রশ্ন climbed বানান ভুল দেয়া ছিল]
১৩৩) He died following the incident. The underlined word is a/an-
ক) adjective
খ) adverb
গ) noun
ঘ) preposition
সঠিক উত্তরঃ preposition
Following (Preposition):
এটা হচ্ছে Participle Preposition, যা এখানে after বা পরে অর্থে ব্যবহৃত হচ্ছে।
He died following the incident. এই বাক্যে 'following' শব্দটি the incident - Noun এর পূর্বে বসে বাক্যের অন্যান্য অংশের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করছে। তাই, এখানে 'following' শব্দটি preposition হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
এছাড়াও,
'Following' শব্দটি adjective ও noun হিসেবে ব্যবহৃত হয়। Following (adjective):
Meaning - The following day, morning, etc. is the next one. Following (noun):
Meaning (often used to introduce a list, report, etc.) of what comes next.
Source:
1. Longman Dictionary.
2. Cambridge Dictionary.
3. Accessible Dictionary by Bangla Academy.
১৩৪) Writing a diary is a very good practice to develop the writing skill. The underlined part is a/an-
ক) noun phrase
খ) verbal phrase
গ) adjective phrase
ঘ) adverbial phrase
সঠিক উত্তরঃ ক) noun phrase
Writing a diary is a very good practice to develop the writing skill. এই বাক্যে 'Writing a diary phrase টি Subject হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং একই সাথে এটি একটি Gerund phrase. তাই, 'Writing a diary' হচ্ছে Noun phrase.
Noun phrase:
যে phrase বা শব্দগুচ্ছ noun এর কাজ করে তাই মূলত Noun phrase. - অর্থ এবং বাক্যে অবস্থান অনুযায়ী Noun phrase বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে।
Subject হিসেবে; (এই বাক্যে 'Writing a diary' phrase টি Nica Subject হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, তাই এটি Noun phrase.)
Object of a verb হিসেবে;
Object of a preposition হিসেবে
Subject complement হিসেবে;
The three types of noun phrases are:
i. Appositive phrase:
It renames another noun in the sentence.
যে noun phrase অন্য একটি noun সম্মন্ধে comma ব্যবহার করে নতুন তথ্য যোগ করে তাকে appositive বলে।
Example: Mr. Salim, my favorite English teacher, is doing this assignment for me.
ii. Gerund phrase:
Gerund phrase starts with a gerund.
Gerund (verb+ing) phrase বলে। phrase gerund
Example: The ringing of the phone during the prayers in the mosque disturbs me much.
ii. Infinitive phrase:
It has an infinitive (to + the present form of the verb) and modifiers linked to the infinitive.
phrase infinitive Infinitive (to+verb) phrase বলে।
Example: I like to have a cup of tea in the morning. Source: Cliff's TOEFL.
135) Fill in the blank with the correct word.
--------------- he lay on the ground groaning.
ক) Injured
খ) Injuring
গ) Having injured
ঘ) Be injured
সঠিক উত্তরঃ ক) Injured
Complete sentence: Injured he lay on the ground groaning. বাক্যের অর্থ: আহত হয়ে (হওয়ার পরে), সে গোঙিয়ে গোঙিয়ে মাটিতে শোয়ে পড়ল।
উল্লিখিত বাক্যে, ‘after being injured' অর্থে lay - verb এর adverb of time হিসেবে শূন্যস্থানে injured বসবে।
তবে এখানে Injured এর পর Comma থাকা উচিত ছিল।
Context অনুযায়ী এটা Passive Form + Non-finite Verb হওয়া উচিত।
অন্য অপশনগুলো সঠিক নয় কারণ,
খ) Injuring - Active Form.
গ) Having injured - Active Form.
ঘ) Be injured Non-finite Form (Being injured হলে সঠিক হতো)।
১৩৬) Find out the meaning of the following phrase: By and large.
ক) very large
খ) on the whole
গ) far away
ঘ) the largest one
সঠিক উত্তরঃ খ) on the whole
By and large (idiom): English Meaning - on the whole; everything considered.
Bangla Meaning - মোটকথা; সামগ্রিকভাবে।
Example Sentences:
There are a few small things that I don't like about my job, but by and large it's very enjoyable.
Mammals have, by and large, bigger brains than reptiles.
Source:
1. Oxford Dictionary.
2. Accessible Dictionary by Bangla Academy.
১৩৭) Choose the best alternative for the underlined. He went back on his promise of voting for me
ক) withdrew
খ) forgot
গ) reinforced
ঘ) support
সঠিক উত্তরঃ ক) withdrew
Go back on something (phrasal verb):
English Meaning - To fail to keep a promise, or to change a decision or agreement.
Bangla Meaning - কথার বরখেলাপ করা।
Given options:
ক) withdrew - সরে আসা; সরিয়ে আনা।
খ) forgot - ভুলে যাওয়া।
গ) reinforced - অধিকতর জনবল বা রসদ জুগিয়ে আরো শক্তিশালী করা; ভারবহনক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আকার, ঘনত্ব ইত্যাদি বৃদ্ধি করা; দৃঢ়তর/জোরদার করা।
ঘ) support - সমর্থন করা; চালু রাখতে সাহায্য করা।
অপশনসমূহ বিবেচনা করে দেখা যায়, সঠিক উত্তরটি হচ্ছে 'withdrew'.
Source:
1. Cambridge Dictionary.
2. Accessible Dictionary by Bangla Academy.
১৩৮) 'Let the cat out of the bag' means-
ক) bring out a cat from a bag
খ) Let the cat out of the bag
গ) reveal a secret carelessly
ঘ) take a pre-caucious steps
সঠিক উত্তরঃ গ) reveal a secret carelessly
The idiom 'Let the cat out of the bag' means - reveal a secret carelessly.
Let the cat out of the bag (idiom):
English Meaning - to allow a secret to be known, usually without intending to.
Bangla Meaning - হাটে হাঁড়ি ভাঙা/গোপন কথা বলে ফেলা।
Example Sentence:
1. She accidentally let the cat out of the bag about the surprise party when she mentioned it to the guest of honor.
2. We were trying to keep the new product under wraps until the launch date, but someone let the cat out of the bag to the press.
Source:
1. Cambridge Dictionary.
2. Accessible Dictionary by Bangla Academy.
১৩৯) He is a man to depend on. The underlined part is ------
ক) a noun phrase
খ) an adjective phrase
গ )an adverbial phrase
ঘ) a prepositional phrase
সঠিক উত্তরঃ খ) an adjective phrase
He is a man to depend on.
The underlined part is an adjective phrase as 'to depend on' is modifying the noun 'man'.
অনুবাদ: সে এমন একজন মানুষ যার উপর নির্ভর করা যায়।
এখানে underlined phrase 'man' Noun Modify করার কারণে এটি Adjective phrase.
এখানে
To হচ্ছে infinitive marker, Preposition নয়। তাই, Underlined Phrase কে prepositional phrase বলা যাবে না।
In English grammar, the "infinitive marker" is the word "to" that is used before a verb to form the infinitive form of that verb.
Adjective phrase:
সংক্ষেপে, Noun এর পর যদি কোন clause/ Phrase বসে তাহলে সেটি Adjective clause/Phrase হবে।
Adjective Clause এর অপর নাম Relative Clause.
এখানে underlined phrased টি 'man'- Noun Modify করার কারণে এটি Adjective phrase.
১৪০) His dream that he will be a B.C.S cadre finally came true. The underlined part is a noun clause
ক) a noun clause
খ) an adjective clause
গ) an independent clause
ঘ) a co-ordinate clause
সঠিক উত্তরঃ ক) a noun clause
Noun Clause:
যেসব subordinate clause noun এর মত কাজ করে থাকে subject/object/ complement/ appositive হিসেবে কাজ করে থাকে তাদেরকে Noun clause বলে। যে Noun Clause পূর্ববর্তী Noun সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য বা ব্যাখ্যা প্রদান করে, তাকে Appositive বা Case in Apposition বলে। - -, 'that he will be a B.C.S cadre' dream এর ব্যাখ্যা দিচ্ছে, তাই এটি এখানে Appositive এবং এ হিসেবে এটি একটি noun clause.
একটি বাক্যের চারটি স্থানে Noun clause বসতে পারে
1. subject হিসাবে;
2. transitive verb এর object হিসেবে;
3. Linking verb এরপরে complement হিসাবে;
4. Preposition এর পরে।
১৪১) Which of the following is a correct simple sentence?
ক) All that glitters is not gold
খ) All's well that ends well
গ) Do or die
ঘ) I saw an old man walking past me
সঠিক উত্তরঃ ঘ) I saw an old man walking past me
Simple sentence:
A simple sentence consists of a single independent clause that expresses a complete thought.
একটি simple sentence এ শুধুমাত্র একটি clause থাকে অর্থাৎ একটি subject এবং একটি finite verb থাকে।
যেমনঃ The sun shines brightly in the sky.
বর্ণনা অনুযায়ী, I saw an old man walking past me বাক্যে একটি subject (I) এবং একটি finite verb (saw) রয়েছে, তাই এটি simple sentence হয়েছে।
এখানে, walking - participle াবেং past হচ্ছে preposition.
Other options:
ক) All that glitters is not gold 200 complex sentence.
খ) All's well that ends well complex sentence.
গ) Do or die 22 compound sentence.
Complex sentence:
যে sentence এ একটি Principal clause এবং এক বা একাধিক Subordinate clause থাকে, তাকে Complex sentence বলে।
Complex sentence এর subordinate clause এর শুরুতে সাধারনত if, though, although, as, because, since, so that, that, until, till, unless, when, why, who, which, where, how, before, after, whether, while বসে।
Compound sentence:
এ ধরনের বাক্যে একের অধিক principal clause থাকে যাদেরকে co-ordinate clause বলা হয় ৷ অর্থাৎ Compound sentence এ দুই বা ততোধিক principal clause বা co-ordinate clause থাকে।
এছাড়া Compound sentence এ সাধারণত and, or, but, yet, either and, so, therefore, otherwise, else, both, , neither ----- nor, not only _____ but also ইত্যাদি coordinating conjunction দ্বারা দুইটি principal clause যুক্ত থাকে।
১৪২) Which is the correct complex form of the sentence? A corrupt man cannot win the respect of others.'
ক) A man who is corrupt cannot respect others.
খ) A man does not respect others who are corrupt.
গ) A man who is corrupt cannot win the respect of others.
ঘ) A man who can win the respect of others cannot be corrupt.
সঠিক উত্তরঃ গ) A man who is corrupt cannot win the respect of others.
Adjective + noun যুক্ত Simple Sentence Complex করার নিয়ম:
article + adjective এর পরের noun টি বসে + relative pronoun who/which/that + tense অনুযায়ী verb বসে + adjective টি বসে + প্রদত্ত noun এর পর থেকে শেষ অংশ বসে।
Example:
Simple - An industrious boy can shine in life.
Complex - A boy who is industrious can shine in life.
তাই সঠিক উত্তরটি হচ্ছে - A man who is corrupt cannot win the respect of others.
১৪৩) Find out the correct positive form of the sentence: 'Who else is the better player than Zaman in the team'?
ক) Is there any other player in this team who is as good as Zaman?
খ) Who is the best player than Zaman in this team? গ) Is there any other players in this team who is as good as Zaman?
ঘ) Are there any other player in this team who are as good as Zaman?
সঠিক উত্তরঃ ক) Is there any other player in this team who is as good as Zaman?
এখানে মূল বাক্যটি interrogative form এ আছে। তাই positive sentence টিও interrogative form এ রাখতে হবে।
এবং মূলবাক্যের অর্থের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এমন একটি বাক্য খুঁজতে হবে যা - জামানের মতো দক্ষ আর কোনো খেলোয়াড় দলে আছে কিনা সেই প্রশ্ন করবে।
অপশন অনুসারে একমাত্র সঠিক উত্তর ক) Is there any other player in this team who is as good as Zaman?
এই বাক্যে Positive sentence এর structure বজায় থাকছে এবং মূল বাক্যের সাথে অর্থেরও সামঞ্জস্য ঠিক থাকছে। অন্য
অপশনগুলোর বিশ্লেষণ :
খ) Who is the best player than Zaman in this team? 'the best player than' structure grammatically ভুল। তাছাড়া এটি Positive sentence এর structure ও অনুসারেও গঠিত হয় নি।
গ) Is there any other players in this team who is as good as Zaman?
এখানে 'any other এর পর players - plural ব্যবহার করা ভুল।
ঘ) Are there any other player in this team who are as good as Zaman?
এখানে 'any other player' অংশটি singular sense প্রকাশ করছে, তাই এর verb হিসেবে শুরুতে are এর ব্যবহার ভুল।
১৪৪) Fill in the blank with the correct word: The submarine dipped to avoid _____ by the enemy plane.
ক) see
খ) seeing
গ) being seen
ঘ) seen
সঠিক উত্তরঃ গ) being seen
কিছু কিছু verb আছে এর পর verb+ing (gerund) বসে। যেমনঃ admit, appreciate, avoid, can't help, consider, delay, deny, enjoy, finish, mind, miss, postpone, practice, risk, resume, resist etc.
নিয়মানুযায়ী, এখানে seeing বসার কথা।
কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যায়, উল্লিখিত বাক্যে verb টির কাজ তার subject তথা The Submarine নিজে করতে পারে না।
তাই এটি passive এর গঠন অনুসরণ করবে।
তাই সঠিক উত্তর হবে - being seen.
Might
or used to express permission, liberty, probability, possibility in the past.
যেহেতু বাক্যটি past tense এ আছে এবং সম্ভাব্যতা প্রকাশ করছে, তাই উত্তর হবে might be .
১৪৫) In fear of _______ he escaped elsewhere.
ক) arresting
খ) arrested
গ) being arrested
ঘ) having arrested
সঠিক উত্তরঃ গ) being arrested
সাধারণত Preposition এর পর Verb+ing ব্যবহৃত হয়। কিন্তু arrest হয় পুলিশ কর্তৃক। subject (he) যাতে arrest না হয়, এ ধারণা এখানে প্রকাশ পাচ্ছে, তাই এটি Passive Form এ বসবে। Verb+ing Passive form being + verb Past Participle. সুতরাং, being arrested হবে সঠিক উত্তর।
১৪৬) I didn't follow who passed by me. It ________ Shajib.
ক) were
খ) must be
গ) might be
ঘ) was
সঠিক উত্তরঃ খ) must be
Might
used to express permission, liberty, probability, or
possibility in the past.
যেহেতু বাক্যটি past tense এ আছে এবং সম্ভাব্যতা প্রকাশ করছে তাই সঠিক উত্তর হবে must be
১৪৭) Samin is my colleague. I _______ him for ten years.
ক) know
খ) knew
গ) have known
ঘ) have been known
সঠিক উত্তরঃ গ) have known
অতীতে সংঘটিত হয়ে কোনো কাজ কাজ বর্তমান সময়ে চলছে এরূপ বুঝালে Verb এর Present Perfect Continuous Tense হয়।
কিন্তু see, watch, understand, know, be, have ইত্যাদি verb এর সাধারণত Present Perfect Continuous Form ব্যবহৃত হয় না, এর পরিবর্তে Present Perfect Tense ব্যবহৃত হয়।
Structure: Subject + have/has + verb + Extension. past participle
যেমন: He has been in London for three years.
I have seen him for two decades.
Source: Learn English Online, British Council.
১৪৮) The snow swirls _______ the valley.
ক) up
খ) in
গ) down
ঘ) through
সঠিক উত্তরঃ গ) down
'The snow swirls down the valley' Kinnan Rawlings থেকে নেয়া হয়েছে। Marjorie short story 'A Mother in Mannville'
যে কোনো কিছুর Direction (গতিপথ) নিচের দিকে হলে সাধারণত Verb এর পর Adverb হিসেবে down ব্যবহৃত হয়। যেহেতু তুষার উপর থেকে নিচের দিকে পতিত হয়, তাই এখানে down ব্যবহৃত হবে।
Swirl (verb):
English Meaning - To move quickly with a twisting circular movement, or to cause something to move this way.
Bangla Meaning - (জল, বাতাস ইত্যাদি) ঘুরপাক খাওয়া বা খাওয়ানো; ঘূর্ণিত হওয়া বা করা; ঘূর্ণি তোলা; ঘূর্ণিবেগে ভাসিয়ে বা উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া।
ঘূর্ণিত হয়ে নিচের দিকে পতিত হওয়া অর্থে 'swirl down' ব্যবহৃত হয়।
Example Sentence - Snowflakes swirled down from the sky.
Complete Sentence - The snow swirls down the valley.
Bangla Meaning - উপত্যকায় তুষার ঘুরপাক খেয়ে নিচে নামছে।
১৪৯) There is a coffee shop ________ the street.
ক) at
খ) on
গ) before
ঘ) across
সঠিক উত্তরঃ ঘ) across
এখানে সবচেয়ে সুন্দর বাক্য হবে: রাস্তার ওপারে একটি কফির দোকান আছে। ওপারে অর্থে across ব্যবহৃত হবে।
জায়গার নাম যদি street এর নামে হয়, তখন At বা On ব্যবহার করা যেতে পারে।
"Across" is the preposition that correctly indicates the location of the coffee shop to the street.
When you're describing a location on the other side of the street, "across" is more commonly used:
Source: Longman Dictionary, Cambridge Dictionary. ১৫০) Identify the correct sentences:
১৫০) Identify the correct sentences:
ক) He has said to me that I will there in Dhaka. but go you will stay
খ) He has told me that he will go but I will stay here in Dhaka.
গ) He has told me that I would go but you would stay there in Dhaka.
ঘ) He has told me that he would go but I would stay here in Dhaka. .
সঠিক উত্তরঃ খ) He has told me that he will go but I will stay here in Dhaka অর্থ: সে আমাকে বলেছিল যে, সে চলে যাবে কিন্তু আমি এখানে ঢাকায়ই থাকব।
মূলত এখানে ভিন্ন ভিন্ন অর্থে সবগুলো বাক্যই শুদ্ধ। প্রদত্ত বাক্যটি indirect speech এ রয়েছে।
Narration এর নিয়মানযায়ী Indirect speech এর Reporting verb - Present বা Future Tense হলে Reported Speech এর Verb- যে কোনো Tense এর হতে পারে। আবার নিকটবর্তী বা দূরবর্তী (here, therer, now, then etc.) যে কোনো নির্দেশনা সূচক শব্দ বসাতেও সমস্যা নেই।
অর্থ অনুযায়ী সবচেয়ে সুন্দর এবং মানানসই বাক্য হবে - (“He has said to me, "I will go but you will stay here in Dhaka" Probable Direct Speech ধরে নিয়ে)
১৫১) Identify the correct sentences:
ক) The room was darkened by switching off all the lights.
খ) The room was darkened switching off all the lights.
গ) The room was darkened to switch off all the lights.
ঘ) Switching off all the lights the room was darkened.
সঠিক উত্তরঃ ক) The room was darkened by switching off all the lights.
বাক্যের অর্থ: সকল লাইটের সুইচ অফ করে, রুমটিকে অন্ধকার করা হলো।
অন্য অপশনগুলোর মধ্যে -
খ) The room was darkened switching off all the lights. এবং
Switching off all the lights the room was darkened. রুমটি সুইচ অফ করতে পারে না, অন্য কেউ করে। কিন্তু এই দুই অপশনের বাক্যের Structure অনুযায়ী the room কে switch verb এর Subject বলে মনে হয়। তাই এই দুটি সঠিক নয়।
গ) The room was darkened to switch off all the lights. এই বাক্যের অর্থ হচ্ছে রুমটাকে অন্ধকার করা হলো সুইচ বন্ধ করার জন্য, অর্থগত দিক থেকে যা মোটেই গ্রহণযোগ্য বাক্য নয়।
ঘ) “Switching off all the lights the room was darkened.” – এটি ব্যাকরণগতভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অস্বাভাবিক।
১৫২) Identify the correct sentences:
ক) Had you been there on time, you could have had the information.
খ) If you had been there on time, you could have the information.
গ) If you had been there on time, you might get the information.
ঘ) Had been you there, you could have got the information.
সঠিক উত্তর হবে ক) Had you been there on time, you could have had the information.
Had + subject + verb past participle পরবর্তী cluse এ would/could/might + have + verb past participle form ব্যবহৃত হয়।
Structure: Had + subject + verb past participle +Subject+ would have + past participle. এই নিয়মানুযায়ী গঠিত বাক্যগুলো 3rd Conditional sentence হিসেবে পরিচিত।
১৫৩) Identify the correct sentences:
ক) There are trees on the both sides of the road.
খ) There are trees on both the sides of the road.
গ) There are trees, on both side of the road.
ঘ) There are trees on either sides of the road.
সঠিক উত্তর হবে খ) There are trees on both the sides of the road.
যদিও modern English এ both এর পরে the এর ব্যবহার হয় না, তবে এর ব্যবহার অশুদ্ধ নয় । যেমন:
Both the women were French. (Oxford Dictionary)
Both the horses were out, tacked up and ready to ride. (Collins Dictionary)
তাই অপশন বিবেচনায় এখানে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উত্তর খ) There are trees on both the sides of the road.
অন্য অপশন
ক) There are trees on the both sides of the road. Cambridge Dictionary অনুসারে the both এর ব্যবহার অশুদ্ধ। সে অনুসারে এ অপশনটি সঠিক নয়।
গ) There are trees, on both side of the road. এখানে কমা এর ব্যবহার সঠিক নয়, তাছাড়া both এর পর noun
ঘ) There are trees on either sides of the road.
Either এর পরে noun plural form (side) এ না হয়ে singular form হবে।
১৫৪) The antonym of 'boisterous' is
ক) noisy
খ) quit
হ) unruly
ঘ) cheerful
সঠিক উত্তরঃ খ) quit
Boisterous (adjective):
English Meaning - Noisy, energetic, and rough.
Bangla Meaning - (১) (কোনো ব্যক্তি বা তার আচরণ) অমার্জিত; হৈচৈপূৰ্ণ; উল্লাসময়।
(২) (আবহাওয়া) উদ্দাম; ঝড়ো; প্রচণ্ড।
Synonyms - ly (আনন্দোচ্ছল), Noisy (হৈচৈপূৰ্ণ),
Rollicking (হৈচৈপূর্ণ ও আনন্দোচ্ছল), Violent (প্রবল)।
Antonyms - Orderly (সুবিন্যস্ত), Quiet (শান্ত), Silent (নীরব)।
Other forms:
boisterously (adverb);
boisterousness [Uncountable noun].
প্রশ্নে প্রদত্ত অপশনসমূহের মধ্যে 'quit' শব্দটির বানান ভুল আছে। শব্দটি হওয়া উচিত ছিল 'Quiet', যা Boisterous শব্দটির সরাসরি antonym.
অন্য কোন অপশন Boisterous এর antonym নয়, বরং Boisterous প্রায় কাছাকাছি (cheerful) এবং সরাসরি synonym (noisy and unruly) নির্দেশ করে।
তাই সঠিক উত্তর হিসেবে খ) quit উত্তর রাখা যেতে পারে।
অন্যান্য অপশনসমূহ,
Noisy - হৈচৈপূৰ্ণ৷
Unruly - উচ্ছৃঙ্খল ।
Cheerful - আনন্দদায়ক বা আনন্দব্যঞ্জক।
Source:
1. Cambridge Dictionary.
2. Accessible Dictionary by Bangla Academy.
১৫৫) 'Plagiarism means -------
ক) the act of using someones else's idea as one's own.
খ) the act of planning everything beforehand.
গ) the act of playing a musical instrument.
ঘ) the art of dealing with forgery.
সঠিক উত্তরঃ ক) the act of using someones else's idea as one's own.
Plagiarism (noun)
English Meaning: The process or practice of using another person's ideas or work and pretending that it your own.
Bangla Meaning: অন্যের ভাব, শব্দ ইত্যাদি গ্রহণ করে নিজের ব্যবহার করা; কুম্ভিলকবৃত্তি ।
Examples:
She's been accused of plagiarism.
The techniques for detecting plagiarism are becoming increasingly advanced.
Source: Accessible Dictionary by Bagla Academy and Cambridge Dictionary.
১৫৬) The two cities in A Tale of Two Cities are -
ক) London and Paris
খ) London and Manchester
গ) Paris and New York
ঘ) Paris and Geneva
সঠিক উত্তরঃ ক) London and Paris
A Tale of Two Cities
এটি Charles Dickens লিখিত একটি novel.
এই Novel টিতে London and Paris city দুইটিকে ঘিরে কাহিনি গড়ে উঠেছে। ফরাসী বিপ্লবের সাথে সংশ্লিষ্ট এই উপন্যাসটি। কাহিনির সূত্রপাতে দেখা যায় Lucie Manette একজন তরুণী যে বিস্ময়ে ফেটে পড়ে তার বাবা Doctor Alexandre Manette এর জীবিত থাকার কথা শুনে । অত্যাচারি জমিদারের ষড়যন্ত্রে পড়ে নির্দোষ Doctor Manette জেল খাটতে বাধ্য হন ৷ জেলে থাকা অবস্থায়ই তিনি মুচির কাজ শিখেন। তার মেয়ে Lucie বড় হবার পর বাবার কথা জানতে পেরে বাবাকে প্যারিস থেকে লন্ডনে নিয়ে আসেন। পথিমধ্যে তাদের সাথে পরিচয় হয় Charles Darnay এর সাথে। যে ফরাসী রাজপরিবারের সদস্য হলেও তার পরিবারের পাপের জন্য অনুতপ্ত ছিল এবং প্রায়শ্চিত্ব করতে চেয়েছিল। এছাড়া পরবর্তীতে Sydney Carton নামক একজন পারিবারিক বন্ধু প্রেমে পড়ে Lucie Manette এর।
এই novel এর উল্লেখযোগ্য চরিত্র সমূহ -
Sydne Carton, Lucie Manette, Charles Darnay, Dr. Alexandre Manette, Madame Defarge.
উপন্যাসের বিখ্যাত উক্তি সমূহ -
"It was the best of times, it was the worst of times, it was the age of wisdom, it was the age of foolishness, it was the epoch of belief, it was the epoch of incredulity, it was the season of light, it was the season of darkness, it was the spring of hope, it was the winter of despair." (First Line)
"It is a far, far better thing that I do, than I have ever done; it is a far, far better rest I go to than I have ever known." (last Line)
Charles Dickens:
তিনি একজন British novelist.
তিনি সাধারণভাবে ভিক্টোরীয় যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হন।
📚 সেরা রচনাবলি (উপন্যাস):
A Christmas Carol – একটি বড়দিনের গল্প
David Copperfield – ডেভিড কপারফিল্ড
Bleak House – বিষণ্ণ গৃহ
A Tale of Two Cities – দুই শহরের গল্প
Great Expectations – মহা প্রত্যাশা
Our Mutual Friend – আমাদের পারস্পরিক বন্ধু
Hard Times – কঠিন সময়
The Pickwick Papers – দ্য পিকউইক পেপারস
Source: lecture and Britannica.com
১৫৭) The line 'Frailty, thou name is woman' occurs in Shakespeare's play -
ক) Hamlet
খ) Macbeth
গ) Othello
ঘ) King Lear
সঠিক উত্তরঃ Hamlet
'Frailty, thy name is woman' উক্তিটি William Shakespeare বিখ্যাত tragedy 'Hamlet'থেকে নেওয়া। এই উক্তিটি Hamlet তার মাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন। উক্তিটি এই tragedy এর প্রথম soliloquy হতে উদ্ধৃত। এই উক্তির দ্বারা মুলত Hamlet তাঁর মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি সমগ্র নারী জাতিকে frail and weak in character বলে অভিহিত করেছেন।
Hamlet' in Shakespeare's Hamlet is a prince of Denmark. হ্যামলেট জার্মানি থেকে নিজ দেশে ফিরে আসে তাঁর বাবার শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ করতে এবং জানতে পারে যে তার চাচা Claudius তার মা Gertrude কে বিয়ে করেছে এবং এই চাচাই তার বাবার খুনী। শেষাংশে Hamlet এর মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে এর সমাপ্তি ঘটে।
Famous quotations of Hamlet:
Neither a borrower nor a lender be; For loan oft loses both itself and friend.
To be or not to be that is the question.
Frailty, thy name is woman.
Brevity is the soul of wit.
Listen to many, speak to a few.
Though this be madness, yet there is method in't.
Conscience doth make cowards of us all.
'There is divinity that shapes our end'.
The important characters of Hamlet:
Ophelia (Hermione), Hamlet, Claudius, Gertrude, Horatio (Loyal and Best friend of Hamlet) Polonius (Ophelia's Father) Laertes (Ophelia's Uncle) etc.
Source: Britannica and An ABC of English Literature by Dr M Mofizar Rahman.
১৫৮) Who of the following complied an English Dictionary?
ক) Samuel Johnson
খ) T.S. Eliot
গ) John Dryden
ঘ) William Congreve
সঠিক উত্তরঃ ক) Samuel Johnson
Dr. Samuel Johnson complied an English Dictionary. "A Dictionary of the English Language” was written by Dr Samuel Johnson.
The Dictionary was first published on 15 April 1755
এই কারণে তাকে Father of English Dictionary বলা হয় ।
Dr. Samuel Johnson 2002 The Age of Sensibility (17451798) এর অত্যন্ত সুপরিচিত সাহিত্যিক।
Dr. Samuel Johnson এই সময়টাকে dominate করেছেন। - তাই, তাঁর নাম অনুসারে এই সময়টাকে Age of Johnson বলা হয়।
তিনি William Shakespeare এর একজন বিখ্যাত সমালোচক হিসাবে পরিচিত।
তিনি ১৭৬৪ সালে ইংরেজি সাহিত্য ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন।
Dr. Samuel Johnson's major works:
Dictionary (1755),
The History of Rasselas, Prince of Abyssinia (1759), - Preface to Shakespeare (1765).
Source: An ABC of English Literature Dr. M Mofizar Rahman and Britannica.
১৫৯) which is not a poetry form?
ক) Sonnet
খ) Ballad
গ) Tale
ঘ) Epic
সঠিক উত্তরঃ গ) Tale
উল্লিখিত অপশনগুলোর মধ্যে - "Tale" বা গল্পকে একধরনের কাহিনি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অন্যদিকে,
Sonnet, Ballad এবং Epic হচ্ছে কবিতার বিভিন্ন অংশ।
Sonnet হচ্ছে ১৪ লাইনের imabic pentametre এর রচিত একধরনের গীতকবিতা ।
Ballad হচ্ছে একটি narrative বা আখ্যানমূলক কবিতা, যেখানে dialouge and action এর মাধ্যমে কাহিনির বর্ননা করা হয়। Epic is a long narrative poem that describes the action or deeds of a hero.
Source: An ABC of English Literature by Dr M Mofizar Rahman.
১৬০) 'I am a man more sinned against than sinning'. This is uttered by___
ক) Horatio
খ) Hamlet
গ) King Lear
ঘ) Macbeth
সঠিক উত্তরঃ গ) King Lear
I am a man more sinned against than sinning." - this quotation is from the play - King Lear by William Shakespeare.
উক্তিটি নাটকের অন্যতম প্রধান চরিত্র King Lear এর করা।
King Lear:
King Lear একটি 5 acts বিশিষ্ট tragedy. এই tragedy টি ১৬০৫-০৬ সালের মধ্যে লেখা এবং ১৬০৮ সালে প্রকাশিত হয়। এই ট্র্যাজিডিটির প্লট তৈরি হয়েছে ব্রিটেনের এক রাজা এবং তার তিন কন্যার কাহিনী নিয়ে।
বৃদ্ধ রাজা লিয়ার সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি তাঁর রাজ্য তিন কন্যার মধ্যে ভাগ করে দেবেন, এবং প্রত্যেককে তাদের ভালোবাসা প্রকাশের বাগ্মিতার ওপর ভিত্তি করে অংশ প্রদান করবেন। ভণ্ডামিপূর্ণ প্রথম কন্যা গনারিল এবং দ্বিতীয় কন্যা রিগান জাঁকজমকপূর্ণ ঘোষণা দেয় এবং পুরস্কৃত হয়।
সর্বকনিষ্ঠ কন্যা কর্ডেলিয়া, যিনি সত্যিই লিয়ারকে ভালোবাসেন, অসৎ ভাষণ দিয়ে তাঁর ভালোবাসা প্রমাণ করতে অস্বীকার করেন এবং ফলস্বরূপ তিনি উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হন।
অতঃপর King Lear এবং Cordelia এর করুণ মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে ট্র্যাজিডিটির সমাপ্তি ঘটে।
Source: Oxford Essential Quotation and Britannica
১৬১) Which event influenced the literature of the Romantic period?
ক) French Revolution
খ) Industrial Revolution
গ) Russian Revolution
ঘ) Hundred Years'
সঠিক উত্তরঃ ক) French Revolution
ফরাসী বিপ্লবের পর পরিবর্তিত পৃথিবীর প্রেক্ষাপটে নতুন ধাঁচে সাহিত্য রচনা হয় Romantic period এ।
Romantic Period: (1798-1932) এই যুগের ব্যপ্তিকাল অনুযায়ী একে the shortest period of English Literature হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৭৯৮ সালে William Wordsworth রচিত Lyrical Ballads এর প্রকাশনার মাধ্যমে Romantic Period এর সূচনা হয় ৷ এই যুগকে বলা হয় The Golden age of Lyrics এবং The Age of Revolution.
“ Art for Art's sake” এই যুগের সাহিত্যগুলোর সাধারণ বৈশিষ্ট্য বা শ্লোগান ছিলো।
ফরাসী বিপ্লবের দ্বারা এই যুগের সাহিত্য প্রভাবিত হওয়ার কারণ হিসেবে বলা যায়, রাজতন্ত্র কিংবা পুরোহিত গোষ্ঠীর আধিপত্যের বেড়াজাল থেকে মুক্ত হয়ে নতুন ধারার সাহিত্য রচনা শুরু হয় এই যুগে। উল্লেখ্য যে,
The father of English Romaticism and Romantic age
William Wordsworth তার সাহিত্য জীবনের শুরুতে The French Revolution দ্বারা অনুপ্রাণিত হোন এবং তার কবিতায় এর প্রভাব দেখা যায়।
French Revolution Liberty, equality and Fraternity.
Wordsworth, one of them, who greeted the revolution with enthusiasm.
London 1802 কবিতাটি এবং The Borderers নামক ট্র্যাজিডিটিতে french revolutions এর গভীর প্রভাব দেখতে পান পাঠকরা।
Most Important Writers of the Romantic Period:
William Wordsworth, Samuel Taylor Coleridge, Robert Southey, Sir Walter Scott, Lord Byron, Jane Austen, William Blake, Charles Lamb, Mary Ann Lamb, Maria Edgeworth, Percy Bysshe Shelley, John Keats, William Hazlitt, Mary Wollstonecraft Shelley, Robert Southy, etc.
Source: Britannica.com
0 Comments