পাহাড়পুরের 'সোমপুর মহাবিহার' বাংলার কোন শাসন আমলের স্থাপত্য কীর্তির নিদর্শন?

প্রশ্নঃ পাহাড়পুরের 'সোমপুর মহাবিহার' বাংলার কোন শাসন আমলের স্থাপত্য কীর্তির নিদর্শন?
ক) মৌর্য    খ) পাল ঘ) চন্দ্ৰ    গ) গুপ্ত

সঠিক উত্তরঃ খ) পাল

• নওগা জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত সোমপুর মহাবিহার প্রাচীন বাংলার “পাল রাজবংশের” শাসনামলে অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকের শুরুর দিকে স্থাপিত হয়।

সোমপুর মহাবিহার:
- পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর মহাবিহার বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলায় অবস্থিত।
→ সোমপুর মহাবিহার প্রাচীন বাংলার একটি বৌদ্ধ বিহার। পাহাড়পুরএর উৎখননকৃত বিহার কমপ্লেক্সের সঙ্গে সোমপুর মহাবিহারকে অভিন্ন মনে করা হয়।

→ পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল আনুমাণিক ৭৮১ - ৮২১ খ্রিস্টাব্দে এ বিহার স্থাপন করেন বলে অনুমান করা হয়। ধর্মপালের অসমাপ্ত কিছু কাজ তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি দেবপালের সময়ে শেষ হয়। → বিহারের ধ্বংসাবশেষ হতে কিছু মাটির সিল পাওয়া গেছে, যেখানে উৎকীর্ণ রয়েছে – ‘শ্রী-সোমপুরে-শ্রী-ধর্মপালদেব-মহাবিহারিয়ার্য-ভিক্ষু-সংঘস্য'।

→> পাহাড়পুরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার বলা যেতে পারে। আয়তনে এর সাথে ভারতের নালন্দা মহাবিহারের তুলনা হতে পারে। এটি ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্মচর্চা কেন্দ্র ছিল। খ্রিষ্টীয় দশম শতকে বিহারের আচার্য ছিলেন – অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান।

১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো বিহারটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।

Post a Comment

0 Comments